সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেরা দল ঢাকার

 

বিপিএলের অষ্টম আসরে বলা যায় দেশি ক্রিকেটাররা এবার আকষর্ন হয়ে থাকবে। বিদেশি  ক্রিকেটারদের লম্বা তালিকা  থাকলেও সেখানে মান সম্পন্ন ক্রিকেটার ছিল না বললেই চলে। যেখানে দেশি ক্রিকেটাররা আকষর্ণ ছড়াবেন, সেখানে  মাশরাফি-তামিম-রিয়াদ একই দলে  খেলাতে আকষর্ন আরো বেড়ে যাবে। এই তিন ক্রিকেটার খেলবেন ঢাকা র্স্টাসের হয়ে। মাহমুদউল্রাহ রিয়াদ ছিলেন সরাসরি পছন্দের। ড্রাফট থেকে নেয়া হয় তামিম ও মাশরাফিকে। ড্রাফট শেষে ঢাকা স্টার্সই সেরা দল গড়েছে।

 এই তিন ক্রিকেটারকে একই দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে  মালিকাান সংক্রান্ত ঝামেলা। ঢাকা স্টার্সের মালিকানা  পেয়েছিল রুপা ও মান গ্রুপ। কিন্তু তারা সময় মতো ৫ কোটি টাকার পে অর্ডার জমা দিতে   না পারাতে তাদের মালিকানা বাতিল করে বিসিবি।   সময় কম থাকায় বিসিবি নিজেরাই এর মালিকানা নিয়ে নেয়। আর এতে করে তারা গড়ে সেরা দলই।

 দল  গঠনে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর সাথে  সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ও সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার  নাফিস। পরে প্রথম ডাকেই তামিম ইকবালকে দলে  নেয়ার পর  তিনি এসে দল গঠনে শরিক হন। প্রথম ডাক ছিল কুমিল্লার। তারা তামিম ইকবালকে দলে নেয়নি। দ্বিতীয় ডাক ছিল ঢাকার। তারা সুযোগ হাতছাড়া করেনি। তামিম ইকবাল  যোগ দেয়ার পর সুমন-রিয়াদ-তামিম এই ত্রি রত্ন মিলে দেশি তারকা ক্রিকেটারদের একের পর এক  নিতে থাকেন। ড্রাফট শেষে দেখা যায় তারাই গড়েছে সেরা দল।

 বিদেশি কোটায় সরাসরি তিন ক্রিকেটার তার নিয়েছে  শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা, আফগানিস্তানের কাইস আহমেদ ও আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরান।  এ ছাড়া ড্রাফট থেকে আরো নেয়া হয়েছে  আফগানিস্তানের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ফজল হক ফারুকী।  দেশি ক্রিকেটারদের মাঝে দলে ভিড়িয়েছে টি-টোযেন্টি স্পেশিয়ালিস্ট মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শুভাগত হোম, পেসার  এবাদত হোসেন ও শফিউল ইসলাম,  ব্যাটসম্যান শামসুর রহমানকে। এ ছাড়াও আরো আছেন আরাফাত সানি, জহুরুল ইসলাম, ইমরান উজ জামান।

 দল নিয়ে তামিম ইকবাল জানান ক্রিকেটার নেয়ার ক্ষেত্রে বিসিবির পক্ষ থেকে তাদের ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। যে কারণে তারা ভালো  মানের ক্রিকেটার দলে নিতে পেরেছেন। তামিম  ইকবাল বলেন, ‘কিছু প্লেয়ার আমার পছন্দের ছিল তা আমি বলেছি। যেমন আফগানিস্তানের ওই পেসারটা এবার টি১০ লিগে ভাল করেছে এটা আমার সাজেশন ছিল। কিছু রিয়াদ ভাই সাজেস্ট করেছে। আর কিছু সুমন ভাই সাজেস্ট করেছে। সবচেয়ে বড় কথা বিসিবিকে ধন্যবাদ যে বোর্ড থেকে আমাদের এত অল্প সময়েও ভাল সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে খেলোয়াড়কে খুশি নেয়ার। এটা অনেক বড় বিষয়।’

দলে  রিয়াদের সাথে তার সর্ম্পক নিয়ে তামিম বলেন, ‘দেখেন একটা বিষয় শেয়ার করি.আমরা তো মাত্র একরাতের মতো সময় পেলাম। তো আজ সকালেই রিয়াদ ভাই আমাকে কল করে বলল – তুই একটু জলদি আয়। তো এখানে আমি আর কি বলব বা কিভাবে বোঝাবো যে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে। ‘ এ নিয়ে  রিয়াদ বলেন, ‘ অনেক কিছুই আমার হাতে নেই। অনেকেই অনেক কিছু ভাবে। আমি সবসময় আমার তরফ থেকে বিশ্বাস করতাম যে বন্ডিং বা রিলেশন সবসময়ই ভালো ছিল।

 

 বিপিএলে কখনো তামিম-মাশরাফি-রিয়াদ এক সঙ্গে  খেলেননি। আর  খেলার উপায়ও ছিল না।  কারণ তিনজনই  থাকতেন আইকন ক্রিকেটার।  জাতীয় দল ছাড়া এক সঙ্গে খেলা হয়নি আগে। এবার এক সঙ্গে  খেলার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘ হ্যা এটা তো আমাদের জন্য দারুন একটা বিষয়। এ কারণে আমাদের দলটাও দারুন হয়েছে। আর আমরা তিনজন এক সঙ্গে থাকলে ড্রেসিংরুমে তো খুব মজা হবেই।‘  এ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘সবসময়ই বিশ্বাস ছিল আবার একসাথে খেলতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ আবার একসাথে খেলতে পারছি। তামিমও আমাদের সঙ্গে আছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা আমাদের টিমে বেশি তো আমি আশা করি মাঠে যদি এটা কাজে লাগাতে পারি আমাদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা আছে, বিশ্বাস করি। এটা আমরা সবসময় উপভোগ করি মাশরাফী ভাইয়ের সঙ্গে খেলা বা উনার অধীনে খেলা। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ যেটি হলো তখনও খুব ভালো সময় আমরা কাটিয়েছি এবং ভালো ক্রিকেটও খেলতে পেরেছি। আশা করি ওইরকম ভালো একটা পরিবেশ যেন এই দলেও তৈরি করতে পারি এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।

 

জাতীয় দলে এখনো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টি-টোয়েন্টি দলের ও তামিম  ইকবাল ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। মাশরাফি কিছুদিন আগেও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে  ছিলেন।  তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক  ছিলেন। তা’হলে কে  হবেন অধিনায়ক?  এ রকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এখানে আমি কিছু বলব না। কারণ রিয়াদ ভাই স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল টিম ক্যাপ্টেন টি-টোয়েন্টিতে, তো অবশ্যই তিনিই নেতৃত্ব পাওয়ার যোগ্য। আমাদের কাজ হল তাকে সাপোর্ট দেয়া।’

 এমপি

Header Ad

করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা

ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরী করোনা টিকা। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোম্পানিটির এই স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

খন্দকার মুশতাক ও ফাওজিয়া রাশেদী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

এর আগে গত বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

পরবর্তীতে মামলাটি দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা।

গত ৩ মার্চ পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে এই নারাজি দাখিল করেন মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।

ভিকটিম এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২নং আসামি) ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী ২নং আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনও সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

কীটনাশক প্রয়োগেও মিলছে না প্রতিকার

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঢেঁড়শ গাছের পাতায় সবুজ রঙের ছোট ছোট পোকা। এই পোকা ঢেঁড়শে আক্রমণ করে ফলন নষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, আক্রমণের কারণে ঢেঁড়শ বড় না হয়ে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন এমন অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ঢেঁড়শ চাষি কৃষকরা। ফলে চাষিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদের খরচ তোলাই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণে ভুক্তভোগী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি মো. আব্দুল বাছেদ। তিনি তার প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে গত বছরের মতো এবারও উন্নত জাতের কমল নামে হাইব্রিড ঢেঁড়শ চাষ করেছেন। তার মতে- ফলন ভালো হয়েছে এবং ঢেঁড়শ ধরেছে প্রচুর পরিমাণ। কিন্তু অজ্ঞাত পোকার আক্রমণে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক আব্দুল বাছেদ বলেন- একদিন পরপর ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ঢেঁড়শ তোলা যেতো। কিন্তু পোকার আক্রমণে বর্তমানে ১ মণ ঢেঁড়শ উঠে না। তারমধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি ঢেঁড়শ ফেলে দিতে হচ্ছে। অপরদিকে ঢেঁড়শের গায়ে প্রচুর পরিমাণে দাগ হচ্ছে। এতে করে পাইকারি ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেন। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমনে কার্যকর কোনো সুফল পাচ্ছি না।

একই গ্রামের ঢেঁড়শ চাষি রহিম মিয়া মীর বক্স আলী বলেন, বাড়ির আঙিনায় ১০/১২ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার ১’শ টাকা কেজি দরে উন্নত জাতের হাইব্রিড ঢেঁড়শের বীজ কিনে চাষ করেছি। গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঢেঁড়শ আসলেও পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শগুলো পরিপক্ব হচ্ছে না। বড় হওয়ার আগেই পোকার আক্রমণে ঢেঁড়শ বাঁকা হয়ে যায়। এতে করে অনেক ঢেঁড়শ নষ্ট হয়। এবার খরচের টাকাও উঠবে না।

পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাওয়া ঢেঁড়স। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সরেজমিনে উপজেলার কয়েড়া, নিকরাইল, নলুয়া, সিরাজকান্দি, বরকতপুর, বিলচাপড়া, রুহুলী ও চর নিকলা গ্রামের বিভিন্ন ঢেঁড়শ ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়- তীব্র দাবদাহে ও খরায় ঢেঁড়শ ক্ষেতের মাটি সাদা হয়ে গেছে। সবুজ রঙের পোকাগুলো ঢেঁড়শ ছিদ্র করে ফেলছে। তাছাড়া গাছ থেকে ঢেঁড়শের ফুলসহ ঝড়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঢেঁড়শ। এছাড়া বাঁকাও হয়ে যাচ্ছে। এগুলো তুলে ফেলা দিচ্ছেন কৃষকরা।

ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাছাড়া হাট-বাজারে সারের দোকানগুলোতে গেলে দোকানিরা পোকা দমনের যে-সব কীটনাশক দেয় সেগুলো দিয়ে পোকা দমন হচ্ছে না। এসব কীটনাশকের অতিরিক্ত দামও নেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে পোকা দমন করতে না পারলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন- প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড় বংশবিস্তার ছড়াচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে পোকার বংশবিস্তার রোধ হবে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পোকা দমনে সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু
রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার
বিয়ের দাবি নিয়ে আসা তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
তীব্র গরমে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ
হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !
পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী