শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যে পথ দেখাবে সফলতা !

ছবি: সংগৃহীত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক লিও টলস্টয় যখন নিঃসঙ্গ অবস্থায় রাস্তার ধারে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন, সে সময় তার কোটের পকেট হতে তার নিত্য সময়ের সঙ্গী যে বইটি পাওয়া যায়, সেটি ছিল আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী লিখিত ‘দ্য সেয়িংস অব প্রফেট মুহাম্মদ’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বাংলায় যার শিরোনাম ‘মহানবীর বাণী’।

হাদিস সংকলন এই বইয়ে উল্লেখিত এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূল্লাল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি নিজের জন্য যেটা ভালো মনে করবে, অন্যের জন্যও তা ভাববে। আর যেটা নিজের জন্য মন্দ মনে করবে, অন্যের জন্যও তাই মনে করবে।

’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
বর্ণিত হাদিসের বিশ্লেষণের পূর্বে একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের (মরহুম) প্রফেসর আবদুন নূর ‘আয-যিকরু ওয়াল ফালাহ’ গ্রন্থে তার প্রত্যক্ষভাবে শোনা একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি হলো-

এক মার্কিন তরুণী দীর্ঘ দু’বছর মেলামেশার পর, তার বাংলাদেশি বন্ধুকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। বন্ধুটি বলে যে, সে রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান। তাই তাকে বিয়ে করতে হলে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হতে হবে। মার্কিন তরুণীটি ইসলাম ধর্ম কী, তা জানতে ও বুঝতে চাইলো। ছেলেটি তখন তাকে আল্লামা আবদুল্লাহ ইউসূফ আলী কর্তৃক ইংরেজিতে অনূদিত কোরআন শরিফের একটি কপি দিয়ে বললো যে, ওটি পড়লে সে ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবে।

দু’মাস কোরআন অধ্যয়নের পর মার্কিন তরুণীটি এসে জানালো, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করবো। ইসলামের সৌন্দর্য ও সমন্বিত নীতিমালা আমাকে আকর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে আমার মা-বাবারও আপত্তি নেই। কিন্তু তোমাকে আর বিয়ে করতে পারবো না। কারণ তোমার আচার-আচরণ লক্ষ্য করছি সম্পূর্ণ কোরআন পরিপন্থী। -পৃ. ৩৭

টলস্টয় এবং মার্কিন তরুণী যা বুঝতে ও অনুধাবণ করতে পেরেছে, মুসলমানরা তা কতটুকু হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হয়েছেন? অথচ পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারা (আয়াত ১৮৯), সূরা আলে ইমরান (আয়াত ১৪৪), সূরা আল মুমেনুন (আয়াত ১-১১), সূরা আন নূর (আয়াত ৬২), সূরা আশ শোয়ারা’র (আয়াত ৯০) মানুষের শ্রেণি বিভাগ এবং তাড়না ও আচরণের মিথষ্ক্রিয়ায় মানবিক বিকাশের ধারাক্রম বর্ণনা করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে মানুষের জীবন বিকাশের পর্যায়গুলো হলো-

মানুষের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাসী মুমিন। তার ওপরের স্তরে রয়েছে সচেতনভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী মুসলিম। তার ওপরের স্তরে রয়েছে আল্লাহর সব হুকুম-আহকাম সতর্কভাবে পালনকারী মুত্তাকি। আর সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে সৎকর্মপরায়ন মোহসিনিন।

মানবজীবনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছার অভিলাষে তিলে তিলে অগ্রসর হতে হয়। গড়ে তুলতে হয় কোরআন ও সূন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন প্রণালী। আমরা প্রত্যহ ফজরের নামাজ সমাপনান্তে দিনের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। নিজ নিজ পেশা ও কর্মে আমরা পূর্ণ সফলতা প্রত্যাশা করি।

কিন্তু ‘কিভাবে জীবনে সফলতা লাভ করা যায়’- এটা জানতে হলে মানবজাতির উদ্দেশ্যে আল্লাহতায়ালার প্রথম নির্দেশনার দিকে লক্ষ্য করতে হয়। আর সেটা হলো- ‘পড়!’

অর্থাৎ পাঠ ও অধ্যয়নের নির্দেশ। অতএব নিত্য দিনের যথোপযুক্ত কর্মের শুরুতে আমাদেরকে পড়তে হবে আল্লাহতায়ালার কিতাব- আল কোরআন। যেখানে রয়েছে মানবজাতির দিশা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বহুবিধ সমস্যার সমাধান এবং সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা।

পবিত্র কোরআনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে যে, আমরা যে কাজই করি না কেন, প্রতিটি কাজ যেন আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সূসম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে মানুষকে উদ্যমী ও পরিশ্রমী হতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘ফলাফলের জন্য বিশ্বাসীরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করবে এবং ধৈর্য ধারণ করবে। ’-সূরা ইবরাহিম: ১১-১২

এ প্রেক্ষাপটে আমাদের সামনে সফলতার আদর্শ হচ্ছেন পবিত্র কোরআনের ভাষায় অনুসরণীয় উত্তম আদর্শ মহানবী (সা.) জীবন।

কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন সমাজহিতৈষী, সত্যবাদী, চরিত্রবান, সংঘাত নিরসনে উত্তম ও ন্যায়সঙ্গত সমাধানকারী ও বিশ্ব আমানতদার ‘আল-আমিন’। পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন আদর্শ স্বামী ও স্নেহময়-দায়িত্ববান পিতা। সামাজিক জীবনে তিনি ছিলেন সদাচারী ব্যক্তিত্ব, উপকারী প্রতিবেশী, সৎ ও সফল ব্যবসায়ী, দানবীর, আধ্যাত্মিক সাধনায় সিদ্ধ পুরুষ শ্রেষ্ঠ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কূটনীতিক, কৌশলী সমর নেতা, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, ত্যাগ-ক্ষমা-মহত্ত্বে অতুলনীয় আদর্শ, দুর্বল, সংখ্যালঘু ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠতম সংগ্রামী।

অতএব মানুষের জন্য হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও সূন্নাহ হচ্ছে জীবনের সফলতার একমাত্র পরীক্ষিত পাথেয়।

এ বিষয়ে কোরআনে কারিমের নিদের্শনা হচ্ছে, ‘আনুগত্য করো আল্লাহর এবং অনুসরণ করো আল্লাহর রাসূলকে। ’ -সূরা আলে ইমরান: ৩২

জীবনের সফলতা, এমন কি পরকালীন অনন্ত জীবনের সাফল্য ও মুক্তির জন্য আল্লাহর আনুগত্যের পথে যেতে হবে। আর সে সাফল্যের পথ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে।

অতএব প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে যেমন প্রভুর সঙ্গে দাসের সম্পর্ক গড়তে হয়; তেমনিভাবে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে উম্মতের সম্পর্ক গড়তে হয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় আলোচনা রয়েছে। এসব আলোচনা নিয়ে আমাদের ভেবে দেখা দরকার। কারণ কোরআন নির্দেশিত পথেই রচিত হবে রাসূলের সঙ্গে বান্দার সম্পর্কের ভিত্তি।

পবিত্র কোরআনে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কিত আয়াতসমূহকে আমরা ১৫টি বিষয়ভিত্তিক অধ্যায়ে ভাগ করতে পারি।

১. মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। সূরা আল বাকারা- ১১৯, আন নিসা- ৭৯, আর রা’দ- ৩০, বনী ইসরাঈল- ১০৫, আল আম্বিয়া- ১০৭, আল আহজাব- ৪৫, সাবা ২৮, ইয়াসিন- ৩।

২. নবীদের মানবরূপী মাবুদ মনে করা কুফরি। সূরা আল মায়েদা: ৭২-৭৪।

৩. নিজেদের দিকে নয় বরং আল্লাহর দাসত্বের দিকেই নবীদের আহ্বান। সূরা আলে ইমরান- ৭৯।

৪. রাসূল (সা.)সব নবীদের মধ্যে উত্তম। সূরা আল আহজাব- ৪০ ও সাবা- ৩৮।

৫. রাসূল (সা.)-এর বিশেষ গুণাবলী। -সূরা আত তাওবা- ১২৮, আল আম্বিয়া- ১০৭, আল আহজাব- ৪৫-৪৬ ও সাবা- ২৮।

৬. আল্লাহর রাসূলের দায়িত্ব। সূরা আলে ইমরান-২০, আল মায়েদা- ৬৭, ৯২ এবং ৯৯, আর রা’দ- ৪০ ও আশ শুরা- ৮৪।

৭. রাসূল (সা.) হচ্ছেন নামাজিদের ইমাম। সূরা আন নিসা- ১০২ ও আত তাওবা- ১০৩।

৮. রাসূল (সা.) হচ্ছেন আল্লাহর তরফ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক। সূরা আন নিসা ৬৫ ও ১০৫।

৯. রণাঙ্গনের সেনাপতি আল্লাহর রাসূল (সা.)। সূরা আলে ইমরান- ১২১, আন নিসা- ৮৪, আল আনফাল- ৫৭ এবং ৬৫।

১০. পরামর্শ সভা বা শুরা কাউন্সিলের প্রধান মহানবী (সা.)। সূরা আলে ইমরান- ১৫৯।

১১. রাসূল (সা.) হচ্ছেন সর্বোত্তম চরিত্রের নমুনা। সূরা আলে ইমরান- ১৫৯, আত তাওবা- ১২৭, আল ক্বলাম- ৪।

১২. রাসূল (সা.) ছিলেন শত্রুদেরও কল্যাণকামী। সূরা আল কাহফ- ৬।

১৩. সকল নবীই রাসূল (সা.)-এর উম্মতের ব্যাপারে সাক্ষী। সূরা আন নাহল- ৮৪ ও ৮৯।

১৪. উম্মতে মুহাম্মদি অন্য সব উম্মতের সাক্ষী। সূরা বাকারা- ১৪৩।

১৫. নবীদের নিজস্ব ক্ষমতায় নয়; বরং আল্লাহর ইচ্ছায়ই তারা মোজেযা দেখাতে পারেন। সূরা আল আনআম- ১০৯ ও আর রা’দ- ৩৮।

উপরোক্ত আয়াতসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হলে রেসালাত এবং রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের একটি সূস্পষ্ট ও পরিপূর্ণ দিক-নির্দেশনা পাওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, সূরা আল ক্বমার মক্কায় অবতীর্ণ পবিত্র কোরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আল্লাহতায়ালা এই সূরায় একটি বিশেষ আয়াত ৪ বার উল্লেখ করেছেন। ওই আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?’

বস্তুত পবিত্র কোরআন শুরু হয়েছে ‘পড়’ বলে, ‘শিক্ষা দেওয়ার জন্য সহজ করে’ এবং ‘আছ কি কেউ’ বলে সন্ধান করা হচ্ছে এর শিক্ষার্থীদের।

হজরত রাসূল (সা.) সারা জীবন কোরআনের শিক্ষা প্রচার আর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে দিয়ে গেছেন দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্যের দিশা। এ কারণেই রাসূল (সা.)-এর জীবন হয়ে ওঠেছিলো –‘জীবন্ত কোরআন’ স্বরূপ।

পবিত্র কোরআনের পথে চলে রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার প্রকৃত দাসত্ব ও আনুগত্যকে জ্ঞান, শিক্ষা, প্রজ্ঞা ও কর্মের যোগ্যতায় পরিপূর্ণ করে ইহ ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিত করাই আজকের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য।

লিখেছেন- ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad

বিটিভি ভবনে আগুন: বিএনপি নেতা এ্যানি ৭ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি নেতা এ্যানি ৭ দিনের রিমান্ডে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) রামপুরা ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া গোলাম দস্তগীর প্রিন্স এবং এ বি এম খালিদ হাসানকেও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এ্যানির পক্ষে তার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ২৫ জুলাই বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে নিউ এলিফ্যান্ট রোড থেকে এ্যানিকে আটক করা হয়।

রাত ১টার মধ্যে রাজধানীসহ ১১ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

ছবি: সংগৃহীত

রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১১টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বাংলাদে শ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাত ১টার মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে লঘুচা পের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দে খিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার

আবু সাঈদের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। আবু সাঈদের মা-বাবা ও ভাই শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু সাঈদের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেখা করার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যার বিচার, পরিবারের দায়-দায়িত্বসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। আবু সাঈদ একাই দাঁড়িয়ে তা মোকাবিলার চেষ্টা করেন। পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে পুলিশ। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান। প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। অভাবের সংসারে অন্য ভাইবোনেরা লেখাপড়া করতে না পারলেও আবু সাঈদ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পুরো পরিবারের স্বপ্ন ছিল আবু সাঈদকে ঘিরে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিটিভি ভবনে আগুন: বিএনপি নেতা এ্যানি ৭ দিনের রিমান্ডে
রাত ১টার মধ্যে রাজধানীসহ ১১ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার
সমন্বয়কদের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা করেননি হারুন
অলিম্পিকের জন্য আঙুল কেটে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা!
ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
চলতি সপ্তাহে খুলতে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, লজ্জায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
রোববার থেকে মঙ্গলবার অফিস ৯টা-৩টা
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন ববিতা
অপরাধটা কী করেছি, দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
আন্দোলনকারীদের ৮ দফার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক
দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক ইতিহাসে ভিন্নধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিল ফ্রান্স
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের