মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ বাঙালির দিক নির্দেশনামূলক গ্রন্থ

‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ সাম্প্রতিক সময়ে এমন আশাবাদী পথ দেখানো গ্রন্থ আমরা আর দেখিনি। সেইদিক দিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বাঙালির আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তার বর্ণাঢ্য জীবন, ব্যাপক অভিজ্ঞতা, কাছ থেকে দেখা রাজনীতি উঠে এসেছে এই গ্রন্থে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যৌবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। এখনো তার ধ্যানজ্ঞান বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কতজন আদর্শচ্যুত, লক্ষ্যচ্যুত হয়েছেন কিন্তু তিনি অবিচল থেকেছেন, হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে। তার চরিত্রের দৃঢ়তা দেখা যায় যখন পদ্মাসেতু নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন তিনি দৃঢ়তা দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন কোনো দুর্নীতি হয়নি। যার ফলে পদ্মার বুকে এখন বাংলাদেশের গর্ব পদ্মা সেতু।

‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন যেমন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা, রেমিটেন্স, গড় আয়ুবৃদ্ধিসহ অনেক সূচকে আমাদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন। একই সাথে স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পাতাল রেল নানা স্বপ্নের কথা বলেছেন। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বলেছেন। এসডিজি বাস্তবায়ন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামের কর্ণফুলি টানেল ও ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ আগামীর উন্নত বাংলাদেশের বর্ণনা দিয়েছেন একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদের মতো। নারীর অধিকার, সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কথা বলেছেন। স্বাধীনতার ৫১ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তা উল্লেখ করেন মো. সাহাবুদ্দিন তার গ্রন্থে।

দাবায়ে রাখতে পারবানা কলামে প্রবন্ধকার কবি নির্মলেন্দুগুনের কবিতা দিয়ে শুরু করে ৭ মার্চ এর ভাষণের পূর্বাপর উল্লেখ করেছেন। অস্ত্র বিহীন, যুদ্ধজ্ঞান বিহীন একটি সহজ সরল জাতির মনে স্বাধীনতা নামক ক্ষুধা জাগিয়ে তোলার নাম ৭ মার্চ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এর আগে ৭ মার্চ নিয়ে এত সুন্দর ব্যাখ্যা আর কেউ দেয়নি। জাতির পিতার যোগ্য রাজনৈতিক কর্মী মো. সাহাবুদ্দিন এভাবে ৭ মার্চকে ব্যাখ্যা করে নতুন প্রজন্মের কাছে আলোর দিশারী হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী লীগের সাতকাহন প্রবন্ধে আওয়ামী লীগ গঠনের ইতিহাস চমৎকারভাবে উল্লেখ করেছেন। এদেশের সকল উন্নয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৬৬ সালের ৮ এপ্রিল পাবনায় বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রথম দেখার স্মৃতি উল্লেখ করে প্রবন্ধকার বলেছেন— বঙ্গবন্ধু আদর করে ‘তুই’ সম্বোধন করে বেশকিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। শেষে বললেন ‘মাঠে আয়।’ বঙ্গবন্ধুর মাঠে আয় আহ্বানে কী যেন লুকিয়ে ছিল। সেই থেকে রাজনীতির মাঠে নেমে পড়লেন মো. সাহাবুদ্দিন। হয়ে উঠলেন স্লোগানদাতা। এরপর বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হয়ে উঠলেন। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেন ধ্যানজ্ঞান, অনুপ্রেরণা, জীবনের অংশ— যা এখনো বহমান রক্তে। লেখক বলেছেন— জীবন চলায় ফুয়েল। যে ফুয়েল আজও আমাকে শক্তি জোগায়। এখানে প্রবন্ধকার ফুয়েল বলতে বঙ্গবন্ধুকে বোঝাতে চেয়েছেন। এ ফুয়েল শক্তি দেয় এ কারণে যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ধারণ করে।

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাবনার নগরবাড়িতে ‘মুজিব বাধ’ উদ্বোধন করতে এসে মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে ডায়াসে বঙ্গবন্ধু তার হাত ধরে ফেললেন। বুকে জড়িয়ে ধরলেন। কপালে চুমু দিয়ে বললেন ‘তুই তো ভালো বলিস।’ বঙ্গবন্ধু তাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে উঠালেন। প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টারে ওঠে ঢাকায় গেলেন প্রবন্ধকার। সেদিনই যেন মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধুর দোয়া ও ভালোবাসা পেয়ে হেলিকপ্টার নয় যেন আকাশে উঠেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দোয়া ও ভালোবাসা পেয়ে সেদিন সৃষ্টিকর্তা তার কপালে লিখেছিলেন রাজভাগ্য। যার প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, আদরের চুপ্পু আজ বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্টপতি। পাবনা তথা বাংলাদেশের গর্ব, অহংকার। তার মত যোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে পেয়ে বাংলাদেশ ধন্য।

বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখার স্মৃতি উল্লেখ করেছেন প্রবন্ধকার। কীভাবে বাকশালের নেতা হলেন, তা উল্লেখ করেছেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পাবনায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা উঠে এসেছে। এরপর গ্রেপ্তার হন মো. সাহাবুদ্দিন। গ্রেপ্তারের পরে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পরিবারের আর্থিক ও মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, যাদের হাতে জেলখানায় নির্যাতিত হয়েছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করত— পরে তারা জাতির বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছেন।

‘বঙ্গবন্ধু ইাতহাসের অমর মহানায়ক’ প্রবন্ধের একাংশে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিনে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনার সবচাইতে বড় ও পবিত্র কামনা কী? উত্তরে বলেছিলেন, ‘জনগণের সার্বিক মুক্তি।’ এই এক কথাতেই বঙ্গবন্ধুকে চেনা যায়— তিনি কতটা বাঙালিকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন। ৫২তম জম্মদিনের এই ঘটনার কথা বইতে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চেতনা কর্ম আমাদের মাঝে তথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে পবিত্র দায়িত্ব পালন করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন।

বঙ্গবন্ধু নয়মাস পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকার পরে যখন মুক্তি পান, তখন ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি ইত্তেফাকের সংবাদ শিরোনাম ছিল ‘তোমরা কি সবাই বেঁচে আছো’: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই হলেন জাতির পিতা, জীবনের একটি দিনও যিনি দেশের মানুষকে ছাড়া ভাবেননি। এ জন্য ‘বঙ্গবন্ধু-স্বাধীনতা-বাংলাদেশ’ বাঙালির অভিধানে এ তিনটি শব্দই সমার্থক। প্রবন্ধকার উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলধারা, তিনি আছেন সর্বত্র।

‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড: তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা কোথায়’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার পরিজনকে হত্যার ঘটনায় প্রথম অনুসন্ধান কমিশন গঠিত হয় ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যে। কিন্তু সেই কমিশনকে তৎকালীন সরকার কাজ করতে দেয়নি। একই প্রবন্ধে জানা যায় কীভাবে তৎকালীন সরকার এয়ার ফোর্সের সদস্যদের বিনাদোষে ফাঁসি দিত।

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে আমাদের দিন বদল’ প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সংগ্রাম, আদর্শ, দেশ প্রেম প্রবন্ধকার যেন শিল্পীর নিঁখুত হাতের ছোয়ায় সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। একই সাথে ওঠে এসেছে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর বাঙালির স্বপ্ন এক হয়ে কীভাবে আন্দোলন সংগ্রাম একত্রে মিলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে ওঠার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন তারই কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সাহসী সিদ্ধান্ত, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার ইতিহাস সুন্দরভাবে ফুটে তুলেছেন প্রবন্ধকার। সেদিন শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগরের চিত্র সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। এরই মাধ্যমে প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনা কতটা জনপ্রিয় বাঙালির কাছে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ও ১৯৮১ সালের ১৭ মে দুটোই বাঙালির ইতিহাসে অন্যতম দিন। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উভয়ের অবস্থান ছিল এক ও অভিন্ন। আর তা হলো ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রায় মাধ্যমে জনগনের ভাগোন্নয়ন।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা সেদিন দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতেই উন্নয়নের বাংলাদেশ র্শীষক প্রবন্ধে প্রবন্ধকার ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ন তুলে ধরেছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রার মান, দেশের উন্নয়ন একজন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদের মতো করে উল্লেখ করেছেন।

এ কথা ধ্রুবসত্য পদ্মা সেতুর কারণে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে অনন্য উচ্চতার পৌঁছে গেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। প্রবন্ধকার এর পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। করোনাকালে শেখ হাসিনার যুগোপযোগি ও কার্যকর সিদ্ধান্তের কারণে আমরা কীভাবে রক্ষা পেয়েছি তা জানতে পেরেছি এই প্রবন্ধের মাধ্যমে। একই প্রবন্ধে দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন বিশ্ব পর্যায়ের তা ওঠে এসেছে।

২০২৪ সালে শেখ হাসিনা কেন জরুরি, প্রবন্ধটির পাঠ অতি জরুরি আমাদের জন্য। ২০০৭ সালের ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে ইতিহাস অন্যরকম হতো। আগামীর বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে বাঙালির দরকার। গ্রন্থের শেষের দিকে প্রবন্ধকার যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিনি নানা রঙের দিনগুলি, বাদশা ভাই চির অম্লান, কাছ থেকে দেখা জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের জীবনী তুলে ধরেছেন। যা আমাদের জন্য অবশ্য পাঠ। আমরা নতুন করে অনেক কিছু জানতে পারব। এ ছাড়া কূটনৈতিক শোভনীয়তা ও গণমাধ্যম, বিভীষণ ও কাউয়াদের সামাল দিন, সাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় সমান গুরুত্বপূর্ণ আমাদের পাঠের জন্য। একজন নিয়মিত লেখক, পেশাজীবী প্রবন্ধকারের মত নিঁখুত শিল্পীর মত কলমের আঁচড়ে এতো সুন্দর করে সুখপাঠ্য করে তুলেছেন ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি। আমরা পেলাম একজন বিশিষ্ট প্রবন্ধকার, লেখককে যে যিনি দেশের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনে দিকনির্দেশনা দেবেন। মহামান্য আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন এই গ্রন্থের মাধ্যমে।

শেষে সাজ্জাদ কাদিরের কীর্তিমানের গল্পকথা, বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১২ জুন ২০২২ সালের সাক্ষৎকারে তিনি বলেছেন, আমার জীবনে কোনো অপ্রাপ্তি নেই— পড়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অজানা অনেক তথ্য জানতে পারি। নতুন করে মানবিক, রাজনৈতিক, দূত্যিময় এক মহামানবের পূর্ণাঙ্গ জীবন আলেখ্য দেখতে পাই। তার কর্মময় জীবন, বিচিত্র অভিজ্ঞতা, রাজনীতি, সরকারি চাকরি, সরকারি বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ইতিহাস জানার পর আমরা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারি। বিশেষ করে নতুন প্রজম্মের জন্য বইটি অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত।

২০২২ সালের ১৯ আগস্ট ড. এম আব্দুল আলীমের সাক্ষাৎকারে পাবনার বিখ্যাত ভূট্রা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বিশদভাবে ফুটে ওঠেছে। পরিশিষ্ট-২ মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুঃ সংগ্রাম, চিন্তা ও রাজনৈতিক আদর্শ ড. এম আব্দুল আলীমের লেখায় মহামান্যকে নতুন করে তার সংগ্রাম, চিন্তা ও রাজনৈতিক আদর্শকে আমরা জানতে পারি। এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সঞ্জিত অভিজ্ঞতায় যিনি প্রোজ্জল, স্বাধীকার সংগ্রাম থেকে একাত্তরের রণাঙ্গন, বিচারালয় থেকে দুর্নীতি কমিশিন, ছাত্র রাজনীতির মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতির প্রাঙ্গণ সর্বত্রই কর্মনিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা আর দেশে প্রেমের পরাকাষ্ঠায় যিনি অনন্য। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপসহীন এক মানুষের জীবন আলেখ্য নিয়েই এই গ্রন্থ যার পাতায় পাতায় ইতিহাস, ইতিহাসের মানুষ আর উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলা অপার সম্ভাবনাময় এক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

বইটি পড়ে আমি অভিভূত। আশাকরি মহামান্য শত ব্যস্ততার মাঝেও এমন বই জাতিকে আরও উপহার দেবেন। তার লেখা জাতিকে যেমন দিক নির্দেশনা দেবে, তেমনি নতুন প্রজম্মকে দেখাবে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন, দেবে ভবিষ্যতে পথচলার নির্দেশনা। বইটির পাতায় পাতায় একজন আশাবাদী মানুষের দেশ নিয়ে আশাবাদী সব ভাবনা স্থান পেয়েছে। ফলে এর নামকরণ ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ যথাযথ হয়েছে। আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।

মো. ফারুক হোসেন চৌধুরী: উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ভিআইপি পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ৩০টি বাস আটক করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী সাবিত, যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের ছাত্র, অভিযোগ করেছেন যে তিনি বাসে উঠার পর হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নামার সময় হেল্পার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, ফলে তার দুই পা কেটে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে হয়।

আহত সাবিত জানান, "আমি আজিমপুর থেকে কলেজে আসার জন্য ভিআইপি বাসে উঠি। নামার সময় হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় তারা আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, যার ফলে আমি পা ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই।"

অপরদিকে, আটক বাস চালকরা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী কোনো ঘটনার কারণে এসব বাস আটক করা হয়েছে। লিটন নামের এক চালক বলেন, "কোন বাসের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে, শুনেছি কলেজের এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। তাই আমাদের বাসগুলো আটক করেছে।"

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং নিউমার্কেট থানাকে জানিয়েছি। থানার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া উচিত নয়।"

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্থানীয় নিউমার্কেট থানার পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আটক বাসগুলো নিয়ে যায় মালিকপক্ষ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

Header Ad

ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘকাল ধরে চলমান ভারত ও চীনের সীমান্ত সমস্যা অবশেষে মিটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটেছে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এবং আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপির রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংক্রান্ত এলাকায় 'টহল বন্দোবস্ত' এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যে অচলাবস্থা ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের প্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও চীনের কূটনীতিক এবং সামরিক মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ, সীমান্তে বিরোধের বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, দুই দেশ এখন 'পরবর্তী উদ্যোগ' নিতে শুরু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, "২০২০ সালের আগে সীমান্তে যে ধরনের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হত, তা আবারও শুরু হবে।"

যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চুক্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জয়শঙ্কর বলেছেন, "২০২০ সালের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছি, যার মাধ্যমে আমি বলতে পারি যে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধের অবসান ঘটেছে।"

অতীতে, ভারত সরকার জানিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তখনই ফিরে আসবে, যখন চীন তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। চীনের সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিকস সম্মেলন শুরুর এক দিন আগে এই ঘোষণায় মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোদি ও শি'র দেখা হয়েছে ১৪ বার, কিন্তু ২০২২ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর মাত্র দুইবার তারা সাক্ষাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জিয়ান জানিয়েছেন, "ভারত-চীন সীমান্তের বিরোধিতাপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধানে দুই দেশ একমত হয়েছে।"

Header Ad

টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা

ছবি: সংগৃহীত

টাকা না পাওয়ায় চাঁদপুরের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ব্যাংকটিতে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকরা জড়ো হন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখলে উত্তেজিত গ্রাহকরা প্রবেশদ্বারে তালা লাগিয়ে দেন।

পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর জেলা শাখায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন গ্রাহকেরও টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক। জেলার অন্যান্য শাখাগুলোর পরিস্থিতিও একই রকম। ব্যাংকের টাকা সংকটের কারণে গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না, যা তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংকটির লেনদেনে জটিলতা শুরু হয় এবং তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমানে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে টাকার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না।

অনেক গ্রাহক জানান, দুই সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে এসে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিবারই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী সপ্তাহে আসার পরামর্শ দেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয় না। আজকের দিনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম জানান, রোববার ও সোমবার সীমিত আকারে লেনদেন চলছিল, তবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আজ সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা তালা মেরেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা দিয়ে আপাতত গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, "ব্যাংকে ভিড় জমেছে এবং গ্রাহকরা তাদের টাকা পাচ্ছেন না, এমন খবর পেয়ে আমরা টহল পার্টি পাঠাই। পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকার ব্যবস্থা করি। আশা করছি, আপাতত গ্রাহকদের শান্ত করা যাবে।"

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৫৭ বাংলাদেশি
সারদায় পুলিশের ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গনজমায়েতের ডাক
৩৬৯ দিন পর অবশেষে মাঠে ফিরলেন নেইমার