ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। শুক্রবার (২৭ জুন) দিনভর আক্রমণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১৭৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী হামাস। হামলায় প্রাণ হারান প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিক এবং অপহৃত হন ২৫১ জন। ওই ঘটনার জের ধরেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)।
চলমান মানবিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তবে সে বিরতি টেকেনি। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযান।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৮ জন, আহত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৯১ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং বাকি জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় আরও দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি ইসরায়েল কিংবা হামাস।