কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই-এর প্রধান ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন নতুন একটি ওপেন সোর্স ডিজিটাল বিশ্বকোষ তৈরির, যার নাম হবে ‘গ্রকিপিডিয়া’। এটি জনপ্রিয় বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে ঢাকাপ্রকাশ এর গুগল নিউজ চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ।

মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই উইকিপিডিয়াকে ‘বামপন্থী পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে সমালোচনা করে আসছেন। তার দাবি, এক্সএআইয়ের তৈরি চ্যাটবট গ্রক-এর নামে গড়ে ওঠা এই বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার তুলনায় অনেক বেশি নিরপেক্ষ ও উন্নত হবে।

গত মঙ্গলবার এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক লিখেন, “এক্সএআই-য়ে যোগ দিন এবং গ্রকিপিডিয়া তৈরিতে সাহায্য করুন। এটি হবে উইকিপিডিয়ার চেয়ে অনেক ভালো একটি ওপেন সোর্স জ্ঞানভাণ্ডার। সবাই ব্যবহার করতে পারবে, কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না।”

মাস্কের জন্য উইকিপিডিয়াকে আক্রমণ নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালে তিনি একশ কোটি ডলারে উইকিপিডিয়া কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এছাড়া, ‘ডনাল্ড ট্রাম্প অ্যান্ড ফ্যাসিজম’ শিরোনামে একটি পেইজ চালু হওয়ায় উইকিপিডিয়াকে ‘অচল’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই পেইজে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে ধরা যায় কি না, এ নিয়ে রাজনৈতিক ও একাডেমিক মহলে তীব্র বিতর্ক হয়।

সম্প্রতি উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি স্যাঙ্গারও আবারও সমালোচনা করেছেন প্ল্যাটফর্মটিকে। তিনি টাকার কার্লসনের এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন যে, উইকিপিডিয়া এখন একটি ‘প্রচারণার মাধ্যম’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

স্যাঙ্গার ২০০১ সালে উইকিপিডিয়া চালু করার এক বছর পর, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন। তার দাবি, উইকিপিডিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা ধারাবাহিকভাবে রক্ষণশীল ও লিবার্টারিয়ান দৃষ্টিভঙ্গির অবদানকারীদের সেন্সর করছে। তিনি বলেন— “এখানে কয়েকশত অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের একটি গ্রুপ আছে, যারা নিয়মিতভাবে এমন মানুষদের ব্লক করছে যাদের সঙ্গে তাদের মতাদর্শিক অমিল রয়েছে।”

তবে এর পেছনে কোনো ‘পাপেট মাস্টার’ আছেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন স্যাঙ্গার। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাবেক ইথেরিয়াম প্রোগ্রামার ভার্জিল গ্রিফিথ-এর কথা উল্লেখ করেন, যিনি বর্তমানে উত্তর কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তার অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন।