মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুই মাসেই ৮৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১০১২ জন

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৪৮টি। এতে নিহত হয়েছেন ১০১২ জন এবং আহত হয়েছেন ১১৪৬ জন। নিহতের মধ্যে নারী ১৪৩, শিশু ১৩০। এর মধ্যে ৩৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৯.৮২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২.২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ২০২ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৯.৯৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১৪৭ জন, অর্থাৎ ১৪.৫২ শতাংশ। এই সময়ে ১২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৫ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংস্থাটি জানায়, ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৪০৩ জন (৩৯.৮২%), বাস যাত্রী ৬৬ জন (৬.৫২%), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি যাত্রী ৫৭ জন (৫.৬৩%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ২৫ জন (২.৪৭%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৮১ জন (১৭.৮৮%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি-ডাম্পার-পাওয়ারটিলার)৪৮ জন (৪.৭৪%) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ৩০ জন (২.৯৬%) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৫৩টি (৪১.৬২%) জাতীয় মহাসড়কে, ২৯৫টি (৩৪.৭৮%) আঞ্চলিক সড়কে, ১৪৩টি (১৬.৮৬%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি (৫.৪২%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১১টি (১.২৯%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন:
দুর্ঘটনাসমূহের ১৫১টি (১৭.৮০%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৭৯টি (৪৪.৬৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৯৯টি (২৩.৪৬%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৯৩টি (১০.৯৬%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২৬টি (৩.০৬%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৮.৬০%, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রামট্রাক-কার্গো ট্রাক-ডাম্পার-ভেম্পার-মিকচার মেশিনগাড়ি ৭.৭৯%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ পিকআপ-আর্মি ট্রাক ৩.৯৬%, যাত্রীবাহী বাস ১১.৬৯%, মোটরসাইকেল ২৬.০৯%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-হিউম্যান হলার) ১৪.০৫%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন- (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-পাওয়ারটিলার-মাহিন্দ্র-টমটম-ঠ্যালাগাড়ি) ৫.৬৩% এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ২.১৫%।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১,৪৩৭ টি। (ট্রাক ৩০২, বাস ১৬৮, কাভার্ডভ্যান ৩০, পিকআপ ৭৯, ট্রলি ২৮, লরি ২৩, ট্রাক্টর ৪৫, ভেম্পার ২, ডাম্পার ৪, মিকচার মেশিন গাড়ি ২, ড্রামট্রাক ৭, কার্গো ট্রাক ১, পুলিশ পিকআপ ১, আর্মি ট্রাক ১, মাইক্রোবাস ২১, প্রাইভেটকার ২৬, এ্যাম্বুলেন্স ৮, মোটরসাইকেল ৩৭৫, থ্রি-হুইলার ২০২(ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-হিউম্যান হলার), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৮১ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-পাওয়ারটিলার-মাহিন্দ্র-টমটম-ঠ্যালাগাড়ি) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ৩১টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ২.৪৭%, সকালে ৩১.৪৮%, দুপুরে ১৭.৫৭%, বিকালে ১৮.৬৩%, সন্ধ্যায় ১২.০২% এবং রাতে ১৭.৮০%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩.২৩%, প্রাণহানি ২২.৭২%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.৫৭%, প্রাণহানি ১৯.০৭%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০.২৮%, প্রাণহানি ২২.৮২%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৪৩%, প্রাণহানি ৯.৬৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৮%, প্রাণহানি ৫.০৩%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.৮৩%, প্রাণহানি ৪.১৫%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.১৯%, প্রাণহানি ১০.১৭% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৯৫%, প্রাণহানি ৭.২১% ঘটেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ২৩১ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ৪২ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ৪৮ জন। সবচেয়ে কম সাতক্ষীরা জেলায়, ২ জন। রাজধানী ঢাকায় ২১টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছে।

নিহতদের পেশাগত পরিচয়:
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ১১ জন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ২৭ জন, চিকিৎসক ৩ জন, পল্লী চিকিৎসক ৪ জন, স্বাস্থ্যকর্মী ২ জন, খাদ্য কর্মকর্তা ১ জন, ভূমি কর্মকর্তা ১ জন, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ১ জন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সাংবাদিক ৬ জন, কৃতি ফুটবলার ১ জন, সাবেক কৃতি ক্রিকেটার ১ জন, বাউল শিল্পী ১ জন, পিএইচপি গ্রুপের প্রধান প্রকৌশলী ১ জন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ১১ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৮ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ৫৪ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৪৬ জন, পোশাক শ্রমিক ১৯ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৮ জন, ইটভাটা শ্রমিক ৩ জন, কাঠমিস্ত্রি ৩ জন, রাজমিস্ত্রি ৪ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ১ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ৫ জন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ২৩ জন এবং ঢাকা, রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন ছাত্রসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য:
সড়ক দুর্ঘটনায় গত ২ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৭.১৫ জন নিহত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ৪৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১৭ টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৬৯ জন। এই হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৭.১২ শতাংশ এবং প্রাণহানি কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ।

জানুয়ারি মাসে ১৮৭ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১৬ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৭ জন। উল্লেখ্য, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণহানি সামান্য কমলেও এটি কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৮৩২ জন, অর্থাৎ ৮২.২১ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাক ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে। পথচারী নিহতের মাত্রাও চরম উদ্বেগজনক পর্যায়ে। পথচারীরা যেমন সড়কে নিয়ম মেনে চলে না, তেমনি যানবাহনগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। ফলে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।

এই প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটি।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

অতীতের মত এবারও যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করা হবে : ফারুকী

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবিঃ সংগৃহীত

অতীতের ন্যায় এবারও যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শিল্প-সাহিত্য চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখন প্রচুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। আর পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি বড় উৎসব। এটি প্রত্যেকবার যেভাবে পালিত হয় এবারও সেভাবেই পালিত হবে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অধিবেশন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুকী বলেন, আমরা অস্বীকার করছি না যে, কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। তবে অনেক জায়গায় সফলভাবে অনুষ্ঠানও হচ্ছে। যেখানে সমস্যা, সেখানেই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান করার চেষ্টা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাট্য উৎসব বন্ধের পেছনে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তাদেরই (নাট্যকর্মীদের) আরেক দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সেটি বন্ধ করা হয়েছে। কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত নয়। আর এর সঙ্গে সরকারেরও কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, আমি সব কাজ ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে করব না। অনেক কাজ আমি আড়ালে করে থাকি। সব কাজ শুধু ঘোষণা দিয়ে ক্রেডিট নিতে হবে তা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কথা অনেকে বলবে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে প্রত্যেকটি কথার উত্তর আমরা দিতে পারি না।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চিত্রগুলো মাঠপর্যায় প্রচারের কোনো নির্দেশনা ডিসিদের দেওয়া হয়েছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অনেকগুলো ডকুমেন্টারি বানানো হয়েছে। এগুলো মাঠপর্যায়ের প্রশাসন এবং শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এই কাজটি চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর যে পরিমাণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে এখন তার চেয়ে আরও বেশি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেও অনেক বাউলকে ধরে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা তখনও ছিল, এখনও আছে। তবে এখনকার সমস্যাগুলোকে কেউ কেউ বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা একটু খেয়াল করে দেখুন এখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কী পরিমাণ হচ্ছে? ফলে ঢালাওভাবে মন্তব্য করাটা মুশকিল। আমরা একদিনে এই বাংলাদেশকে বদলে ফেলতে পারব না।

আমরা দেশটাকে পেয়েছি পুলিশবিহীন অবস্থায়। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসন ঠিক করে এখানে আসাটা সহজকাজ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

পলকের স্ত্রীর ২৮ বিঘা জমি ক্রোক, ১৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে আদালত। তার নামে থাকা ২৮ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, সংস্থার সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম পৃথক দুটি আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, "আরিফা জেসমিনের নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর, দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো উপায়ে মালিকানা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।"

সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার স্থাবর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জরুরি বলে মনে করছে দুদক।

এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট দেশত্যাগের চেষ্টার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পলককে আটক করা হয়। পরে বিভিন্ন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

দুদকের এই পদক্ষেপের ফলে পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিনের সম্পদ ও আর্থিক লেনদেন কঠোর নজরদারির আওতায় এসেছে।

Header Ad
Header Ad

সানীর অকাল মৃত্যুতে নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন

সদ্য প্রয়াত অভিনেতা শাহবাজ সানী। ছবিঃ সংগৃহীত

তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানীর হঠাৎ এই মৃত্যু কেউ মানতে পারছেন না। কারণ তার ঘনিষ্ঠরা দাবি করছেন একেবারেই সুস্থ ছিলেন অভিনেতা। তার মৃত্যুর পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা শাহবাজ সানী।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরেই নিজ গ্রাম লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয় সানীর মরদেহ। বাদ জোহর জানাজা শেষে অভিনেতাকে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন নাট্য পরিচালক মাসরিকুল আলম।

শাহবাজ সানীর মৃত্যুর পর ঘনিষ্ঠরা প্রশ্ন তুলেছেন নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে। জানিয়েছেন সানী সিন্ডিকেটের শিকার। কাজ করার তুমুল ইচ্ছা থাকলেও অনেকের সঙ্গে কাজ করতে পারছিলেন না। বাদও পড়ছিলেন কাজ থেকে। কাজ নিয়ে অভিমান ছিল তার। 

নির্মাতা ইমরান রবিন সানীর প্রয়াণে অভিমান করে লিখেছেন, সানীর অকাল মৃত্যু আবারও প্রমাণ করল আমাদের সময় যখন তখন শেষ হয়ে যাবে। কী হবে এত সিন্ডিকেট, অহংকার আর অভিশাপ দিয়ে...সময় তো অল্প।

পরিচালক আমিনুল শিকদার লিখেছেন, মানুষ মারা গেলে কদর বেড়ে যায়।’ একই কথা লিখেছেন আরেক অভিনেতা সিয়াম নাসির। তিনি লিখেছেন, ‘মানুষ মারা গেলে ভালোবাসা উথলাইয়া পড়ে। বেঁচে থাকতে খবর লয় না।

পরিচালক ইমরান রবিন আরও বলেন, এই সময়ে চরিত্র অভিনেতাই নয়, পরিচালকসহ সবার জন্য সিন্ডিকেট প্রকট আকার ধারণ করছে। এই সিন্ডিকেটে একজনের হয়ে কাজ করলে অন্যরা তাকে নিয়ে কাজ করতে চাইবে না। সামনে এক কথা বলে পেছনে আরেক কথা বলে বেশির ভাগ শিল্পী। এখন সবাই সানীর প্রশংসা করছে, বলছে ভালো অভিনেতা ছিল। সানী চাইত সবার সঙ্গেই কাজ করতে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে সেই সুযোগ অনেক কম পেয়েছে। তার জন্য যদি কেউ নিঃস্বার্থভাবে কিছু করত, তাহলে সে মানসিকভাবে আরও ভালো থাকত। 

‘জামাইয়ের মাথা গরম’ নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে কাজ করেন সানী। এ চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী রাকিব চাকলাদার ও চ্যানেলটি নাট্য নির্মাতা প্রিন্স রোমান।

প্রিন্স রোমান এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তরের মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে আমরা তিনটা নাটক নিয়ে কথা বলছিলাম সানীর সঙ্গে। তখন রাত সোয়া ১০টা বাজে। এর মধ্যে হঠাৎ সানী প্রচণ্ড কাশতে থাকে। পাশাপাশি ঠান্ডায় সর্দি ছিল। কাশি বেশি হলে সে একসময় আমাদের কাছ থেকে উঠে পাশে যায়। তখনো কাশছিল। সে সময়েই হঠাৎ দেখি, সে পড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী রাকিব চাকলাদার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সানী ভালো অভিনেতা ছিল, কিন্তু কেউই তাকে প্রধান চরিত্রে সুযোগ দেয়নি। সে নাট্যাঙ্গনে পলিটিকসের শিকার। তাকে সাপোর্ট দিতেই আমরা একটার পর আরও তিনটা নাটকের নিয়ে কাল কথা বলছিলাম। সেই মিটিংই যে সানীর জীবনের শেষ মিটিং হবে, সেটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে।

নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে পা রাখেন শাহবাজ সানী। এরপর ছোট পর্দার নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে শুরু করলেও কেন্দ্রীয় চরিত্রেও দেখা গেছে সানীকে।

২০১৮ সালে গোলাম কিবরিয়া ফারুকীর পরিচালনায় প্রথমবার ‘আবদুল্লাহ’ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আরও রয়েছে ‘ম্যাচ মেকার’, ‘আহারে মন’, ‘তুমি আছো হৃদয়ে’, ‘আনারকলি’।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অতীতের মত এবারও যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করা হবে : ফারুকী
পলকের স্ত্রীর ২৮ বিঘা জমি ক্রোক, ১৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সানীর অকাল মৃত্যুতে নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন
প্রজ্ঞাপন জারি করে অবশেষে পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রদল সংঘর্ষ চলছে, আহত অন্তত ১০
আজহারুলের মুক্তি ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে নওগাঁয় জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ৪ লাশ উদ্ধার, যা জানা গেল
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত: আসিফ মাহমুদ
ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রিয়াদে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
ফেসবুকে হরতাল ডেকে কোথাও নেই আওয়ামী লীগ! (ভিডিও)
ইডেনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী বৈশাখি আটক
খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি নেতা লালু
আইনি প্রক্রিয়া মেনেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছিল: উপদেষ্টা
বিয়ে ছাড়াই ২৩ বছর বয়সে মা হয়েছেন শ্রীলীলা!
৭ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে পালিয়ে ১০ বছর, অবশেষে গ্রেপ্তার
রিয়াল-আতলেতিকোকে হটিয়ে আবারও শীর্ষে বার্সেলোনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
ভালোবাসা দিবসে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনা, নারী সাংবাদিকের মৃত্যু
বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাই পাবেন নন-ক্যাডার পদ!
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা