বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যে পথ দেখাবে সফলতা !

ছবি: সংগৃহীত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক লিও টলস্টয় যখন নিঃসঙ্গ অবস্থায় রাস্তার ধারে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন, সে সময় তার কোটের পকেট হতে তার নিত্য সময়ের সঙ্গী যে বইটি পাওয়া যায়, সেটি ছিল আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী লিখিত ‘দ্য সেয়িংস অব প্রফেট মুহাম্মদ’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বাংলায় যার শিরোনাম ‘মহানবীর বাণী’।

হাদিস সংকলন এই বইয়ে উল্লেখিত এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত রাসূল্লাল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি নিজের জন্য যেটা ভালো মনে করবে, অন্যের জন্যও তা ভাববে। আর যেটা নিজের জন্য মন্দ মনে করবে, অন্যের জন্যও তাই মনে করবে।

’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
বর্ণিত হাদিসের বিশ্লেষণের পূর্বে একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের (মরহুম) প্রফেসর আবদুন নূর ‘আয-যিকরু ওয়াল ফালাহ’ গ্রন্থে তার প্রত্যক্ষভাবে শোনা একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি হলো-

এক মার্কিন তরুণী দীর্ঘ দু’বছর মেলামেশার পর, তার বাংলাদেশি বন্ধুকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। বন্ধুটি বলে যে, সে রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান। তাই তাকে বিয়ে করতে হলে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হতে হবে। মার্কিন তরুণীটি ইসলাম ধর্ম কী, তা জানতে ও বুঝতে চাইলো। ছেলেটি তখন তাকে আল্লামা আবদুল্লাহ ইউসূফ আলী কর্তৃক ইংরেজিতে অনূদিত কোরআন শরিফের একটি কপি দিয়ে বললো যে, ওটি পড়লে সে ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবে।

দু’মাস কোরআন অধ্যয়নের পর মার্কিন তরুণীটি এসে জানালো, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করবো। ইসলামের সৌন্দর্য ও সমন্বিত নীতিমালা আমাকে আকর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে আমার মা-বাবারও আপত্তি নেই। কিন্তু তোমাকে আর বিয়ে করতে পারবো না। কারণ তোমার আচার-আচরণ লক্ষ্য করছি সম্পূর্ণ কোরআন পরিপন্থী। -পৃ. ৩৭

টলস্টয় এবং মার্কিন তরুণী যা বুঝতে ও অনুধাবণ করতে পেরেছে, মুসলমানরা তা কতটুকু হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হয়েছেন? অথচ পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারা (আয়াত ১৮৯), সূরা আলে ইমরান (আয়াত ১৪৪), সূরা আল মুমেনুন (আয়াত ১-১১), সূরা আন নূর (আয়াত ৬২), সূরা আশ শোয়ারা’র (আয়াত ৯০) মানুষের শ্রেণি বিভাগ এবং তাড়না ও আচরণের মিথষ্ক্রিয়ায় মানবিক বিকাশের ধারাক্রম বর্ণনা করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে মানুষের জীবন বিকাশের পর্যায়গুলো হলো-

মানুষের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর প্রভুত্বে বিশ্বাসী মুমিন। তার ওপরের স্তরে রয়েছে সচেতনভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী মুসলিম। তার ওপরের স্তরে রয়েছে আল্লাহর সব হুকুম-আহকাম সতর্কভাবে পালনকারী মুত্তাকি। আর সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে সৎকর্মপরায়ন মোহসিনিন।

মানবজীবনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছার অভিলাষে তিলে তিলে অগ্রসর হতে হয়। গড়ে তুলতে হয় কোরআন ও সূন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন প্রণালী। আমরা প্রত্যহ ফজরের নামাজ সমাপনান্তে দিনের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। নিজ নিজ পেশা ও কর্মে আমরা পূর্ণ সফলতা প্রত্যাশা করি।

কিন্তু ‘কিভাবে জীবনে সফলতা লাভ করা যায়’- এটা জানতে হলে মানবজাতির উদ্দেশ্যে আল্লাহতায়ালার প্রথম নির্দেশনার দিকে লক্ষ্য করতে হয়। আর সেটা হলো- ‘পড়!’

অর্থাৎ পাঠ ও অধ্যয়নের নির্দেশ। অতএব নিত্য দিনের যথোপযুক্ত কর্মের শুরুতে আমাদেরকে পড়তে হবে আল্লাহতায়ালার কিতাব- আল কোরআন। যেখানে রয়েছে মানবজাতির দিশা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বহুবিধ সমস্যার সমাধান এবং সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা।

পবিত্র কোরআনে তাগিদ দেওয়া হয়েছে যে, আমরা যে কাজই করি না কেন, প্রতিটি কাজ যেন আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সূসম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে মানুষকে উদ্যমী ও পরিশ্রমী হতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘ফলাফলের জন্য বিশ্বাসীরা আল্লাহর ওপরই নির্ভর করবে এবং ধৈর্য ধারণ করবে। ’-সূরা ইবরাহিম: ১১-১২

এ প্রেক্ষাপটে আমাদের সামনে সফলতার আদর্শ হচ্ছেন পবিত্র কোরআনের ভাষায় অনুসরণীয় উত্তম আদর্শ মহানবী (সা.) জীবন।

কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন সমাজহিতৈষী, সত্যবাদী, চরিত্রবান, সংঘাত নিরসনে উত্তম ও ন্যায়সঙ্গত সমাধানকারী ও বিশ্ব আমানতদার ‘আল-আমিন’। পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন আদর্শ স্বামী ও স্নেহময়-দায়িত্ববান পিতা। সামাজিক জীবনে তিনি ছিলেন সদাচারী ব্যক্তিত্ব, উপকারী প্রতিবেশী, সৎ ও সফল ব্যবসায়ী, দানবীর, আধ্যাত্মিক সাধনায় সিদ্ধ পুরুষ শ্রেষ্ঠ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কূটনীতিক, কৌশলী সমর নেতা, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, ত্যাগ-ক্ষমা-মহত্ত্বে অতুলনীয় আদর্শ, দুর্বল, সংখ্যালঘু ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠতম সংগ্রামী।

অতএব মানুষের জন্য হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও সূন্নাহ হচ্ছে জীবনের সফলতার একমাত্র পরীক্ষিত পাথেয়।

এ বিষয়ে কোরআনে কারিমের নিদের্শনা হচ্ছে, ‘আনুগত্য করো আল্লাহর এবং অনুসরণ করো আল্লাহর রাসূলকে। ’ -সূরা আলে ইমরান: ৩২

জীবনের সফলতা, এমন কি পরকালীন অনন্ত জীবনের সাফল্য ও মুক্তির জন্য আল্লাহর আনুগত্যের পথে যেতে হবে। আর সে সাফল্যের পথ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে।

অতএব প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের জন্য আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে যেমন প্রভুর সঙ্গে দাসের সম্পর্ক গড়তে হয়; তেমনিভাবে আল্লাহর রাসূলের অনুসরণের মাধ্যমে উম্মতের সম্পর্ক গড়তে হয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় আলোচনা রয়েছে। এসব আলোচনা নিয়ে আমাদের ভেবে দেখা দরকার। কারণ কোরআন নির্দেশিত পথেই রচিত হবে রাসূলের সঙ্গে বান্দার সম্পর্কের ভিত্তি।

পবিত্র কোরআনে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কিত আয়াতসমূহকে আমরা ১৫টি বিষয়ভিত্তিক অধ্যায়ে ভাগ করতে পারি।

১. মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। সূরা আল বাকারা- ১১৯, আন নিসা- ৭৯, আর রা’দ- ৩০, বনী ইসরাঈল- ১০৫, আল আম্বিয়া- ১০৭, আল আহজাব- ৪৫, সাবা ২৮, ইয়াসিন- ৩।

২. নবীদের মানবরূপী মাবুদ মনে করা কুফরি। সূরা আল মায়েদা: ৭২-৭৪।

৩. নিজেদের দিকে নয় বরং আল্লাহর দাসত্বের দিকেই নবীদের আহ্বান। সূরা আলে ইমরান- ৭৯।

৪. রাসূল (সা.)সব নবীদের মধ্যে উত্তম। সূরা আল আহজাব- ৪০ ও সাবা- ৩৮।

৫. রাসূল (সা.)-এর বিশেষ গুণাবলী। -সূরা আত তাওবা- ১২৮, আল আম্বিয়া- ১০৭, আল আহজাব- ৪৫-৪৬ ও সাবা- ২৮।

৬. আল্লাহর রাসূলের দায়িত্ব। সূরা আলে ইমরান-২০, আল মায়েদা- ৬৭, ৯২ এবং ৯৯, আর রা’দ- ৪০ ও আশ শুরা- ৮৪।

৭. রাসূল (সা.) হচ্ছেন নামাজিদের ইমাম। সূরা আন নিসা- ১০২ ও আত তাওবা- ১০৩।

৮. রাসূল (সা.) হচ্ছেন আল্লাহর তরফ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারক। সূরা আন নিসা ৬৫ ও ১০৫।

৯. রণাঙ্গনের সেনাপতি আল্লাহর রাসূল (সা.)। সূরা আলে ইমরান- ১২১, আন নিসা- ৮৪, আল আনফাল- ৫৭ এবং ৬৫।

১০. পরামর্শ সভা বা শুরা কাউন্সিলের প্রধান মহানবী (সা.)। সূরা আলে ইমরান- ১৫৯।

১১. রাসূল (সা.) হচ্ছেন সর্বোত্তম চরিত্রের নমুনা। সূরা আলে ইমরান- ১৫৯, আত তাওবা- ১২৭, আল ক্বলাম- ৪।

১২. রাসূল (সা.) ছিলেন শত্রুদেরও কল্যাণকামী। সূরা আল কাহফ- ৬।

১৩. সকল নবীই রাসূল (সা.)-এর উম্মতের ব্যাপারে সাক্ষী। সূরা আন নাহল- ৮৪ ও ৮৯।

১৪. উম্মতে মুহাম্মদি অন্য সব উম্মতের সাক্ষী। সূরা বাকারা- ১৪৩।

১৫. নবীদের নিজস্ব ক্ষমতায় নয়; বরং আল্লাহর ইচ্ছায়ই তারা মোজেযা দেখাতে পারেন। সূরা আল আনআম- ১০৯ ও আর রা’দ- ৩৮।

উপরোক্ত আয়াতসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হলে রেসালাত এবং রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের একটি সূস্পষ্ট ও পরিপূর্ণ দিক-নির্দেশনা পাওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, সূরা আল ক্বমার মক্কায় অবতীর্ণ পবিত্র কোরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আল্লাহতায়ালা এই সূরায় একটি বিশেষ আয়াত ৪ বার উল্লেখ করেছেন। ওই আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?’

বস্তুত পবিত্র কোরআন শুরু হয়েছে ‘পড়’ বলে, ‘শিক্ষা দেওয়ার জন্য সহজ করে’ এবং ‘আছ কি কেউ’ বলে সন্ধান করা হচ্ছে এর শিক্ষার্থীদের।

হজরত রাসূল (সা.) সারা জীবন কোরআনের শিক্ষা প্রচার আর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে দিয়ে গেছেন দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্যের দিশা। এ কারণেই রাসূল (সা.)-এর জীবন হয়ে ওঠেছিলো –‘জীবন্ত কোরআন’ স্বরূপ।

পবিত্র কোরআনের পথে চলে রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার প্রকৃত দাসত্ব ও আনুগত্যকে জ্ঞান, শিক্ষা, প্রজ্ঞা ও কর্মের যোগ্যতায় পরিপূর্ণ করে ইহ ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিত করাই আজকের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য।

লিখেছেন- ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad
Header Ad

অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান গুরুতর ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার রাতে নিজের বাড়িতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শিরদাঁড়ায় আটকে থাকা ছুরি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়।

লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নীতীন দাঙ্গে জানিয়েছেন, সাইফের শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। ছুরিটি শিরদাঁড়ায় আটকে থাকার ফলে তরল নির্গত হচ্ছিল, যা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করেছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছুরিটি বের করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

সাইফের জনসংযোগ টিম জানিয়েছে, “অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সাইফ এখন সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় আছেন এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও নিরাপদে আছেন।”

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে সাইফের বাড়ির গৃহকর্মীর সঙ্গে এক ব্যক্তির বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুষ্কৃতিকারী। সে সময় কোনোভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সাইফ। ছেলের সুরক্ষার জন্য তিনি দ্রুত জেহের ঘরে প্রবেশ করেন। কিন্তু দুষ্কৃতিকারী তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ছুরিকাঘাত করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার দুই ঘণ্টা আগ পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতিকারী দুপুরের দিকেই বাড়িতে ঢুকে লুকিয়ে ছিল।

তদন্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাইফের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল সকালে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জমজমাট আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর টিকিটের মূল্য প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে। দর্শকদের জন্য টিকিটের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছে, যাতে সহজেই বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট উপভোগ করা যায়।

পাকিস্তান ও সংযুক্ত আবর আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসরে অংশ নেবে ৮টি দল। ভারতের ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচই হবে পাকিস্তানের তিন ভেন্যুতে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে টিকেটের মূল্য ঘোষণা করেছে আয়োজক কমিটি। এই ঘোষণায় থাকছে বড় চমকও। ভেন্যু ও ম্যাচের সাথে পরিবর্তন হবে টিকিটের মূল্যও।

পাকিস্তানের তিন ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচগুলো। আসর শুরুর একমাস আগেই টিকিট মূল্য প্রকাশ করল আয়োজক কমিটি। সাধারণ গ্যালারি, প্রথম শ্রেণি, প্রিমিয়াম, ভিআইপি ও ভিভিআইপি; ৫ ক্যাটাগরিতে কাটা যাবে টিকিট। সর্বনিম্ন এক হাজার রুপি থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার রুপি ধরা হয়েছে টিকিটের মূল্য।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচের জন্য সাধারণ গ্যালারির টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে এক হাজার রুপি। প্রথম শ্রেণির মূল্য ১৫০০ রুপি, প্রিমিয়ামের মূল্য ৩৫০০ রুপি, ভিআইপি টিকিটের মূল্য ৭ হাজার রুপি। এই ভেন্যুতে ভিভিআইপি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১২ হাজার রুপি। করাচির বাকি ম্যাচগুলোতেও টিকিটের মূল্য একই থাকছে।

এরপর লাহোরে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে সাধারণ গ্যালারিতে এক হাজার রুপি। প্রথম শ্রেণিতে তা হবে দুই হাজার রুপি। প্রিমিয়ার টিকিটের মূল্য ৫ হাজার রুপি, ভিআইপিতে তা ৭৫০০ রুপি। ভিভিআইপি টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার রুপি।

এই ভেন্যুতে হতে যাওয়া আফগানিস্তানের ম্যাচে থাকছেন না প্রথম শ্রেণি, প্রিমিয়াম, ভিআইপি ও ভিভিআইপি টিকিট। এখানে সাধারণ গ্যালারিতে টিকিট কাটা যাবে এক হাজার রুপি। আরেক শ্রেণির টিকিট রাখা হয়ে ১২৫০০ রুপিতে। অপরদিকে লাহোরের সেমিফাইনালে বেড়ে যাবে টিকিটের মূল্য। সাধারণ গ্যালারিতে টিকিট কাটতে হবে ২৫০০ রুপিতে। ভিভিআইপি টিকিটের মূল্য হবে ২৫ হাজার রুপি। বাকি ক্যাটাগরির টিকিট এই ম্যাচে থাকছে না।

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে সাধারণ গ্যালারির টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার রুপি। প্রথম শ্রেণির টিকিট কেনা যাবে ৪ হাজার রুপিতে। প্রিমিয়ার টিকিটের মূল্য ৭ হাজার রুপি, ভিআইপি ক্যাটাগরির মূল্য ১২৫০০। ভিভিআইপি টিকিট এই ম্যাচে থাকছে না। এই ভেন্যুতে অন্য ম্যাচগুলোতে সাধারণ গ্যালারির টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে এক হাজার রুপি। এসব ম্যাচের অন্য টিকিট কেনা যাবে ১২৫০০ রুপিতে।

Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আগে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুহুল কবির রিজভী।

যৌথসভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি তুলে ধরে রিজভী জানান, ১৯ জানুয়ারি বেলা ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শেরেবাংলা নগরস্থ মাজারে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

একই দিন দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেবেন।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এছাড়া পোস্টারও প্রকাশ করা হবে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর উদ্যোগে দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও বিভিন্ন ইউনিটগুলোতে স্থানীয় সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথাসময়ে এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিবরা।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার ডাকনাম কমল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৮১ সালের ৩০ মে নিহত হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি
অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেফতার
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা
কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়
চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিমের ব্যাটে জয় ফরচুন বরিশালের
আলোচনায় পিনাকী ভট্টাচার্যের নতুন বই ‘ফুলকুমারী’
বৈঠকে যোগ দিচ্ছে বিএনপির এক সদস্যের প্রতিনিধি, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দেবে না মতামত
এবার টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক
১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না বিএনপি
কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
দিল্লির অনুরোধে পাকিস্তান সফর পিছিয়ে দিলেন সুবিয়ান্তো
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে এবার আগুনের টর্নেডো
৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব