শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘কিসের টিকিট, গাড়ি চলে চুক্তিতে’

সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। এই সর্বনিম্ন ভাড়ার দূরত্ব ২ দশমিক ০২ কিলোমিটার। এরপর থেকে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রী ভাড়া বাড়ে। কিন্তু সাভার থেকে কমলাপুর হয়ে খিলগাঁও পর্যন্ত চলাচলকারী বাহন পরিবহন নির্দিষ্ট দূরত্বের বেশি ভাড়া আদায় করছে। শাহবাগ থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার পথের ভাড়া আদায় করছে ১৫ টাকা। অথচ ৪ দশমিক ০৭ কিলোমিটারের ভাড়া হচ্ছে মাত্র ১২ টাকা। অর্থাৎ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ ই-টিকিটিং চালু করার পর থেকেই এভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন গণপরিবহনে চড়ে যাত্রী ও পরিবহন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ই-টিকিটিংয়ে বেশি ভাড়া আদায়, পজ মেশিন বিকল থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্বাধীন পরিবহনের যাত্রী হাসান বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেটের দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। অথচ ভাড়া নিচ্ছে ইচ্ছামতো। টিকিট দিলে এত নিতে পারত না। কিসের টিকিট দেবে। বলে, মেশিন নষ্ট। চুক্তিতে চলছি। খরচা বাদে যা থাকে তাই মহাজনকে দেওয়া হয়।’

সালাম নামে এক যাত্রী বলেন, ঠাসাঠাসিতে উঠা যায় না। তাই টিকিট দেয় না। যখন যাত্রী একেবারে কম তখন টিকিট দেয়।

ফার্মগেটে দেখা গেছে, কন্ট্রাক্টর টিকিট ছাড়াই যাত্রীদের কাছে ভাড়া নিচ্ছে। অনেকে হইচই করলেও তার সাফ জবাব, টিকিট দিয়ে কী করবেন। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা নামতে চাইলেও চালক থামে না। এর মধ্যেই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামছে। অনেকে চিৎকার করে বলে, ড্রাইভার গাড়ি চাপাও। নাইমা লই। এভাবেই চলছে স্বাধীনের বেপরোয়া যাত্রীসেবা।

একই পরিবহনে (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৯০০৯) ফার্মগেট-বসিলা রোড দেখিয়ে ১৪ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অথচ গাড়ি কখনোই মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পার হয় না। এভাবে বেশি দূরত্ব দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

আসাদগেট থেকে প্রজাপতি পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৬-০৩৩০) গাড়িতে চড়া যাত্রী খুরশেদ আলম বলেন, ভাড়ার বিপরীতে টিকিট চাইলে গাড়ির কন্ট্রাক্টর মনির বলেন, টিকিট দিয়ে কী করবেন। মেশিন নষ্ট। তা ছাড়া চুক্তিতে মালিক গাড়ি দিয়েছে। মোহাম্মদপুর থেকে বসিলার ভাড়া ১২ টাকা। দূরত্ব কত কিলোমিটার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না। মোহাম্মদপুরে কোনো স্টপেজ নেই। ময়ুরভিলা থেকে বসিলা ১০ টাকা। উইঠ্যা নামলেই ১০ টাকা দিতে হবে।’

কন্ট্রাক্টর এত কথা বললেও চালক রবিউল বলেন, তেল খরচ, লাইনের খরচ বাদ দিয়ে মালিককে প্রতি ট্রিপে ৩ হাজার ২০০ টাকা দিতে হয়। পজ মেশিনে যা টিকিট কাটা হয় তাতে ১৫ শতাংশ দিতে হয়। তাই সব টিকিট কাটা হয় না। শুধু আমারটা না, সব গাড়ি চুক্তিতে দেওয়া। যাতায়াতে তেল লাগে ১৩০০ টাকার, লাইনে লাগে ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ড্রাইভার-কন্ট্রাক্টরের খাবার নাস্তা তো আছে। কিছু থাকে না। ওভারলোড করে যাত্রী নিয়েই তা পুষিয়ে নিই। কিলোতে আড়াই টাকা ভাড়া হয়েছে। কিন্তু তেলের দামতো কমায়নি।

শুধু এই বেসরকারি পরিবহনেই নয়, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের উদ্যোগে ঘাটারচর থেকে চিটাগং রোডে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করার পর ডেমরা পর্যন্তও এই নগর পরিবহন চালু করা হয়েছে। প্রথমে কাউন্টার সিস্টেম চালু করা হলেও বর্তমানে তার বালাই নেই। ঘাটারচর থেকে ফার্মগেট হয়ে ডেমরা পর্যন্ত হানিফ পরিবহনের এই গাড়ির নির্দিষ্ট কোনো স্টপেজ নেই। লোকাল গাড়ির মতো যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠানামা করছে। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের টিকিটও দেওয়া হচ্ছে না। নতুন যাত্রীদের পেলে কন্ট্রাক্টররা বেশি করে করে ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

বিকাশ পরিবহনে বিমানবন্দর থেকে আসাদগেট পর্যন্ত ৪০ টাকা জানিয়ে ভাড়া নিয়েছে। যাত্রী রফিক বলেন, টিকিট কোথায় বলা মাত্র ৩৮ টাকার টিকিট ধরিয়ে দেয়। সরকার নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী এই ভাড়া কি না জানতে চাইলে (ঢাকা মেট্রো ব ১৩-৬৭৮৫) গাড়ির কন্ট্রাক্টর জসিম বলেন, আমরা জানি না। মেশিন দিয়েছে যে তারা জানে।
এসময় আলাউদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ক্যান্টনমেন্টে উঠে আসাদগেটে নেমেছি। আমার কাছ থেকেও ৪০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। এটা অনেক বেশি। টিকিট চাইলে বলে মেশিনে ঝামেলা।

রাজধানীর গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে পরিবহন মালিকরা বিভিন্ন রুটে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কিন্তু এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। বরং যে যেভাবে পারছে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীরা টিকিট চাইলেও টিকিট পান না। প্রজাপতি, পরিস্থান, স্বাধীন, তরঙ্গসহ বিভিন্ন কোম্পানির পরিবহনের কন্ট্রাক্টরদের হাতে বা পকেটে পজ মেশিন থাকলেও তারা বলছেন, মেশিন নষ্ট, নেট নেই। কেউবা বলছেন, মালিক পাসওয়ার্ড দেয়নি। মেশিনের সমস্যা। তাই টিকিট ও ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে যাত্রীদের হইচই, চিৎকার, চেঁচামেচি, এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও দেখা গেছে।

ই-টিকিটিং নিয়ে এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এই প্রতিবেদককে-কে বলেন, ব্যস্ত আছি। এখন কথা বলা সম্ভব নয়। শুধু বলেন, ঢাকায় প্রায় সব গণপরিবহনে ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে এই গম আমদানিতে জড়িত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানাবে দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তার ভাষায়, "আমরা একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো জবাব পাইনি। ফলে এখন বিষয়টি ইইউতে তোলা হবে।"

রাষ্ট্রদূতের দাবি, রাশিয়ার কিছু কোম্পানি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং 'অর্থনৈতিক লুটপাটের' শামিল।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিক চিঠিতে ১.৫ লাখ টনের বেশি ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে এই গমগুলো আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল কৃষিভূমি ও ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকেই ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ওই অঞ্চল এখন তাদের ভূখণ্ড এবং সেখানকার শস্য রপ্তানি বৈধ।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত কোনো এলাকা থেকে গম আনার প্রশ্নই ওঠে না।”

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট