বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে বিকল্প দেশীয় পণ্য ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মানববন্ধন করেছেন ‘নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাব’ নামের সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১ টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে বিকল্প দেশীয় পণ্য ব্যবহারের দাবি জানানো হয়।

মানবন্ধনে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাকিব আল হাসান বলেন, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে আপনারা ফিলিস্তিনে দেখছেন ছোট্ট শিশুর চূর্ণ- বিচূর্ণ মাথার খুলি হাতে নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা মা-কে। আপনারা শুনেছেন, গর্ভবতী মায়ের পেটের উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া ট্যাংকের গর্জন। ১৯৪৮ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘর ছাড়া করা হয়। যা ছিল ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। ১৯৬৭ তে দুই লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি শরণার্থীতে পরিণত হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮২, ২০০৮, ২০২৩ মোটা দাগে নিয়মিত ভাবেই ক্রাইম করে আসছে ইসরায়েলিরা। ইসরায়েলি অপারেশন শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের অনুমান অন্তত ৫৬% নারী ও শিশু। আরো ১০ হাজার নিখোঁজ এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হয়। স্ট্রিপের ২.৩ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার প্রায় পুরোটাই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরকম নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ইসরাইলকে সর্বাত্মক বয়কট করা এখন সময়ের দাবি।

নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাবের সদস্য মো. নাহিদ হাসান বলেন, ইসরায়েলে অবৈধ দখলদার জায়নিস্টদের বসতি গড়ার পেছনে ব্রিটেনের হাত ছিল। আর এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে চালানো হচ্ছে গণহত্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সাল থেকে ইসরায়েলের আলোচিত আয়রন ডোমেরও উৎপাদন অংশীদার ছিল। মার্কিন সরকারের সেই সুপরিচিত বিবৃতির কথা তো আমরা জানি, যে- "Israel has the rights to defend itself." হ্যাঁ, আমরাও অবশ্যই একমত। কিন্তু ইসরাইল তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্যালেস্টিনিয়ানদের উপর যা করে আসছে তা কখনোই ডিফেন্সের মধ্যে পড়ে না। বরং তা নির্মম গণহত্যা। পৃথিবীর মুক্তিকামী মজলুম জনতার পক্ষে, সকল জালেমের বিরুদ্ধে আমরা বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য থেকে সকল ইসরাইলি পণ্য বয়কট করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

মো. রবিউল সরদার বলেন, ১৯৬৬ সাল থেকে কোকাকোলা ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক। ২০০৯ সালে কোকাকোলা তাদের বিশ্ব সদর দফতরে গণহত্যা চালানো ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বিন ইয়ামিন বেন এলিজারকে সম্মাননা প্রদান করে। কোকাকোলার ইসরায়েলে করা কিছু নৃশংস অনুদানের গল্প আপনাদের শোনাতে চাই। ২০০২ সালে ইসরায়েলের Bnei Brak থেকে কোকাকোলা তাদের প্লান্ট ফিলিস্তিনের Qiryat Gat শহরে স্থানান্তর করার জন্য ইসরাইলকে মিলিয়ন ডলার দিয়ে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে এবং সেই প্লান্টে কাজ করবে শুধু ইসরায়েলিরা। কোকাকোলা ইসরায়েল ওরফে সেন্ট্রাল বটলিং কোম্পানি ৫০০০ ইসরায়েলিকে চাকরি দিয়েছে। কোকা-কোলা কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহতার কেন্ট, জুন ২০০৮ সালে তেল আবিবে ইসরায়েল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরায়েলের জন্য কোকা-কোলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন আর যেকোনো উপযুক্ত বিনিয়োগের জন্য "একটি ব্ল্যাংক চেক" প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের আগস্টে কোকাকোলা কম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুথার কেন্ট তেল আবিবের এক সম্মেলনে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মির কে মহান নেতা বলে প্রশংসা করে। আর এই গোল্ডা মির ই বলেছিল - ফিলিস্তিনি জনগণ বলতে কিছু নেই। ২০০৯ সালে জাতিসংঘ আহ্বান করে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির জন্য। আর এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার জন্য এবং গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার ধারাবাহিকতাকে সমর্থন করার জন্য কোকাকোলা সরাসরিভাবে অবদান রাখে। এতো কিছুর পরও আমরা কি এখনও আমাদের ভাইদের রক্ত দিয়ে আমাদের তৃষ্ণা মেটাবো?

Header Ad
Header Ad

একটু আদরে আমাকে রাখো: মাহি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ছবি: সংগ্রহীত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব রয়েছেন তিনি।

তার জীবনের নানা মুহূর্তও তুলে ধরেন ভক্তদের মাঝে। কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক বা আচার-অনুষ্ঠান। নিজের ব্যক্তিগত জীবনে নানা মুহূর্তও উঠে আসে অভিনেত্রীর টাইমলাইনে।

সম্প্রতি তার একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন করে আলোচনা ও জল্পনার জন্ম দিয়েছে বিনোদন পাড়ায় এবং নেটিজেনদের মাঝে। মাহি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন।

যেখানে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘একটু আদরে আমাকে রাখো’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি।

 

ছবি: সংগ্রহীত

এই ছোট্ট কিন্তু আবেগঘন বাক্যটি নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেকেই এই পোস্টটি মাহির ব্যক্তিগত জীবনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন।

ভক্তদের একাংশ মনে করছেন, মাহি কি তবে নতুন কারও প্রেমে পড়লেন? আবার কেউ বলছেন, এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মাহি হয়তো তার জীবনের শূন্যতা, একাকীত্ব প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, এটি হয়তো কোনো গানের লাইন বা সিনেমার সংলাপও হতে পারে।

তবে মাহি নিজে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। তার এই রহস্যময় পোস্ট ভক্তদের মনে তৈরি করেছে নানা প্রশ্ন। তিনি কি সত্যিই মানসিকভাবে কিছুটা একাকী বোধ করছেন, নাকি এটি কেবলই তার মনের একটি ক্ষণিকের অনুভূতি প্রকাশ?

Header Ad
Header Ad

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরের প্রাচীর ধসে ৮ জন নিহত, তদন্তে কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে একটি মন্দিরের প্রাচীর ধসে অন্তত আট জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে ‘শ্রী বরাহলক্ষ্মী নরসিমহা স্বামী’ মন্দিরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় ছিল অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে ভোররাত থেকেই হাজারো ভক্ত মন্দিরে জড়ো হন পূজা দিতে। অতিরিক্ত ভিড় ও রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে ২০ ফুট দীর্ঘ একটি অস্থায়ী প্রাচীর ধসে পড়ে, যার নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান আটজন দর্শনার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, রাত আড়াইটা থেকে প্রবল বর্ষণ হচ্ছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের ধর্মস্থান বিষয়ক দপ্তরের প্রধান সচিব বিনয় জানিয়ে বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পারছি যে রাত আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রাচীরটি ভেঙে পড়ে। তবে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তদন্তের প্রয়োজন আছে।”

ঘটনার পরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং নিহতদের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।

Header Ad
Header Ad

হাসিনা কখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা আর কখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগের সময় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ তার (শেখ হাসিনা) ব্যবস্থা নেবে, আমাদের নিতে হবে না। কারণ সাধারণ জনগণের ওপর অনেক অত্যাচার চালিয়েছে শেখ হাসিনা। এই অত্যাচারকে মানুষ কখনও গ্রহণ করবে না।’

এ সময় ধানের শীষে ভোট চেয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আপনাদের ইচ্ছায় আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, ধানের শীষকে যদি আনতে পারি তাহলে আবারও আপনাদের কল্যাণে ভালো কাজগুলো করব।’

এ সময় খালেদা জিয়ার বার্তা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী হাসপাতালে বসে থেকেও বলেছেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসা চাই না। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।’

নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকুন, না হলে শেখ হাসিনার মতো জনগণ আপনাদের ছুড়ে ফেলে দেবে। বিএনপি শান্তির দল।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একটু আদরে আমাকে রাখো: মাহি
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরের প্রাচীর ধসে ৮ জন নিহত, তদন্তে কমিটি গঠন
হাসিনা কখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: ফখরুল
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৩২৬৯ হজযাত্রী
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ডের সাজা বাতিল
গাজীপুরে ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় হাজির বাবা
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
রেফারিকে আক্রমণ করে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আসছে
১৯ দিন পর কারামুক্ত আলোচিত মডেল মেঘনা আলম
কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪
উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার ঘটনায় মামলা
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি, দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে
সারাদেশে শিলাবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা
'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা