রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নববর্ষ বাঙালির সবচেয়ে বড় অসম্প্রদায়িক উৎসব

আমি মনে করি নববর্ষ বাঙালির সবচেয়ে বড় অসম্প্রদায়িক উৎসব। আমাদের বাঙালি সম্প্রীতির উৎসবটিকে আমরা নতুন করে উদযাপন করি, আবিষ্কার করি এবং সবাই আমরা শৈশবে কৈশোরে ফিরে যেতে চাই। আমরা যেহেতু গ্রাম থেকে এসেছি, সুতরাং সেইসব গ্রামীণ জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। ছোটবেলায় কি সব করতাম, সেইসব দিনের কথা মনে হয়। ছেলেবেলার সেই আনন্দময় দিনগুলির কথা মনে করে আমরা এখনও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। আমরা আমাদের নাগরিক জীবনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেইসব স্মৃতিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারছি। আমি মনে করি সেটি একটি বড় বিষয়।

নববর্ষ আমাদের জাতীয় উৎসব। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আমরা এই উৎসব পালন করে থাকি। এটি কোন ধর্মীয় উৎসব নয়। এর সাথে ধর্মের কোন বিভেদ বা বৈষম্য নেই। আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে একে অন্যের সঙ্গে মিলি এবং নতুন বছরকে উদযাপন করি। পৃথিবীর সকল দেশই নতুন বছরকে নিজেদের মত করে উদযাপন করে। আমরাও আমাদের মত করে উদযাপন করি। সুতরাং আমি বলব, যারা এটিকে সাম্প্রদায়িক দৃস্তিভঙ্গি থেকে কালিমালিপ্ত করতে চায়, তাদেরকে প্রতিহত করা,সকল মুক্তমনা সুস্থ্যমনা বাঙ্গালির জন্য উচিত বলে আমি মনে করি।

আমি একটি কথা এক্ষেত্রে বলতে চাই। সত্য হলো, প্রতিটি ধর্মই কিন্তু জীবনকে ধারণ করে। শান্তি ও সুন্দরের কথা বলে। সমস্যাটি হয় ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ যখন হয়। যখন মতভেদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে যেসকল ঘটনা দেশে ঘটছে, এসব দেখে তখন আশাভঙ্গ হয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই বাংলাদেশ অর্জিত হোক আমরা চাইনি। যেখানে একজন বিজ্ঞান শিক্ষক, যিনি ছাত্রদের বিজ্ঞান পড়াতেন, তাকে নানা শিক্ষাবানে জর্জরিত করা হবে। তাঁর কথার ভুল ব্যখ্যা দেওয়া হবে। তিনি কি বলছিলেন? তিনি বলেছেন, বিজ্ঞান হচ্ছে প্রমাণ নির্ভর। ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস নির্ভর। যারা এসব ঘটনা ঘটালো, মোবাইলে যারা ধারণ করল, যারা চক্রান্ত করল, তাদের কোন বিচার হলো না। বরং যে নির্যাতিত হল, একজন শিক্ষক। তাকে জেলে যেতে হয়েছে। একইভাবে আরও দুই তিনটি ঘটনা ঘটেছে, সেগুলি সবাই জানেন। সুতরাং আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যারা এসব ঘটাচ্ছে, যারা সাম্প্রদায়িক চরিত্র নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কেন কঠোর অবস্থা গ্রহণ করে না? এটিই আমাদের প্রশ্ন।

আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি অসম্প্রদায়িক দেশ। বঙ্গবন্ধুর সপ্ন ছিল সোনার বাংলা যেখানে, দেশের সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষ এক ও একাত্ম হয়ে বসবাস করবে। মানুষে মানুষে মানবিক সদাচার প্রতিষ্ঠিত হবে। সাম্প্রদায়িকতা নামক যে বিষফোঁড়া চিরকালের বাঙালি জাতির শিল্প সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি মুক্ত একটি দেশের সপ্ন ছিল। আমরা মুক্তিকামি মানুষও সকল মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারি। চারপাশের অবস্থা দেখে হতাশ না হয়ে আমরা পারি না। এমন দেশ আমরা চাইনি।

কাজেই আমি এটিই আশা করবো যে, ১৪২৯ যে নতুন বছর আসছে, এই নতুন বছরের বার্তা হচ্ছে, আমরা একটি অসম্প্রদায়িক দেশের নাগরিক হিসেবে স্বস্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারি এবং বিগত বছরে যেসব অনাহূত ঘটনা ঘটেছে সেগুলির যেন পুনরাবৃত্তি আর কখনও না ঘটে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে সে ব্যাপারে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

লেখক: নাট্যব্যক্তিত্ব

 

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

 

‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে, তাদের গর্ভপাত করানো হতো। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী সদস্য রফিকুলকে সহায়তা করতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এক ভুক্তভোগী মামলা করলে গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে এবং আত্মগোপনে থাকাকালীন অবস্থায় র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে, রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জানা যায়, গ্রেপ্তার রফিক এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী এক নারী গত দুই বছর যাবৎ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীক শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো।

তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কে বললো ভাই? আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে তথ্যের জন্য ১০০ বার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের চেম্বার ভবন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একজন করে মুখপাত্র থাকে। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিন জন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার যায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সেটিসফাই (সন্তুষ্ট) না করতে পারে আমরা চার জন ডেপুটি গভর্নর আছি- আমরা উত্তর দেব। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

তিনি বলেন, অবাধ বলতে কী? অবাধে কোথায় যায়? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোনও কিছু দেবে? জার্নালিস্টকে দেবে যতই বন্ধু হন? অ্যাবসার্ড (অবাস্তব)। পৃথিবীর কোনও দেশে নাই। তাহলে আপনি বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করিনি। আপনি তো যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোনও কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন। যেটা সিক্রেসি আইনে কাভার করে না। যতদূর খোলামেলা বলা যায় তারা বলে দেবে। কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় সিক্রেসির তথ্য চাইবেন সেটা তো পারমিট করে না কেউ।

খুরশিদ আলম বলেন, আলটিমেটটলি (মূলত) আপনার উদ্দেশ্য দেশটার মঙ্গল আমাদেরও তাই। দেশটা হলো সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের ম্যানেজার পোস্টিং দিয়ে বসে আছি। সে কী করছে না করছে আমরা সুপারভাইজ করছি না। এটা চলবে না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবহারে সফট কিন্তু নিজেকে কঠোর করতে হবে। এটা সেন্ট্রাল ব্যাংকের মেসেজ।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক