শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

চুয়াডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রী হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গায় স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসুদ আলী এই রায় দেন। রায়ের পর আসামিদের বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৪) একই গ্রামের শেষপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) এবং ওই গ্রামের মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- আসাননগর গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ (২৩)।

মামলার ও এজাহারের বিবরণে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ায় বৃদ্ধ নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন বসবাস করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। ওই দিন রাতে যে কোনো সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা নজির মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে চুরির উদ্দেশ্য। প্রথমে নজির মিয়াকে গোসলখানার ভেতর হাত-পা বেঁধে জবাই ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার স্ত্রীকে ঘরের ভেতর জবাই করে হত্যা করে।

এ ঘটনার পর নিহতের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে বাবা-মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়ে ও জামাই দুজনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১১।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সাহাবুল হক, রাজিব হোসেন, বিদ্যুৎ আলী ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন কেনার সঙ্গে জড়িত শাকিল হোসেনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন। আসামি পক্ষের কৌশলী ছিলেন অ্যাডভোকেট বজলুল রহমান, অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান লাভলু, অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান মিল্টন ও অ্যাডভোকেট আনারুল হক।

Header Ad

কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি জোনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক।

আজ শুক্রবার (১৭ মে) র‍্যাব এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, আকিম বমকে লাইমী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। কুকি-চিনের এই সমন্বয়ক দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৭মে) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে সেই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন দৃশ্যমান তা শেখ হাসিনার ম্যাজিক।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাক্তার আলিমের কন্যা ডাক্তার নুজহাত, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মজানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার

দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তুললেন নাবিক সাব্বিরকে। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার ৬৫ দিন পর বাড়ি ফিরছেন নাবিক সাব্বির হোসেন। বাড়ি ফেরার খুশিতে মা-বাবা, ভাই-বোন, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ আত্মীয়দের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। এদিকে, সাব্বির বাড়ি ফেরার খবর জড়িয়ে পড়লে তাকে এক নজর দেখতে বন্ধু-বান্ধবসহ পুরো এলাকাবাসী ভিড় করছেন। 

নাবিক সাব্বিরের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। হারুন অর রশীদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। 

গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আদালত পাড়া বড় বোন মিতু আক্তারের বাসায় পৌঁছান নাবিক সাব্বির হোসেন। এরপর বিকালে বোনের বাসা থেকে তিনি তার নিজ গ্রামে ফিরেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এরপর তাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে ও বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকার কামনায় দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তোলেন দুই খালা ও বোন। তারপর ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে সাব্বিরকে মিষ্টি মুখ করানো হয়।

সাব্বির জানান, ‘যখন আমাদের জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন, তখন থেকে তাদের কাছে বন্দি জীবনযাপন করছিলাম। তবে জাহাজে আমরা যে যার কাজ ঠিকঠাক মত করেছি, রোজা রেখেছি, নামাজও পড়েছি।

তিনি জানান, ভয়ের বিষয় ছিল, জলদস্যুরা সময়-অসময়ে ফাঁকা গুলি ছুড়তো, সে সময় আমরা ভীষণ আতঙ্কিত হতাম। নেভির জাহাজ আমাদের জাহাজের আশপাশে আসলে তারা আমাদের সে সময় মুভ করতে দিত না।

তিনি আরও জানান, ছাড়া পেয়ে সেই ঈদের আনন্দটাই এখন আল্লাহ যেন দিয়েছেন। আমাদের ফিরিয়ে আনতে সিও স্যারসহ যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।

বোন মিতু আক্তার বলেন, ঈদের সময় সাব্বির আমাদের পাশে ছিল না। যে সময়টা কাটালো আমরা সব সময় চিন্তায় ছিলাম। ঈদ গেছে আমরা বলতে পারব না আনন্দ কি? কোন আনন্দ করতে পারেনি। আল্লাহ আমাদের কাছে আমার ভাইকে ফিরিয়ে দিয়েছে হাজার হাজার শুকরিয়া। সাব্বির আমাদের কাছে এসেছে এখন আমাদের ঈদ। 

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, আজকে আমাদের অনেক খুশি। এই খুশিতে চোখে জ্বল ভাসছে। দেশবাসীরসহ সবার দোয়া ছিল। দশের দোয়ার সাথে আমাদের দোয়াও ছিল আজ সাব্বির আমাদের কাছে ফিরে আসছে আল্লাহ কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া। 

গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি পৌঁছায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে চুনাপাথর ভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার ৬৫ দিন পর নাবিকরা বাংলাদেশের নিজ নিজ স্বজনদের কাছে ফিরেন। তারমধ্যে সাব্বিরও বাড়ি ফিরেছেন।

সাব্বির ২০১৪ সালে উপজেলার সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। পরে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি নেন। 

সর্বশেষ সংবাদ

কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস
নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান
২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা
বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশিরা মাত্র ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা!
গুগল অ্যাস্ট্রা : হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দিশেহারা ক্রেতারা
সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
নিবন্ধন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রাফসানের 'ব্লু' ড্রিংকস
যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু