শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী

ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জুলুমের প্রতিবাদে গত জুলাই মাসে ছাত্ররা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা করেছিল। সকল জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে মা তার দেড় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শিশু থেকে শুরু করে নব্বই বছরের বয়স্ক মানুষও ছাত্রদের আন্দোলনে শামিল হন।

তিনি বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে দেশের ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা ঐসব শহীদদের স্মরণ করছি, যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা শান্তি-স্বস্তির পরিবেশে বসবাস করতে পারছি। তারা জাতিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। যারা আন্দোলনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। আল্লাহতায়ালা তাদের পরিবারগুলোকে এই শোক বহন করার তৌফিক দান করুন, তাদের উত্তম সবর করার তৌফিক দান করুন। যারা আহত হয়েছেন তাদের আল্লাহতায়ালা সুস্থতার নিয়ামত দান করুন।

শনিবার বিকালে পিরোজপুর উপজেলার ৭নং শংকরপাশা ইউনিয়নের নামাজপুরে ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনিয়ন সভাপতি মনির হেসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জাল হেসেন ফরিদ, পৌর আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পিরোজপুর জেলা সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম, চালনা নামাজপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল করিমসহ স্থানীয় ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ।

প্রধান বক্তা মাসুদ সাঈদী বলেন, খুনি হাসিনা ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছেন- তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, দেশটা আমাদের সবার। ছাত্রদের আন্দোলনে আপামর জনতা অংশ নিয়েছে। এ আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি পেশার মানুষ শরিক হয়েছে। প্রবাসী ভাইয়েরাও দেশবাসীর সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে তারা নীগৃহের শিকার হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। খুনি হাসিনা অসংখ্য মায়ের কোল খালি করে দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন গণবিপ্লব উত্তর এই দেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। এখন এই দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন

গোরখোদক মনু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মাটি খুঁড়ে মানুষের শেষ ঠিকানা গড়ে তোলা সেই নিঃস্বার্থ গোরখোদক মনু মিয়া চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। জীবনের প্রায় অর্ধশতক কাটিয়ে দেওয়া এই মানুষটি শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের আলগা পাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

কিন্তু এই বয়সের প্রায় পুরোটা জুড়ে ছিল এক ব্যতিক্রমী ও মানবিক অধ্যায়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। এরপর ৪৯ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজ হাতে খুঁড়েছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর—সবই নিঃস্বার্থভাবে, কোনো পারিশ্রমিক বা বখশিস গ্রহণ না করেই। মৃত্যু-পরবর্তী মর্যাদা রক্ষার এই কাজকে তিনি নিয়েছিলেন আত্মিক দায়িত্ব হিসেবে।

দূর-দূরান্তের খবর পেয়ে কবর খোঁড়ার কাজে ছুটে যেতে হতো তাকে প্রায়ই। যাতায়াত সহজ করতে নিজের ধানী জমি বিক্রি করে কেনেন একটি ঘোড়া। সেই ঘোড়ার পিঠেই যন্ত্রপাতি নিয়ে ছুটে যেতেন এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে, যেন মৃত্যুর শেষ ঠিকানার প্রস্তুতি নিতে কারও যেন দেরি না হয়।

মনু মিয়া ছিলেন এক নিঃস্বার্থ কর্মী, একজন নীরব সমাজসেবক। যার হাতে হাজার হাজার মানুষ তাদের চিরনিদ্রার ঘর পেয়েছেন সম্মান নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

কলম্বো টেস্টে লজ্জার হারে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ও ৭৮ রানে পরাজিত হয়েছে সাকিববিহীন বাংলাদেশ। গলেতে প্রথম টেস্ট ড্র করলেও কলম্বোতে পুরোপুরি পর্যুদস্ত ছিল টাইগাররা।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে মাত্র ২৪৭ রান। সাদমান ইসলাম (৪৬), মুশফিকুর রহিম (৩৫), লিটন দাস (৩৪) এবং তাইজুল ইসলাম (৩৩) ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।

জবাবে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে গড়ে তোলে ৪৫৮ রানের পাহাড়। পাথুম নিশাঙ্কার দারুণ ১৫৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে চন্দিমাল (৯৩) এবং কুশল মেন্ডিসের (৮৪) দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে এনে দেয় ২১১ রানের বড় লিড।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল আরও হতাশাজনক। ব্যাটাররা থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। মুশফিক সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন, শান্ত করেন ১৯। বাকিদের কেউই ত্রিশের ঘর ছুঁতে পারেননি।

শ্রীলঙ্কার স্পিনার প্রভাথ জয়াসুরিয়া আবারও বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপের জন্য হুমকিতে পরিণত হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন থারিন্দু রত্নায়েকে (২ উইকেট) ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২ উইকেট)।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৩৩ রানে, ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৪৪.২ ওভারে। চতুর্থ দিনের সকালে মাত্র ৩৩ বলের মধ্যে শেষ চারটি উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয় নিশ্চিত হয়।

এই জয়ে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। গলেতে যেখানে বাংলাদেশ কিছুটা লড়াই করেছিল, কলম্বোতে তাদের পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। স্পিন-বান্ধব উইকেটে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ স্পিনারদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা।

Header Ad
Header Ad

গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় রক্তে রঞ্জিত হলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। শুক্রবার (২৭ জুন) দিনভর আক্রমণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১৭৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী হামাস। হামলায় প্রাণ হারান প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিক এবং অপহৃত হন ২৫১ জন। ওই ঘটনার জের ধরেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)।

চলমান মানবিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তবে সে বিরতি টেকেনি। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযান।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৮ জন, আহত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৯১ জন ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং বাকি জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।

উল্লেখ্য, হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় আরও দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে মেনে নেয়নি ইসরায়েল কিংবা হামাস।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন
কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়