বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে: পীর চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহরাতাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। এ দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, ‘নীতি ও আদর্শের ক্ষেত্রে অটল থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিগত ৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে যারা রাজনীতি করেছে তারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে নাই, এ কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল আয়োজিত জাতীয় ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের চলমান অস্থিরতা নিরসনের একমাত্র পথ হলো ইসলামকে বিজয়ী করা। সুতরাং সকল ইসলামী দলের সমন্বয়ে মজবুত ইসলামী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে।’

রেজাউল করীম বলেন, চরমোনাই মাহফিলের মঞ্চ হক্কানী ওলামাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ওলামাদের সহযোগিতা থাকলে কোন ষড়যন্ত্র এই কাফেলা ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ওলামায়ে কেরাম যে যে পস্নাটফর্মে থেকে ভালো কাজ করছে আমাদের সকলের উচিত সে ভালো কাজের প্রশংসা করা। ওলামায়ে কেরামের চোখ কান খোলা না থাকলে উম্মাহ ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং ওলামাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। বর্তমান সরকারের উপর সওয়ার হয়ে একদল নাস্তিক সিলেবাসের মাধ্যমে জাতিকে নাস্তিক বানানোর পায়তারা করছে।
ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে এধরনের যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বদলীয় জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারলেই কেবল আমরা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শায়খ জাকারিয়া রহ. ইসলামী রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, অতীতের ওলামাদের মিমাংশিত বিষয় যেমন-আক্বিদা, আমল ও রাজনীতির বিষয়ে নতুন কিছু মানা যাবে না। চরমোনাই বুজুর্গরা যেভাবে চলছেন এই ভাবে কাজ চলতে থাকলে এক সময় ঐক্য হয়ে যাবে ইনশাআলস্নাহ।

ঢাকা নগরের পীর মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, ঐক্য করতে হবে কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে। শরীয়তের সঙ্গে ঐক্য না হলে কাজ হবে না।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আলেম ওলামাদের কাজ শুধু মসজিদে মাদরাসায় নয়, দেশের কোন সেক্টর কোথায় কীভাবে চলবে তার নির্দেশ দেওয়া ও দেখা শোনা করা তাদের দায়িত্ব। গত ৫০ বছরে শোষক ও শোষিত বলে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম ৭১ এ জামায়াত জালিম ও মজলুমের লড়াইয়ে জালিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এজন্য জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমা চাইতে হবে।

ওলামা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী সরকার, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. বেলাল নুর আজিজী, খুলনা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাও. মোশতাক আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জোবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহিবুল্লাাহ, বিশিষ্ট আলেম মাও. ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এর সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা শাহ আলম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. ফারুখ আহমেদ, মুফতি হাফিজুর রহমান গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি গোলামুর রহমান, হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী মাও. জোনায়েদ বিন জালাল, মাও. ইসমাইল মাদানী, মাও. আকরাম হোসেন, অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাও. ইমতিয়াজ আলম, মাও. আশিকুল্লাহ, শায়খুল হাদিস মুফতি আজিজুল হক, মাও. হোসাইন আহমেদ, জাতীয় দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তাজুল ইসলাম, মুফতি মজিবুর রহমান, মাও. ইকবাল সিরাজী, মুফতি ওমর ফারুক, মাও. আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতি লিয়াকত আলী, মাও. আবদুর রাজ্জাক কাসেমী, মাও. হারুনুর রশিদ কাসেমী, মুফতি রেজওয়ান রফিকী, মুফতি রেজাউল করীম আবরার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, শ্রমিক আন্দোলন সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাও. মীর আহমদ মিরু, কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল বাতেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মাওলানা বজলুর রহমান খান, ফেনী ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতী ইউসুফ কাসেমী এবং ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

এদিকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৮.৩০টায় হযরত পীর চরমোনাই'র আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে। চরমোনাই মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে মোট ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন বলে চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল (সিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। তাদের নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম