শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভৈরবে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাদুকা কারিগররা

সারা বছর কাজের তেমন একটা চাপ না থাকলেও ঈদ এলেই কাজের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সেই চাপ সামলাতে এখন দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন ভৈরবের পাদুকা কারখানার কারিগররা। ঈদকে সামনে রেখেই তাদের এই বিরতিহীন ব্যস্ততা।

পাদুকা কারখানার মালিক সমিতির হিসাব মতে, ভৈরবে ছোট-বড় প্রায় ৮-১০ হাজার পাদুকা কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের কারখানা রয়েছে ৩৫টি। ছোট কারখানাগুলোতে ৮ ডজন, মাঝারি কারখানায় ১২ ডজন ও বড় কারখানাগুলোতে গড়ে ২৫ ডজন করে জুতা তৈরি হয়। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র থাকা কারখানাগুলোতে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ ডজন জুতা তৈরি হয়। আর এই কারখানাগুলোতে কাজ করছে প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক।

এ ছাড়াও কারখানায় উৎপাদিত জুতা সারাদেশে বাজারজাত করার জন্য ভৈরবে পাইকারী দোকান রয়েছে পাঁচ শতাধিক। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জুতার পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার উৎপাদিত জুতা অত্যন্ত মজবুত ও উন্নত মানের এবং দেশব্যাপী এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট ও ঢাকাসহ দেশের সবকটি জেলার পাশাপাশি বাহিরেও বাজারজাত হচ্ছে ভৈরবের উৎপাদিত পাদুকা।

পাদুকা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে পাদুকা তৈরির কাঁচামালের প্রায় ৫০০টির মতো দোকান রয়েছে। এইসব দোকানে সারা বছর যে মালামাল বিক্রি হয় ঈদ আসলে তা দুই-তিনগুণ বেড়ে যায়।

সূত্র আরও ‍জানায়, ঈদ মৌসুমে ভৈরবে পাদুকা খাতে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়। আর এই মৌসুমটিতে কারখানার কারিগরদের যেন একটুও দম ফেলার সময় থাকে না। বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে এই সময়টিতে অধিক বেশি কর্মমুখর হয় পাদুকা কারখানাগুলো। প্রতিটি কারখানায় চলে শিশু ও নারী-পুরুষের জন্য রঙ-বেরঙের বাহারি ছোট-বড় সাইজ ও আধুনিক ডিজাইনের জুতা তৈরির কাজ। এ ছাড়াও ডিজাইন তৈরি, সেলাই, কাটিং, সোল তৈরি, পেস্টিং, রঙ করা, সলিউশন করা, আপার তৈরি, ফিতায় বেণি করা, বাক্স তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন রকম কাজের ভিন্ন ভিন্ন কারিগর যার যার কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকেন।

এ বিষয়ে কারখানার মালিক সুলাইমান মিয়া বলেন, একেকজন কারিগর দৈনিক গড়ে ৫০০ টাকা করে উপার্জন করলেও ঈদের সময় এই আয় আরও বেড়ে যায়। তাই মৌসুমি সময়ের এতটুকু সুযোগও ছেড়ে দিতে রাজি নন তারা। তবে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে কাঙ্ক্ষিত মজুরি না বাড়ায় অসন্তোষ জানান কারিগররা।

পাদুকা কারিগর বাছির মিয়া বলেন, আমরা পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাই না। আমাদের দৈনিক মজুরি ৭৫০-৮০০ টাকা। পানি ছাড়া আমার সবকিছু এই টাকা থেকেই চলতে হয়। আমার পরিবারে আমিসহ ৫ জন সদস্য। জিনিসপত্রের যে ভাবে দাম বেড়েছে বাজারে ৫০০ টাকা নিয়ে গেলে কিছুই হয় না। এই মজুরি দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। যদি আমাদের দৈনিক মজুরি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা করা হয় তাহলে আমরা পরিবার নিয়ে কিছুটা ভালো চলতে পারব।

পাদুকা কারখানার আরেক কারিগর বলেন,আমরা কাজ অনুযায়ী ন্যায মূল্য পাই না। আজ থেকে ৫ বছর আগে যে মজুরিতে কাজ করছি এখনও সেই মজুরিতেই কাজ করি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাদুকা কারিগররা ডজন হিসেবে মজুরি পেয়ে থাকেন। প্রকারভেদে কারিগররা প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা হিসেবে মজুরি পেয়ে থাকেন। একজন কারিগর দৈনিক এক হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এছাড়া স্বয়ংক্রিয় পাদুকা কারখানাগুলোতে মেশিন ম্যান মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আর হেলপার ৫ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন পাচ্ছেন।

এদিকে পাদুকা কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানিকারকরা কাঁচামালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদেরও পাইকারী বাজার থেকে বেশি দামেই মাল কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে পাদুকা কাঁচামালের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এ ব্যাপারে পাদুকা কারখানা মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ মিয়া জানান, ঈদুল ফিতর হলো পাদুকা ব্যবসার মূল সময়। এখানকার তৈরি জুতা মান সম্পন্ন হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা রয়েছে অনেক। যার কারণে ঈদ আসলে এই সময়টাতে ভৈরবের ছোট-বড় সকল কারখানায় জুতা উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কারখানাগুলো সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। বড় কারখানাগুলো উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন লোন পাচ্ছে কিন্তু ছোট কারখানাগুলো কোনো লোন পাচ্ছে না। ছোট-বড় সকল কারখানা নিয়েই গড়ে উঠেছে ভৈরবের এই বৃহৎ পাদুকার শিল্প। এই শিল্পটিকে আরো সমৃদ্ধি করতে হলে বড় কারখানার পাশাপাশি ছোট কারখানাগুলোকেও টিকিয়ে রাখতে হবে। এর জন্য তিনি ছোট কারখানাগুলোকেও যেন বিনা শর্তে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সরকারের কাছে এ দাবি জানান। এ ছাড়া ভৈরবের তৈরি জুতা দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বিদেশেও যেন রপ্তানি করা যায় সে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের কছে দাবি জানান তিনি।

এসআইএইচ

Header Ad

কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের জেনারেটর রুমে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আজ (শনিবার) সকাল ১০টা ১৭ মিনিটের দিকে লা ভিঞ্চি হোটেলের জেনারেটর রুম থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়। যা পাশের কাঁচাবাজারে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে কাঁচাবাজার সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি

ফাইল ছবি

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন রাজধানীবাসী। ঘরের মধ্যে থেকেও স্বস্তি মিলছিল না তাদের। শনিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। সকাল সাড়ে ৮টার পর হালকা বৃষ্টি শুরু হয় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে।

রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল প্রাণজুড়ানো শীতল হাওয়া। রাজধানীর নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরাসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বাতাস, মেঘ ও হালকা বৃষ্টির ফলে ঢাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

সকালে বৃষ্টির কারণে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় অনেককে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে।

সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালায় ধান বোঝাই ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৬টার দিকে খুলনা পাইকগাছা সড়কের হরিশ্চেন্দ্র কাটী সরদারবাড়ী বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কয়রা উপজেলার বামিয়া ইউনিয়নের বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল গাজী (৩৮) ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের তোফাজ্ঝেল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)।

কয়রা এলাকার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়রা এলাকা থেকে ১৩ জন শ্রমিক গোপালগঞ্জ এলাকায় ধান কাটতে গিয়েছিল। মজুরি হিসাবে তারা ২০ থেকে ৩০ মণ ধান পায়। ধান নিয়ে (যশোর ট-১১-৩৭৮৫) ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইদুর ও মনি নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই ধারের রাস্তার সম্প্রসারণের জন্য রাস্থা খুড়ে রাখার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তালা থানার ওসি মো. মমিরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস