নব্য জঙ্গি সংগঠনের ২ জঙ্গি বান্দরবান কারাগারে

২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১১ পিএম | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩২ এএম


নব্য জঙ্গি সংগঠনের ২ জঙ্গি বান্দরবান কারাগারে

জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার শীর্ষ দুই সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-সিলেট জেলার কোতোয়ালী থানার মোহম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসকুর রহমান (৪৪) ওরফে রণবীর এবং মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সরমঙ্গল গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ মৃধার ছেলে মো.আবুল বাসার মৃধা (৪৪) ওরফে কয়।

তারা দুই জনই জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শীর্ষ সামরিক শাখার সদস্য। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আক্তারের আদালত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালত পুলিশ পরিদর্শক (জিআরও) আব্দুল মজিদ জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে তোলার পর দুই জঙ্গিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরবর্তী মামলার ধার্য তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা ও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ সহ পুলিশ ওই সব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।

পরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম ইউনিয়নের পাহাড়পাড়া সাকিনের ইয়াহিয়া গার্ডেনে এলাকার একাশিয়া বাগান থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪-৫জন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। এদিকে এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে মাসকুর রহমান জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার এর সুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বলে স্বীকার করেছেন।

এছাড়াও নিজেদের আবারও সংগঠিত করার জন্য তারা কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশে দীর্ঘদিন যাবত অবস্থান করছিল বলে জানানো হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি, আনসার আল ইসলাম, হুজি এর বিভিন্ন পর্যায়ের কতিপয় নেতা ও কর্মীরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া প্রতিষ্ঠিত করেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ জানায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ইয়াহিয়া গার্ডেন থেকে একটি দোনলা বন্দুক, শর্টগানের ১২টি খালি কার্তুজ, একটি দেশি পিস্তল, পিস্তলের তিনটি খালি ম্যাগাজিন, ৯ এমএমএম গুলি ১১১ রাউন্ড, একটি খালি খোসা, নগদ ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ টাকা এবং একটি মোবাইল জব্দ করে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করা হয়। জানা যায়, বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সস্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর প্রশিক্ষণ আস্তানায় নতুন জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার বেশ কয়েকজন সদস্য অবস্থান করে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, এমন সংবাদে গত অক্টোবর মাস থেকে জেলার দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাব। আর সর্বশেষ ১১ জানুয়ারী অভিযান চালিয়ে থানচি ও রুমা উপজেলা থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার ৫ জঙ্গী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএজেড


বিভাগ : সারাদেশ



সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২০ পিএম


সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
মারধরে আহত অভিনয়শিল্পী শিশির সরদার (বামে), চিত্রনায়িকা রাজ রিপা (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।

একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।

ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।

তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।


জাতীয় স্কুল ফুটবলের অপরাজিত হলো চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২০ পিএম


জাতীয় স্কুল ফুটবলের অপরাজিত হলো চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।

৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।

অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।

ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।

মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা তাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন আর সেই সাথে সকলের সাপোর্ট ও ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।

 

 

 


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২০ পিএম


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁঞা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উকিল আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাও ছিলেন।

অনুসরণ করুন