সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাই নুরুল আমিনকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় তার ৩ ভাই ও ২ ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নুরুল আমিনের ৩ ভাই নুরুল হক (৬৫), শাহজাহান (৫৫), শাহ আলম (৫৩) এবং তার দুই ভাতিজা রুমনাজ মিয়া (২৮) ও নাঈম মিয়া (২৫)।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল হক।
র্যাব জানায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে গত ১৯ জানুয়ারি জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুরুল আমিন বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার ৩ ভাই ও ২ ভাতিজা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তাছকিরুল বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই আসামিরা গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল, গাজা থেকে তারা হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করবে। তবে ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তারা এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
এদিকে রোববার (২৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রপার রিজার্ভ ইউনিটের সেনারা বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় তাদের ডাকা হলে এতে সাড়া দেবেন না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ৬ মাস ধরে যুদ্ধ করে তারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
শনিবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। মারিভ পত্রিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার আশঙ্কায় অত্যন্ত চাপে এবং আতঙ্কের মধ্যে আছেন নেতানিয়াহু। দ্যা নিউ আরব।
এদিকে আজ সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।
হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কাল কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে আগামীকাল জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কিনা।
ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফাহতে হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েইল
ঢাকা-১৭ এবং বগুড়ার দুটি আসনের পর এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। আসনটির সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়ায় আগামী ৫ জুন এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) হিরো আলম নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।
হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে বলেছি, তখন তারা আমাকে বলেছে তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সব সময় থাকব।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের ভোট হবে আগামী ৫ জুন। এই উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে ও ভোট হবে ৫ জুন।
এর আগে চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি।
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংকক পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে উষ্ণ লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতিকে আরো নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারি এই সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়।
নথির মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত অভিপ্রায়পত্রও রয়েছে।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। এই অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।
তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংলাপ শান্তি আনতে পারে। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষ্মণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।