শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘পিলখানা ট্র্যাজেডিতে দেশের সার্বভৌমত্ব মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল ও দেশের সামরিক বাহিনীকে মেধাশূন্য করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ২০০৯ সালে পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেন, ওই ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দায়ী। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস ও জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হোক।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ সেনা দিবস‘ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

সভায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১২ দলীয় জোট।

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও এসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করীম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, ১২ দলীয় জোটের নেতা মুফতি জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, হান্নান আহমেদ বাবলু, রফিকুল ইসলাম মিন্টু, মিজান পাটোয়ারী, চাষী এনামুল হক, মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, এমএ পাশা প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে পঙ্গু বানানো। এই হত্যাকাণ্ড ছিল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সেদিনের সেই নারকীয় ঘটনার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। সেদিন শুধু চৌকষ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কুশীলব কারা ছিল জাতি আজও জানতে পারেনি। তাদের কেনইবা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো না? জাতি সেটা জানতে চায়।

তারা বলেন, দেশে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেইসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আলেম ওলামা এবং অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যাতে কোনো ভোট ডাকাতির সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, পিলখানার ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আজকে সেই ঘটনা নিয়ে কথা বলা অত্যন্ত কষ্টকর। আজকেও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের মন্ত্রীদের কেউ বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। কেউ বলে পারবেন না। আসলে তারা প্রলোভন দেখানো শুরু করেছে।

তিনি বলেন, দেশের চলমান সংকট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ১২ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করবে। এজন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। সেই সক্ষ্যে আগামী ৪ মার্চ সারাদেশে বিভাগীয় শহরের থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পিলখানায় যা ঘটেছিল তা নির্মম হত্যাযজ্ঞ। সেই ঘটনা ৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন, এরআগে ২০০০ সালের দিকে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বড়ইবাড়িতে বিএসএফ ও তৎকালীন বিডিআর এর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল। সেসময় ১৬/১৭ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। যা ছিল বিএসএফের পরিকল্পিত ঘটনা।

তিনি বলেন, সেসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র অনেক হুমকি দিয়েছে। তারা পিলখানা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিডিআরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পরবর্তী সরকার আ ল ম ফজলুর রহমানকে চাকুরিচ্যুত করেছে। ওই যে বিএসএফ পরাজিত হয়েছে তার কারণে বিএসএফ ক্ষুব্ধ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পিলখানা হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে। এটা আমরা ব্যক্তিগত মূল্যায়ন।

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার করব। সেদিন কেউ পার পাবে না। সেই ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার ও ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করব। আমরা পরিবর্তন চাই। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই। কারণ বর্তমান সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। তরুণ সমাজকে নাস্তিক বানানোর জন্য কাজ করছে সুপরিকল্পিতভাবে। আসুন এই সরকারের পতনের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে শামিল হই।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, পিলখানার নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। সেইসাথে প্রতিবেশী দেশও দায় এড়াতে পারে না। কেনো সেখানে মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক সেদিন গিয়েছিল? সেই জবাব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। আজকে কার কাছে আমরা বিচার চাইব? আমরা তাদের পতন চাই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আমরা যেন ভারত শাসিত রাজ্যে বাস করছি? আজকে ৯৫ বার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট দাখিল পেছানো হয়েছে। এটা কেনো?

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নির্মমভাবে শহীদ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সেদিনের ঘটনা ঘটেছে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই সেদিনের বর্বর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। অধিকার আদায়ে বিএনপি সহ আমরা রাজপথে আছি। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। এটা সিকিম নয় ভূটান নয়, এটা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার স্বাধীন বাংলাদেশ।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের খুশির খবর দিল সৌদি আরব

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে অবস্থানরত মেয়াদোত্তীর্ণ ভিজিট ভিসাধারী প্রবাসীদের জন্য স্বস্তির খবর দিয়েছে দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর (জাওয়াজাত)। নতুন ঘোষণায় জানানো হয়েছে, এখন থেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রবাসীরা বৈধভাবে দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন।

সুবিধাটি চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে, যা হিজরি ক্যালেন্ডারের ১ মহররম তারিখে কার্যকর হয়।

জাওয়াজাত জানিয়েছে, যেসব বিদেশির ভিজিট ভিসা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, তারা নির্ধারিত ফি ও জরিমানা পরিশোধ করে সৌদি আরব থেকে চূড়ান্ত প্রস্থানের (ফাইনাল এক্সিট) জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই আবেদন ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কিংবা অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।

প্রবাসীদের আবেদন করতে হবে ‘আবশের’ নামে পরিচিত সৌদি সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। সেখানকার ‘তাওয়াসুল’ সেবাটি ব্যবহার করেই ফাইনাল এক্সিটের আবেদন সম্পন্ন করা যাবে।

যারা নিজেরা আবেদন করতে পারেন না, তারা পরিচিত কাউকে দিয়ে অথবা নিকটবর্তী কোনো ভিসা সেবা কেন্দ্র কিংবা সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

সৌদি সরকার জানিয়েছে, তারা সবসময় চায় বিদেশিরা যাতে জরিমানা ও জটিলতা ছাড়াই দেশে ফিরতে পারেন। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ ভিজিট ভিসাধারীদের এই সুযোগ দ্রুত কাজে লাগাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চীন সফর অত্যন্ত ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

চীন সফরকে ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সফর ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণেই আমরা গিয়েছিলাম। পার্টি টু পার্টি সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করাই ছিল মূল লক্ষ্য, এবং সে লক্ষ্য সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।”

তিনি জানান, সফরে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এ ছাড়া দুই দলের মধ্যে আগামী দুই বছরের মধ্যে একটি রাজনৈতিক সংলাপ আয়োজনে সমঝোতা স্মারক (MoU) সইয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চীনের নেতারা তার নেতৃত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং আমরা চীনকে পাল্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছি, যা তারা গ্রহণ করেছেন।”

চীনের নেতৃত্ব ও অগ্রগতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীন যেভাবে অগ্রসর হয়েছে, তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”

প্রায় এক সপ্তাহের এই সফরে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহ উল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।

বেইজিং সফরকালে বিএনপি নেতারা চীনের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং, সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

Header Ad
Header Ad

ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরান যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে শুরু করে, তাহলে ‘নিঃসন্দেহে’ দেশটিতে বোমা হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিবিসির সাংবাদিক নোমিয়া ইকবালের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা খুবই সতর্কভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। যদি তারা এমন কিছু করে যা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে।”

এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন বাহিনী ইরানের কয়েকটি কৌশলগত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার মধ্যে ‘বাংকার বাস্টার’ বোমার ব্যবহারও ছিল। হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যদিও ট্রাম্প পরে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক ভাষণে দাবি করেন, ওই হামলায় ইরান বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প তার অবস্থানে অনড় থেকে পাল্টা মন্তব্য করেন, “আমরা জানতাম কোথায় আঘাত করতে হবে। তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।”

পরবর্তীতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি জানতেন আয়াতুল্লাহ কোথায় লুকিয়ে আছেন, এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে তাকে টার্গেট করতে না করার নির্দেশও তিনিই দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে গোপনে আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। যদিও তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের ফলাফল তাদের অনুকূলে গেছে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যাহত করতে পারেনি।

তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ভিন্ন সুরে স্বীকার করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় কিছু পারমাণবিক স্থাপনায় ‘গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি’ হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের খুশির খবর দিল সৌদি আরব
চীন সফর অত্যন্ত ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ইনিংস ব্যবধানে হারের পরই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন
কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত