বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ | ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনা মহামারির সময় ৬৪ জেলায় দায়িত্ব পালন করা সচিবদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগে তাদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সচিবরা ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করলেও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারসহ তদন্ত চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে।

জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে সারা দেশে কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সে সময় জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবাইকে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ সময় মানুষকে সহায়তার জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, ৬৪ জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক এই সচিবরা দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাদের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাদের ইচ্ছায় সবকিছু পরিচালিত হয়েছে। অনেকেই সহায়তার অর্থ ঠিকমতো পায়নি।

গ্রামে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করা এবং তাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে সচিবরা শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কাজ আমলাদের দিয়ে করানোয় সংসদে বিতর্ক তোলা হলেও পদ-পদবি হারানোর ভয়ে মন্ত্রী-এমপিদের প্রতিবাদ বেশি দূর এগোয়নি। করোনার ওই সময় যে ৬৪ সচিব সরকারি ত্রাণ বিলি-বণ্টন এবং দুর্গতদের তালিকা করার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তারা ‘কট্টর আওয়ামী সমর্থক’ হিসেবে পরিচিত। ওই সচিবদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।

করোনার সময় বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে জনপ্রতিনিধিদের করা সেই তালিকাকে অনেকাংশে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজেদের করা তালিকা অনুযায়ী সরকারি সহায়তার অর্থসহ নানা ধরনের সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এতে লাখ লাখ প্রান্তিক অসহায় জনগোষ্ঠী সহায়তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা হলেও বিষয়টি আমলে আনা হয়নি। পরবর্তী সময়ে করোনাকালে সরকারি সহায়তার নামে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ কোটি মানুষকে তথা ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয় তখনকার সরকার। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ১৫ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছানো যায়নি যথাযথ তথ্যভাণ্ডারের অভাবে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ কৃষককে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে নগদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রতি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছিল তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব বা সচিবরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় কাজে তার মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর সংস্থার উপযুক্ত সংখ্যক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন। নিয়োগ করা কর্মকর্তারা জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে কোডিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন। পাশাপাশি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ বা অন্য বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থাকে লিখিত আকারে জানাবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন। আরো বলা হয়, অবসর বা বদলির কারণে সিনিয়র সচিব বা সচিবের দপ্তর পরিবর্তন বা পদ শূন্য হলে সেখানে নিযুক্ত সিনিয়র সচিব বা সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।

আদেশে উল্লেখ করা দায়িত্ব পালন করা সচিবরা ছিলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম (মুন্সীগঞ্জ), আইসিটি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম (কুমিল্লা), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম (সিরাজগঞ্জ), জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন (চট্টগ্রাম), স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ (কক্সবাজার), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এবং নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (শরীয়তপুর), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার (মানিকগঞ্জ), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল (যশোর), কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম (লালমনিরহাট), গণপূর্ত সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার (গোপালগঞ্জ), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (রাঙামাটি), প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সাবেক সচিব পবন চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম (শেরপুর), ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ (ফরিদপুর), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম (রাজশাহী), কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক সত্যব্রত সাহা (গাজীপুর), শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এম আলী আজম (বরিশাল), সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন (বান্দরবান), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন (সাতক্ষীরা), বিপিএটিসির রেক্টর মো. রকিব হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন (মাদারীপুর), রেল সচিব সেলিম রেজা (পাবনা), পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া (সিলেট), সমবায় সচিব রেজাউল আহসান (রংপুর), মুক্তিযুদ্ধ সচিব তপন কান্তি ঘোষ (বি.বাড়িয়া), খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম (চুয়াডাঙ্গা), শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন (জামালপুর), মৎস্য সচিব রওনক মাহমুদ (পটুয়াখালী), স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব মো. আলী নূর (ঢাকা), পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী (সুনামগঞ্জ), মো. নুরুল ইসলাম (দিনাজপুর) ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা (নরসিংদী)।

এছাড়াও দায়িত্ব পালন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া (পিরোজপুর), পরিবেশ সচিব জিয়াউল হাসান (কুড়িগ্রাম), স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান (কিশোরগঞ্জ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম (নীলফামারী), কারিগরি ও মাদরাসা সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান (মৌলভীবাজার), ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন (বগুড়া), নৌসচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয়) সচিব মো. কামাল হোসেন (খুলনা), পিপিপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ (কুষ্টিয়া), শ্রম সচিব একেএম আবদুস সালাম (নওগাঁ), আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী (নোয়াখালী), পরিসংখ্যান সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী (নাটোর), পিএসসি সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন (রাজবাড়ী), দুর্যোগ সচিব মোহাম্মদ মোহসীন (চাঁদপুর), সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন (খাগড়াছড়ি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. মামুন আল রশীদ (হবিগঞ্জ), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম (মাগুরা), পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা (গাইবান্ধা), বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান (বরগুনা), তথ্য সচিব খাজা মিয়া (নড়াইল), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (টাঙ্গাইল), ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল (ঝিনাইদহ), বিমান সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন (মেহেরপুর), ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান (পঞ্চগড়), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানা (নেত্রকোনা), সমাজকল্যাণ সচিব মাহফুজা আখতার (বাগেরহাট), ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার (ঝালকাঠি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান (ঠাকুরগাঁও), পার্বত্য সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম (ময়মনসিংহ), ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেন (ভোলা) এবং মহিলা ও শিশুসচিব সায়েদুল ইসলাম (জয়পুরহাট)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোভিড-১৯-এর সময় ত্রাণ ও টাকা বিতরণের অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা কী কী দায়িত্ব পালন করেছেন, সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা, ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গাটউইক যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বৃহস্পতিবার (১২ জনু) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছে।

বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন, বিমানে থাকা ২৪২ জন আরোহীর কারোই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট

আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, ‘ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খুবই মর্মান্তিক। এখন পর্যন্ত জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।’ উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে।

বিমানটিতে ১২ জন ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক।

দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল, অ্যাম্বুলেন্স ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিমানটি ওঠার পরপরই বি. জে. মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

নিহতদের মধ্যে চারজন এমবিবিএস শিক্ষার্থী এবং একজন পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার সময় দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন ছাত্ররা। ক্যান্টিনে খাবারের প্লেট ও গ্লাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পরপরই গোটা ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে আসে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটি হৃদয়বিদারক একটি দুর্ঘটনা এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দুর্ঘটনার দৃশ্যকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎ

রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, বৃহস্পতিবার লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি আরও লেখেন, বৈঠকে রাজা চার্লস অধ্যাপক ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং সামাজিক ব্যবসার ধারণার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’- শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ- প্রচারণাকে সভ্যতা রক্ষার জন্য সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

শফিকুল আলম লেখেন, রাজা চার্লস দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক ইউনূসের কাজের একজন প্রশংসক হিসেবে পরিচিত। তিনি ইউনূসের একটি বইয়ের ভূমিকাও লিখেছেন, যা তাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও চিন্তার মিলের একটি প্রমাণ।

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস ও টেকসই উন্নয়নের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুজনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় হয়। এই সাক্ষাৎকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাজপরিবারের রীতিতে, রাজা যখন কাউকে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ দেন বা ‘অডিয়েন্স’ প্রদান করেন, তখন সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার কাজের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়ার একটি সম্মানজনক ইঙ্গিত। এ ধরনের সাক্ষাতে রাজা ওই ব্যক্তির কাজ সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ পান এবং একটি স্মরণীয় রাজকীয় অভিজ্ঞতা উপহার দেন।

Header Ad
Header Ad

ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ

মেহেদী হাসান মিরাজ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামী এক বছরের জন্য তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করল। এর আগে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পর এবার ওয়ানডেতেও দায়িত্ব ছাড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বিসিবির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে অধিনায়কত্বে আগ্রহ না দেখানোয় নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন পড়ে। মিরাজকে আপাতত এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার পারফরম্যান্স, নেতৃত্বদানের দক্ষতা ও দলের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে মেয়াদ বাড়ানোর কথাও ভাবা হবে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ঠাণ্ডা মাথায় খেলার গুণে মিরাজ হয়েছেন নির্বাচকদের আস্থার প্রতীক।

এর আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আলাদা অধিনায়ক থাকলেও ওয়ানডে দলে এই প্রথম মিরাজকে নেতৃত্বে দেখা যাবে। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আসন্ন সিরিজ দিয়েই তার অধিনায়কত্বে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা, ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই
রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎ
ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ
ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: পাশে থাকার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
বিমানের ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ, নিহত অন্তত ১৩৩
অচেতন অবস্থায় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার
ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের
ভারতে বিধ্বস্ত সেই বিমানে ছিলেন গুজরাতের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী
মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪, মোটরসাইকেল আরোহীই ২৫৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
ভারতে যেভাবে ২৪২ যাত্রীকে নিয়ে বিধ্বস্ত হলো বিমান (ভিডিও)
ঈদে দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাইকে বেধড়ক মারধর, শ্বশুরবাড়ির হামলায় আহত মা ও ভগ্নিপতি
শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে আছেন শান্তরা
কানাডায় নয়, স্টারমার যুক্তরাজ্যেই আছেন: ভুল স্বীকার করলেন প্রেসসচিব
মৌলভীবাজার সীমান্তে এক মাসে ৩৩৭ জনকে পুশইন, রোহিঙ্গারাও রয়েছে তালিকায়
শিক্ষক নিবন্ধনে বাদ যাচ্ছে প্রিলি, থাকবে শুধু লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা
টাঙ্গাইলে আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিকসহ মহিলা লীগ নেত্রী আটক
৩১৭ জনকে চাকরি দিচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
টাঙ্গাইলে উদ্ধারকৃত ১১টি মর্টার শেল যমুনা নদীতে নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনী
আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা, ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা