শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সীমাবদ্ধতা কাটাতে সমাধান জরুরি

রাজশাহীতে বিনামূল্যের আইনি সেবায় ব্যাপক সাড়া

ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ধরনা দেওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। আর নানা বাস্তবতায় ন্যায় বিচারের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আদালতের বারান্দা পর্যন্ত আসার দুঃসাহসও করেন না অনেক নির্যাতিত-নিপীড়িত ব্যক্তি। তবে সেই দিনের অবসান ঘটাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০। যে আইনের বদৌলতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনামূল্যের আইনি সেবা এখন প্রান্তিক মানুষের দোড়-গোড়ায়। তবে রাজশাহীতে এই সেবার ফাঁক-ফোকড়ের নানা সীমাবদ্ধতার জঞ্জাল সরানো গেলে অসহায় বিচারপ্রার্থীদের আস্থার জায়গা আরও সমুন্নত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিশ্চিত হবে আইনি সেবায় সকলের অভিগম্যতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিনই বিচারকের কলম কোন না কোন মানুষের নিয়তি ঠিক করে দেয়। বিচারকের কলম ভুক্তভোগীর মুখে হাসি ফোটায়। আর অপরাধীর চোখে অশ্রু। তবে বিচারকের কলম কি রায় লিখবে তা আইনজীবীর উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণাদির উপরও নির্ভর করে। উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণ নির্ধারণ করে দেয় ন্যায় বিচারের মানদন্ড। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে আইনজীবীর একটি বড় ভূমিকা থাকে। আর সেই আইনজীবী ধরা থেকে শুরু করে বিচার হওয়া পর্যন্ত দুর্বার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অশ্রু বিসর্জন ও জুতা ক্ষয়ে যাবার তিক্ত বাস্তব গল্প-কাহিনীও মানুষের অজানা নয়। বিচারের আশায় আইনজীবীদের পেছনে কাটখড় পোড়াতে গিয়ে ফতুর হওয়ার বাস্তবতাও আছে। এছাড়া সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। আইনের কিছুই বোঝেন না এমন সেবাপ্রার্থীর সংখ্যাই বেশি। এমন বাস্তবতায় সরকারের বিনামূল্যের আইনি সেবার বিশেষায়িত আইন ও বিশেষায়িত সংস্থা অবশ্যই একটি মাইল ফলক। তবে জনবল, অবকাঠামোসহ বিদ্যমান সমস্যা ও সীমাবদ্ধতাগুলোর সমাধানও জরুরি।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্য বলছে, গত এক বছরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পাঁচ শতাধিক ব্যাক্তি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়েছেন। তাদের ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের সামর্থ্য না থাকায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে হাজির হন জেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিনিয়তই জেলার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লিগ্যাল এইড অফিসে বিভিন্ন মামলায় সেবা নিতে আসছেন সেবাপ্রার্থীরা।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, অনেক অসহায় কারাবন্দী কারাগারে থাকেন, যারা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তাদেরকে আমরা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সেবা দিয়ে থাকি। এতে দেখা যায়, অনেক কারাবন্দী জামিন পাচ্ছেন। অনেকের মামলাও নিষ্পত্তি হচ্ছে। প্রতিমাসেই তালিকা করে এমন অসহায় কারাবন্দীদের তালিকা পাঠানো হয়। লিগ্যাল এইডের এই সেবাটি খুবই কার্যকরী।

তবে সেবা সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, এই সেবায় কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তির চিত্রও রয়েছে।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্য মতে, তাদের নিয়মিত অফিসার নেই। একজন ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী জজসহ মোট ৩ জন জনবল দিয়ে চলছে এই কার্যক্রম। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবায় ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। মামলাগুলো মনিটরিং করার মতো লোকবল ও উপকরণ না থাকায় সক্ষমতাও নেই রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের।

রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া থানাধীন একটি গ্রামের নির্যাতিত নারী জরিনা বেগম (৩৭) (ছদ্মনাম)। তার বাবা-মা দুজনেই মারা গেছেন অনেক আগে। অভিভাবক বলতে বড় বোন ছাড়া কেউ নেই। এরমধ্যে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ২০২০ সালে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর অর্থের কারণে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছিলেন না। পরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে লিগ্যাল এইডের সেবা নেন। এর প্রায় তিনবছর পর আসামিকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে এই আইনি সেবা নেওয়ার পথে দূর্ভোগ ছিলো তার নিত্য সঙ্গী।

জরিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামীর নির্যাতনের পর তার শারীরিক অবস্থা এখনও সম্পূর্ণ ভালো হয় নি। এখনও তিনি কাজ করতে পারেন না। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কোন মতে দিন পার করছেন। এই অসুস্থ শরীর নিয়েই খেয়ে না খেয়ে আদালতের বারান্দায় ধরনা দিয়েছেন। বাসা থেকে হেঁটে হেঁটে আদালতে এসেছেন। লিগ্যাল এইড অফিস তার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিলো। সেখান থেকে অর্থ লাগবে না বলেছিলো। কিন্তু আইনজীবী তার কাছে অর্থের জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিতে পারায় বাজে কথাও শোনাতো।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্যমতে, এই সংস্থার আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন মোট ৭৫ জন আইনজীবী। এই তালিকায় রাজশাহীর সিনিয়র ও সুপরিচিত আইনজীবী আছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। সরকারি এই সেবায় আইনজীবীদের যে 'ফি' দেওয়া হয় তার পরিমাণটাও খুবই কম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ কারণে সিনিয়ররা এই সেবাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও নিজে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখান না। সবমিলিয়ে এই মামলা পরিচালনায় আইনজীবীদের মাঝে অনেক সময়ই আন্তরিকতার ঘাটতি থাকে। এতে জামিন পাওয়াসহ আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা জানান, সবার জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতের পথে সরকারের বিনামূল্যের এই লিগ্যাল এইড একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকারের বিশেষায়িত এই সেবার মাধ্যমে গ্রামের প্রান্তিক মানুষরাও সেবা পাচ্ছে। তবে এই সেবা নিশ্চিতের পথেও প্রতিবন্ধকতা আছে। জনবলসহ বেশকিছু সমস্যা আছে। আর কিছু আইনজীবীরা বিনামূল্যের এসব সেবা প্রার্থীদের থেকেও অর্থ দাবি করে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে সেবার মান আরও উন্নত হবে।

এগুলো আলোচনায় আসলে সমাধানের পথটাও মসৃণ হবে বলে মনে করেন এ আইনজীবি।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্লাস্টের রাজশাহী জেলা সমন্বয়কারী অ্যাড. সামিনা বেগম জানান, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সীমাবদ্ধতার কারণে তারা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করেন। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সবার জন্য আইনি সেবার অভিগম্যতার পথ সুগম হয়েছে। তবে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা গেলে তা আরও কার্যকরী হবে, টেকসই হবে। জনগণের কল্যাণে প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আদালত অঙ্গনে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন এবং তার কর্মপ্রয়াস আদালতকে একটি জনমুখী ও কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অভিনব সরকারি প্রয়াস।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ আলমগীর হোসেন জানান, সরকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে দায়েরকৃত, দায়ের যোগ্য ও বিচারাধীন মামলায় আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানসহ সালিশি সেবা প্রদান করছে। সবার জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতেই এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।

এই সেবা সম্পর্কে আরও প্রচারণার প্রয়োজন বলে মনে করেন এই আইনজীবি।

/এএস

Header Ad

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি

ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল পেতে যাচ্ছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। স্টেকহোল্ডাররা মনে করছে, এতে শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর এখনো স্বাভাবিক হয়নি দেশের শেয়ারবাজার। মাঝেমধ্যে কিছু শেয়ারের দর সাময়িকভাবে বাড়লেও বেশিরভাগ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। দর পতন শুরু হলে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। সর্বশেষ হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি; দর পতন চলছেই। বাজারে গতি ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা বাজারে তারল্য সরবরাহের পরামর্শ দেয়। এ সময় আইসিবির কাছেও বাজারে গতি আনতে সহায়তা চেয়েছে বিএসইসি। কারণ আগে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের সহায়তা করে আসছিল আইসিবি।

আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে বড় ধরনের বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য সংস্থাটির নেই। তবে অর্থসংস্থানের নানা চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সময়ে বাজারে সহায়তা করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে উচ্চ সুদে মেয়াদি আমানত নিয়েছে। পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট থেকে গতি ফেরাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এবং মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় আইসিবি। কমিশনের পরামর্শে ইতোমধ্যে এ তহবিলের জন্য কাজ শুরু করেছে আইসিবি। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ ছাড় করবে।

এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে যে কোনো সংকটে আইসিবি সহায়তা করে আসছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে মেয়াদি ঋণ নিয়েই সহায়তা করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।

তিনি বলেন, তহবিলের একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। কিছু টাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর উচ্চমূল্যের মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করা হবে। আশা করি, দ্রুততম সময়ে আমরা এ ঋণ পাব। এটি পেলে বাজারে বড় ধরনের সাপোর্ট দেওয়া যাবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তহবিলের টাকা ছাড় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেয়ারবাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে।

অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এ ধরনের তহবিল পুঁজিবাজারে গতি আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে এটি দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।

নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঞ্চন সুইচগেট এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে আলেপ (৫০) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) সকাল ১০ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলেপ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।

মান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে ভুট্টাক্ষেতের পাশে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের পবিত্র হজের ফ্লাইট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ও শুক্রবার (১০ মে) দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (প্রথম দিন) পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। শুক্রবার (দ্বিতীয় দিন) ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল
আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬০ জনের প্রাণহানি
বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড
বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত
সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস
আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন গিল
হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে, চতুর্থ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য