রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুই মাসেই ৮৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১০১২ জন

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৪৮টি। এতে নিহত হয়েছেন ১০১২ জন এবং আহত হয়েছেন ১১৪৬ জন। নিহতের মধ্যে নারী ১৪৩, শিশু ১৩০। এর মধ্যে ৩৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৯.৮২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২.২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ২০২ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৯.৯৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১৪৭ জন, অর্থাৎ ১৪.৫২ শতাংশ। এই সময়ে ১২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৫ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংস্থাটি জানায়, ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৪০৩ জন (৩৯.৮২%), বাস যাত্রী ৬৬ জন (৬.৫২%), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি যাত্রী ৫৭ জন (৫.৬৩%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ২৫ জন (২.৪৭%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৮১ জন (১৭.৮৮%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি-ডাম্পার-পাওয়ারটিলার)৪৮ জন (৪.৭৪%) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ৩০ জন (২.৯৬%) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৫৩টি (৪১.৬২%) জাতীয় মহাসড়কে, ২৯৫টি (৩৪.৭৮%) আঞ্চলিক সড়কে, ১৪৩টি (১৬.৮৬%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি (৫.৪২%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১১টি (১.২৯%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন:
দুর্ঘটনাসমূহের ১৫১টি (১৭.৮০%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৭৯টি (৪৪.৬৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৯৯টি (২৩.৪৬%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৯৩টি (১০.৯৬%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২৬টি (৩.০৬%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৮.৬০%, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রামট্রাক-কার্গো ট্রাক-ডাম্পার-ভেম্পার-মিকচার মেশিনগাড়ি ৭.৭৯%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ পিকআপ-আর্মি ট্রাক ৩.৯৬%, যাত্রীবাহী বাস ১১.৬৯%, মোটরসাইকেল ২৬.০৯%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-হিউম্যান হলার) ১৪.০৫%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন- (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-পাওয়ারটিলার-মাহিন্দ্র-টমটম-ঠ্যালাগাড়ি) ৫.৬৩% এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ২.১৫%।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১,৪৩৭ টি। (ট্রাক ৩০২, বাস ১৬৮, কাভার্ডভ্যান ৩০, পিকআপ ৭৯, ট্রলি ২৮, লরি ২৩, ট্রাক্টর ৪৫, ভেম্পার ২, ডাম্পার ৪, মিকচার মেশিন গাড়ি ২, ড্রামট্রাক ৭, কার্গো ট্রাক ১, পুলিশ পিকআপ ১, আর্মি ট্রাক ১, মাইক্রোবাস ২১, প্রাইভেটকার ২৬, এ্যাম্বুলেন্স ৮, মোটরসাইকেল ৩৭৫, থ্রি-হুইলার ২০২(ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-হিউম্যান হলার), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৮১ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-পাওয়ারটিলার-মাহিন্দ্র-টমটম-ঠ্যালাগাড়ি) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ৩১টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ২.৪৭%, সকালে ৩১.৪৮%, দুপুরে ১৭.৫৭%, বিকালে ১৮.৬৩%, সন্ধ্যায় ১২.০২% এবং রাতে ১৭.৮০%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩.২৩%, প্রাণহানি ২২.৭২%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.৫৭%, প্রাণহানি ১৯.০৭%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০.২৮%, প্রাণহানি ২২.৮২%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৪৩%, প্রাণহানি ৯.৬৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৮%, প্রাণহানি ৫.০৩%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.৮৩%, প্রাণহানি ৪.১৫%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.১৯%, প্রাণহানি ১০.১৭% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৯৫%, প্রাণহানি ৭.২১% ঘটেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ২৩১ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ৪২ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ৪৮ জন। সবচেয়ে কম সাতক্ষীরা জেলায়, ২ জন। রাজধানী ঢাকায় ২১টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছে।

নিহতদের পেশাগত পরিচয়:
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ১১ জন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ২৭ জন, চিকিৎসক ৩ জন, পল্লী চিকিৎসক ৪ জন, স্বাস্থ্যকর্মী ২ জন, খাদ্য কর্মকর্তা ১ জন, ভূমি কর্মকর্তা ১ জন, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ১ জন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সাংবাদিক ৬ জন, কৃতি ফুটবলার ১ জন, সাবেক কৃতি ক্রিকেটার ১ জন, বাউল শিল্পী ১ জন, পিএইচপি গ্রুপের প্রধান প্রকৌশলী ১ জন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ১১ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৮ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ৫৪ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৪৬ জন, পোশাক শ্রমিক ১৯ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৮ জন, ইটভাটা শ্রমিক ৩ জন, কাঠমিস্ত্রি ৩ জন, রাজমিস্ত্রি ৪ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ১ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ৫ জন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ২৩ জন এবং ঢাকা, রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন ছাত্রসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য:
সড়ক দুর্ঘটনায় গত ২ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৭.১৫ জন নিহত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ৪৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১৭ টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৬৯ জন। এই হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৭.১২ শতাংশ এবং প্রাণহানি কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ।

জানুয়ারি মাসে ১৮৭ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১৬ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৭ জন। উল্লেখ্য, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণহানি সামান্য কমলেও এটি কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৮৩২ জন, অর্থাৎ ৮২.২১ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাক ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে। পথচারী নিহতের মাত্রাও চরম উদ্বেগজনক পর্যায়ে। পথচারীরা যেমন সড়কে নিয়ম মেনে চলে না, তেমনি যানবাহনগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। ফলে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।

এই প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটি।

কেএম/এএস

Header Ad

কেরানীগঞ্জে রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু, আহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামেরকান্দা বোর্ডিং এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের কেরানীগঞ্জ স্টেশন মাস্টার কাজল জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে রেস্টুরেন্টটিতে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়, যা পাশের দুটি দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, গ্যাস সিলিন্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad

বিরামপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপি'র শারদীয় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করে। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ছিল বিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি মিঞা শফিকুল আলম মামুন। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, পৌর বিএনপি'র সভাপতি হুমায়ুন কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম নূরা, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ‍্যাডভোকেট মিঞা শিরন আলম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর রব তোতা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ নোমান এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ। এছাড়াও বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা শাখার সভাপতি শিশির কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক শান্ত কুমার কুন্ডু এবং পৌর শাখার সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাস বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপজেলা শাখার সভাপতি উজ্জ্বল কুমার এবং সাধারণ সম্পাদক পবন কুমার শীল বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান শেষে, উপজেলার ৩৫টি পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের হাতে বিএনপি'র পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৬৫-এ পৌঁছেছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ফলে, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮২ জনে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশে ৯২৭ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩২ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া, ঢাকা বিভাগে ১৭৩ জন, বরিশালে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ জন, খুলনায় ৭৬ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন এবং রাজশাহীতে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩.২% পুরুষ এবং ৩৬.৮% নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮২ জনের মধ্যে ৫১.১% নারী এবং ৪৮.৯% পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন ছিলেন।

অবশ্য, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর মশাবাহিত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

২০১৯ সালে দেশে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সে সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমনটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। এছাড়া, ২০২২ সালে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যেখানে ২৮১ জনের মৃত্যু ঘটে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেরানীগঞ্জে রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু, আহত ৪
বিরামপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপি'র শারদীয় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭
ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে
সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী
পিটিআই-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তান, সেনা মোতায়েন
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার নয়, ক্ষতি সাড়ে ১২ কোটি !
এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
টাকায় থাকছে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নকশার প্রস্তাব
মাঠ কাঁপিয়ে বেড়ানো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা এখন কোথায়?
নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াত আমির
কারাগারে অসুস্থ সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভর্তি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত
আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস
বিএনপির প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: নির্বাচনী রোডম্যাপসহ একাধিক দাবি
সোহেল রানার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা, নাম ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’