সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাথরখেকোদের দখলে ডাহুক নদী

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার ডাহুক নদী এখন পাথরখেকোদের অভয়াশ্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও ট্রাক্টর দিয়ে, কোথাও হাতের তৈরি যন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় লোকজন। ফলে নদী যেমন তার চিরচেনা রূপ ও বৈচিত্র্য হারাচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে নদীসংলগ্ন ব্যক্তিগত জমি ও বাগান।

মানুষের নানা অপকর্মের ফলে দিন দিন নদী তার গতিপথ পাল্টাচ্ছে। পড়ছে নাব্য সংকটে। বর্ষাকালেও নদীতে খুব বেশি পানি থাকে না। নদীর পানি কমে চর তৈরি হচ্ছে। পাড় ভেঙে প্রশস্ত হচ্ছে কিন্তু গভীরতা হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে বর্ষাকালে একটুতেই নদীর পানি বেড়ে দুকূল উপচে যায়। তাতে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমন ফসলের।

সরেজমিনে দেখা যায়, তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের লোহাকাচি, বালাবাড়ি, শিলাইকুঠি, হারাদিঘীসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাহুক নদী থেকে ট্রাক্টর দিয়ে পাথর তোলা হচ্ছে। কোথাও যন্ত্র দিয়ে নদীতে গভীর গর্ত করে বালু তুলছেন স্থানীয় লোকজন। এতে করে নদী তার চিরচেনা রূপ হারিয়ে চরে পরিণিত হচ্ছে। কমছে পানি প্রবাহ। নদীর দুই তীর ভেঙে অনেকে জমি-বাগান হারিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ নদী শাসন করে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি শ্রমিকদের দিয়ে ডাহুক নদী ও নদীসংলগ্ন সরকারি খাস জমি থেকে পাথর উত্তোলন করছেন। শ্রমিকদের নামমাত্র মজুরি দিয়ে মোটা অংকের ফায়দা লুটছেন তারা। ফলে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে দাঁড়াচ্ছে। তেমনি নদী তার গতিপথ হারিয়ে প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বালাবাড়ি এলাকার আফরোজা বেগম বলেন, ডাহুক নদীর বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে পাথর তোলা হয় তাতে আমার মনে হয় এটা কোনো নদী নয়, পাথর কোয়ারি। নদীকে ধ্বংস করে যেভাবে পাথর তোলা হচ্ছে প্রশাসনের কেউ কি দেখছেন না? এভাবে নদী থেকে পাথর তুললে তো নদী আর নদী থাকবে না। চরে পরিণিত হয়ে মরা নদীতে পরিণত হবে।

একই এলাকার হারুন অর রশিদ বলেন, ডাহুক নদী তো আর নদী নেই। ডাহুক নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। চারিদিকে শুধুই উঁচু-নিচু বালির ঢিবি। আর যেখানে-সেখানে বড় বড় গর্ত। নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

তেতুঁলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, নদীর কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে পাথর তোলার সুযোগ নেই। আমরা পাথর তোলা বন্ধ করার জন্য প্রচার চালিয়েছি। ওই এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু কখনোই বরদাশত করা হবে না।

এসএন

Header Ad

ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার

পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত

টানা চার মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার জয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ডের পর ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা স্বীকার করেছেন এখন তিনি ক্লান্ত। এই ধরনের সাফল্যের পর নতুন কোন উদ্দীপনাও খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

গতকাল রোববার প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতেছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগে কোনো দল টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি।

প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে রেকর্ড গড়ে অনেকটাই অপ্রত্যাশিত এক মন্তব্য করেন গার্দিওলা। সমর্থকদের চমকে দিয়ে ম্যানসিটি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে এখনই নয়, ইতিহাদে আরও এক মৌসুম থাকবেন বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা। ২০২৪-২৫ মৌসুম শেষ করে সিটিকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।

গার্দিওলার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, সিটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান না তিনি। চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই সিটিকে বিদায় বলবেন গার্দিওলা। ২০২৫ সালে চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৫৩ বছর বয়সী এই কোচের।

গার্দিওলা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- আমি থাকার চেয়ে চলে যাওয়ার বেশি কাছে। আমি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার অনুভূতি হলো, আমি এখন থাকতে চাই। পরের মৌসুমেও থাকবো এবং সে মৌসুম চলাকালীন আমরা (ক্লাবের সঙ্গে) কথা বলবো। সেটা ৮ বছর শেষে নাকি ৯ বছর পরে, সেটা আমরা দেখবো।’

কেন সিটি ছাড়তে চান, সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন গার্দিওলা। জানান, গেল ৮ বছর ধরে কাজ করতে করতে এখন তিনি ক্লান্ত। তার বিশ্রাম দরকার। আর বিশ্রাম নিতেই সিটি ছাড়তে চান তিনি।

গার্দিওলা বলেন, ‘আমার একটি চুক্তি আছে। আমি এখনও এখানে আছি। কিছু মুহূর্তে আমি ক্লান্ত। কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা আমি ভালোবাসি এবং আমরা এখানে খেলা জিতেছি। নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতেও ভালো লাগছে।’

সিটি কোচ বলেন, ‘আমি ভাবতেছি, কেউ টানা চারটি শিরোপা জিততে পারেনি। এটা এ কারণে যে, আমরা চেষ্টা করি না। আমি মনে করি, এখন এটি সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে কী করা যায়, সেটিই আমাদের ভাবতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সিটিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৫টি বড় শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যাকে ১৬-তে পরিণত করতে পারেন তিনি। সামনের ম্যাচে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই সেটি সম্ভব হবে।

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই

লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক হোসেনউদ্দীন হোসেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২০ মে) বিকেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

হোসেনউদ্দীন হোসেনের ছোট মেয়ে শাহানাজ রাহানা রত্না তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। পরবর্তীসময়ে গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। এছাড়া তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে গত ১৪ মে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিনই তাকে যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিএমইচে স্থানান্তর করা হয়। সিটিস্ক্যান রিপোর্টে ব্রেন হ্যামারেজ ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। বেশিরভাগ সময় তিনি সেন্সলেস (চেতনাহীন) ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হোসেনউদ্দীন হোসেন ১৯৪১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর ঝিকরগাছা ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৯ সালে সম্পন্ন করেন উচ্চ মাধ্যমিক। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম কবিতা কলকাতার দৈনিক পত্রিকা লোকসেবকে প্রকাশিত হয়।

পরবর্তীসময়ে তার বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ঢাকা ও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া শুরু হয়। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নষ্ট মানুষ’, ‘অমৃত বৈদেশিক’, ‘সাধুহাটির লোকজন’, ‘ইঁদুর ও মানুষেরা’, ‘প্লাবন এবং একজন নুহ’, ‘ভলতেয়ার ফ্লবেয়ার কলসত্ব ত্রয়ী উপন্যাস ও যুগমানস’, ‘ঐতিহ্য আধুনিকতা ও আহসান হাবীব’, ‘বাংলার বিদ্রোহ’, ‘সমাজ সাহিত্য দর্শন প্রবন্ধ’, ‘রণক্ষেত্রে সারাবেলা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’, ‘লোকলোকোত্তর গাঁথা কিংবদন্তি’, ‘বনভূমি ও অন্যান্য গল্প’, ‘অনন্য রবীন্দ্রনাথ’ প্রমুখ।

সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন তথা বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (২০ মে) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট অধিবেশনে হওয়া এবারের অধিবেশন দীর্ঘ হবে বলে জানা গেছে। ৫ জুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা বৈঠকে সংসদ কত দিন চলবে—তা নির্ধারণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন চলতি মাসের ২ তারিখ হতে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। ওই অধিবেশনে একটি বিল পাশ হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন অক্ষয়
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩০ ফ্রিল্যান্সিং দেশের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে!
বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের
ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ওবায়দুল কাদের
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার