শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

কুমিল্লার সাফল‌্যে নাফিসার রেসিপি

২০১২ সালে বিপিএলে মাঠে গড়িয়েছে। পার করেছে এক দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঠামোর মাঝে দাঁড়াতে পারেনি। এর প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। যে কারণে এক একবার নতুন নতুন ফ্রাঞ্চাইজি আসছেন। আবার চলে যাচ্ছেন। ব‌্যতিক্রম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ক্ষেত্রে। ২০১৫ সাল থেকে দলটির দায়িত্ব নিয়েছেন নাফিসা কামাল। এখন পর্যন্ত আছেন দলের সঙ্গে। যার সুফলও তারা পাচ্ছেন। ছয় আসরে খেলে চারবারই চ‌্যাম্পিয়ন।

দলটির মালিকানা ‘ফিক্সড’ হয়ে যাওয়াতে অন‌্য অনেক ক্ষেত্রেও অনেক কিছু ‘ফিক্সড’ হয়ে গেছে। যেমন কোচ সালাহউদ্দিন আছেন সেই ২০১৫ সাল থেকে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও একই সময় থেকে। শুধুমাত্র প্রথমবার চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় তিনি ছিলেন দলের একজন সদ‌স‌্য। অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। এর পরের তিনবার কুমিল্লা চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছে তার নেতৃত্বেই।

শুধু কোট কিংবা কোচিই ‘ফিক্সড’ হননি। কোচিং স্টাফের অনেকেই একই রকম ‘ফিক্সড’ হয়ে আছেন দলের সঙ্গে। এমন কি বিদেশি কোটায় সুনিল নারিনও খেলছেন সেই ২০১৫ সাল থেকে। এভাবে অনেক কিছুই ‘ফিক্সড’ হওয়াতে দলটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে এগুতে পারছে। হুট করে কোনও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। কুমিল্লার এমন সাফল‌্যের ‘রেসিপি’ জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সন নাফিসা কামাল। যিনি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের মেয়ে।

ফাইনাল খেলা শেষ। শেষ হয়েছে আতশবাজি, আর লেজার শোও। পর্যায়ক্রমে শেষ হয়েছে পুরস্কার বিতরণীও। খেলা শেষে সাধারণত চ‌্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অধিনায়ক অথবা প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে এসে থাকেন। কিন্তু চ‌্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ক্ষেত্রে দেখা গেল ব‌্যতিক্রম। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে দেখা গেল নাফিসা কামালকেও।

বিপিএল আসলেই তিনি সংবাদ মাধ‌্যমে বিভিন্ন সময় কথা বলে থাকেন। কিন্তু এবার তাকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায়নি। বলা যায় ফাইনাল শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি প্রথম কথা বলেন। সেখানেই তিনি কথা বলার ঝুপরি খুলে বসেন দলকে নিয়ে। দলের সাফল‌্যের রহস‌্য বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আমি একা এই সাফল‌্যের অংশ নই। ২০১৫ সাল থেকে কোচ, অধিনায়ক দুজনই আমাদের সঙ্গে আছেন। সুনীল নারাইনও আছে একই সময় থেকে। শুধু তারাই নন, কোচিং স্টাফ, টিম স্টাফ সবাই আমাদের সঙ্গে আছেন অনেক দিন থেকেই। এটা ব্যতিক্রম এবং টিম ব্র্যান্ডিং। যা বিপিএলে আমাদের উপস্থিতিকে অনেক শক্ত করে তুলেছে।’

এভাবে লম্বা সময় একত্রে থাকার সুফল উল্লেখ করে নাফিসা বলেন, ‘ অন‌্য দলগুলোর সঙ্গে আমাদের এখানেই পার্থক‌্য। তিনি বলেন,‘ শুধু টাকা থাকলেই যে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যায়, তা কিন্তু নয়। আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অনেক সাড়া পাই। আমরা অনেক লম্বা চিন্তা করি। আমাদের নেটওয়ার্ক এখন অনেক শক্ত। যে কারণে বিদেশি ক্রিকেটাররা অন্য দলের তুলনায় অনেক আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’ এবারের বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের অক্টোবরে সাইন করানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি অক্টোবর মাসে খেলোয়াড় সাইন করেছি। এটা অন্য দলগুলো হয়তো ভাবতেও পারবে না। আজকেই যেমন আমি আগামী বিপিএলের জন‌্য দুই জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি।’

এবারের বিপিএলে সমস‌্যার নাম ছিল বিদেশি ক্রিকেটার। পাকিস্তানি ক্রিকেটার ব‌্যতীত মান সম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া ছিল কঠিন। যে কারণে পুরো মৌসুমে কাউকে পাওয়া সম্ভব ছিল না। এই সমস‌্যার কথা উল্লেখ করে নাফিসা বলেন, ‘এবার সব দলই বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে সমস‌্যা মোকাবেলা করছে। কিন্তু আমরা প্রথম থেকে জানতাম কোন সময় আমাদের কোন খেলোয়াড় আসবে, যাবে। সে জন্য আমাদের তেমন কোনো সমস‌্যা হয়নি।’ এর সুফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে ভাবনা না থাকায় আমাদের চিন্তাটা অন্য দিকে যায়নি। খেলার মধ্যেই ছিল। আমাদের এজেন্ডা একটাই ছিল, কাপ জেতা।’

কুমিল্লা এবার চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রথম ৩ ম‌্যাচ হারের পর। এরপর তারা চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার পর্যন্ত টানা জিতেছে ১১ ম‌্যাচ। ফিরে আসার গল্প শুনিয়ে নাফিসা বলেন, ‘ প্রথম ৩ ম‌্যাচ হারে পরও ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। কীভাবে হব, তা নিয়ে আমাদের নতুন করে পরিকল্পনা করতে হয়েছে। চট্টগ্রামে আমরা সবাই বসি। সেখানে ঠিক করা হয় লক্ষ‌্য। কী করলে লক্ষ্য পূরণ হবে, সেটা নিয়ে কাজ করেছি আমরা।’

বিপিএলে বিদেশি ক্রিকটোর নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস যেমন চমক দেখিয়েছে, তেমনি একইভাবে এক সময় চমক দেখাতেন নাফিসার পিতা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আইসিসি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল এক সময় আবাহনীর ক্রিকেট কমিরিও চেয়ারম‌্যাও ছিলেন। তার সময়ে তিনি আবাহনীর হয়ে খেলার জন‌্য ওয়াসিম আকরাম, নেইল ফেয়ারব্রাদারের মতো বিশ্ব সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে আসে আবাহনীর হয়ে খেলতে। এ সব খুব কাছ থেকে দেখেছেন নাফিসা। আর শিখেছেন। যা তিনি কাজে লাগাতে পারছেন বিপিএলে।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘ওয়াসিম আকরাম, নেইল ফেয়ারব্রাদাররা আব্বুর দলে যেমন খেলে গেছেন; তেমনি রাসেল, সুনিল নারিনেদের মতো ক্রিকেটাররা আমাদের দলে খেলেন। আমি আব্বুর কাছ থেকেই এই উৎসাহটা পেয়েছি। তিনিই প্রথম ওই সময় আবাহনীতে খেলার জন‌্য ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে আসেন। শহীদ আফ্রিদি তার সময়েও খেলেছে, আমিও নিয়ে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন,‘ওয়াসিম আকরাম, ফেয়ারব্রাদার থাকতেন আমাদের বাসয় । আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ করতাম, ডিনার করতাম। ওনাদের সঙ্গে অনেক গল্পও করতাম। আব্বুকে দেখেছি ওনাদের নিয়ে কীভাবে কাজ করেছেন। এতে করে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। না হলে আমি একজন মেয়ে আমি এখানে কেন আসব? অবশ্যই আব্বুর জন্য। যে কারণে চারটি ট্রফি নিয়ে আমি আজ এখানে আসতে পেরেছি।’

কুমিল্লার মেয়ে নাফিসা তাই কুমিল্লার জন‌্য বাবার মতো সব সময় নিজের অবস্থান থেকে কিছু একটা করে যেতে চান। বিপিএলে অন‌্য কোন দল কিনলে একই রকম হতো না বলেও জানান তিনি। নাফিসা বলেন, ‘ সব সময় কুমিল্লার জন্য আমার একটা টান কাজ করে। অবশ‌্য অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনলে এটা হতো না। আমার বাবা কুমিল্লার জন্য যে ভূমিকা পালন করেন, যে সম্মানটা কুমিল্লায় পান, আমার বাবার মেয়ে হিসেবে, কুমিল্লার মেয়ে হিসেবে কুমিল্লার প্রতি অবশ‌্যই আমার অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করে।’

নাফিসা চান বিপিএলকে লাভজনক করে তুলতে। এ জন‌্য প্রয়োজনে তিনি তাদের সঙ্গে বসতেও চান। যদিও তারা এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মিটিং করেননি। নাফিসা বলেন, আমরা ১৫-২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করি। ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বোঝাপড়া ভালো থাকতে হবে। আমরা কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা মিটিংয়েও বসিনি। এই টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমরা। আমাদের যদি সে সম্মানটা দেওয়া হয়, আমরা একই টেবিলে বসে বিপিএল কীভাবে ভালো করা যায়, কীোবে লাভবান করা যায়, তা নিয়ে প্রয়োজনে আলাপ করতে চাই।’

এমপি

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে এই গম আমদানিতে জড়িত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানাবে দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তার ভাষায়, "আমরা একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো জবাব পাইনি। ফলে এখন বিষয়টি ইইউতে তোলা হবে।"

রাষ্ট্রদূতের দাবি, রাশিয়ার কিছু কোম্পানি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং 'অর্থনৈতিক লুটপাটের' শামিল।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিক চিঠিতে ১.৫ লাখ টনের বেশি ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে এই গমগুলো আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল কৃষিভূমি ও ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকেই ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ওই অঞ্চল এখন তাদের ভূখণ্ড এবং সেখানকার শস্য রপ্তানি বৈধ।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত কোনো এলাকা থেকে গম আনার প্রশ্নই ওঠে না।”

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট