কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে প্রধান আসামি গ্রেফতার

বামে প্রধান আসামি মো. মুন্না সরকার এবং ডানে আহত কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৪ নম্বর কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক (৫৩)-এর ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি মো. মুন্না সরকার (৪০) কে গ্রেফতার করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
চেয়ারম্যান জহুরুল হক গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি।
প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে ১৪ মে সকাল ১০টার দিকে। জহুরুল হক কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে ভেবড়া ব্রিজে মুন্না সরকার তার পথরোধ করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এরপর ২৪ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফের হামলার শিকার হন চেয়ারম্যান জহুরুল। বিএনপির তারুণ্যের বিভাগীয় জনসভার কর্মসূচি শেষে বগুড়া থেকে ফেরার পথে গোবিন্দগঞ্জের শামীম অ্যান্ড শাকিল কারিগরি কলেজের সামনে ফাঁকা যায়গায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা পেছন থেকে জহুরুল চেয়ারম্যানকে বহনকারী মটর সাইকেলে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয়। এতে তিনি ও তার সঙ্গী গুরুতর আহত হন। আসামি মো. মুন্না সরকার উক্ত সিএনজির ড্রাইভার হিসেবে ছিলেন ও পিছনে তার কয়েকজন সহযোগী ছিলেন।
পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারী মুন্না ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চেয়ারম্যান ও তার সফরসঙ্গী নিলুকে আহত অবস্থায় প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চেয়ারম্যানকে রংপুরের গুড হেলথ ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়।
চেয়ারম্যান জহুরুল হক দাবি করেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হামলা হতে পারে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই হুমকির মধ্যে রয়েছেন। পরিবার ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কিছুটা বিলম্বে তিনি মামলা দায়ের করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বুলবুল ইসলাম জানান, এজাহারের প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত মুন্না সরকারকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
