
তুরাগ পাড়ে মর্ডান কন্টেইনার রেস্তোরাঁ ‘ক্যাফে রিভার ফ্রন্ট’
২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৯ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৩ পিএম

তুরাগ নদীর পাড়ে বিরুলিয়া ব্রিজের ধারে চল্লিশ ফুট দীর্ঘ, আট ফুট চওড়া আর সাড়ে ৯ ফুট উঁচু- এমন ১৪টি কন্টেইনার দিয়ে তৈরি হয়েছে ক্যাফে রিভার ফ্রন্ট। জায়গার আসল মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের থেকে লিজ নিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ ছায়াময় জনপরিসর হিসেবে গড়ে তুলছে।

আরো কিছু পরিকল্পনায় আছে ড্যাফোডিলের। যেমন ইনোভেশন সেন্টার, ক্র্যাফট ডিসপ্লে সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা। তবে আপাতত ১ ডিসেম্বর থেকে রেস্তোরাঁটি পরীক্ষামূলকভাবে (সফট লঞ্চিং) চালু করা হবে। এর দক্ষিণদিকে এর প্রবেশদ্বার, উত্তরদিকে নদী কিছু দূরে তবে পশ্চিম দিক একেবারেই নদী ঘেঁষা, মিরপুর-আশুলিয়া রাস্তাটি পূব পাশে। হালকা শীতের শুরু হলেও উত্তরে হাওয়া ভিতরে ঠান্ডা , নদী ছুঁয়ে আসা পশ্চিম দিকের হিমেল বাতাসও ছড়িয়ে যাচ্ছে।

সিমেন্ট, কংক্রিট, ইট দিয়ে যে স্থাপনা তৈরি হয় তাতে পানির ব্যবহার হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে, আর কন্টেইনারের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি স্থাপনাগুলো হয় শুষ্ক। এতে ব্যাপক হারে ঝালাই বা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করা হয়। শীতপ্রধান দেশগুলোতে কন্টেইনার স্থাপনা অনেক জনপ্রিয়। এর প্রধান কারণ দ্রুত এবং স্বল্প খরচে একে বাসযোগ্য করে তোলা যায়।

শীতপ্রধান দেশে দুইজনের একটি পরিবারকে দেখা যায় বনের কাছে, জলাশয়ের ধারে একটি কন্টেইনারেই বাসা বানিয়ে ফেলেছে। বড় সুবিধা এর দেয়াল, ছাদ ও দরজা পাওয়া যায় রেডিমেড। স্থাপনাটি লোহা দিয়ে তৈরি বলে এগুলো দিনের তাপ ভিতরে বেশি ধরে রাখতে পারে আবার বাইরের ঠান্ডাও কম ঢোকায়। আমাদের দেশে অবশ্য এটাই বড় প্রতিবন্ধকতা।

কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা রেস্তোরাঁর মেহমানদের কাছের গোলাপগ্রাম বা বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি অথবা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরিয়ে আনার।
রেস্তোরাঁটি পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, 'আমরা একে কেবল একটা খাওয়ার জায়গা হিসেবে গড়ে তুলছি না, আমরা চাই দিনভর গেস্টরা এখানে অবসর যাপন করুক, ফেরার সময় মনে রাখার মতো স্মৃতি নিয়ে ফিরুন। তা হতে পারে মাছ ধরা বা সবজি চাষ। কাস্টমার নয়, আমরা চাইছি গেস্ট। একটি পরিবারে বৃদ্ধ, মাঝবয়সী, নারী ও পুরুষ এবং শিশুরাও থাকে। প্রত্যেকের জন্যই এখানে কিছু না কিছু থাকবে। সবারই অবসর-বিনোদনের জায়গা করে তোলার চেষ্টা রাখব আমরা।'

শেখ মোহাম্মদ রেজওয়ান ২০১২ সালে বুয়েট থেকে বিআর্ক (ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার) সম্পন্ন করেন। তারপর যোগ দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগে। একইসঙ্গে কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধু মিলে গড়ে তুলেন একটি স্থাপত্য চর্চা প্রতিষ্ঠান বা আর্কিটেকচার ফার্ম। প্রথম দিকে আবাসিক ভবনেরই নকশা করতেন। দুই বছর পর তিনি যোগ দেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচারে।
প্রকল্পটির সাথে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন। প্রকল্পটিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে দুইজন ইন্টার্নশিপ করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে তাদেরকে যুক্ত করা হয়েছিল।
এ প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন জয়েন্ট ডিরেক্টর (প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট) নাজিম উদ্দিন সরকার, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের সাথে যুক্ত ছিলেন সিনিয়র সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান মজুমদার।

ড্যাফোডিল বিশ্বের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। বিশ্ব ততদিনে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং তার প্রভাব নিয়ে সরগরম, সচেতনতাও বাড়ছিল ক্রমে ক্রমে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠার নীতি গ্রহণ করে। তাই যখন বিরুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টি তাতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও নবায়নযোগ্য উপকরণ দিয়ে স্থাপনা তৈরির প্রয়াস নেয়।

ফলাফলে কন্টেইনার হাউজ এবং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি একটি ছাত্রী হোস্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়। রেজওয়ান ও তার বন্ধু স্থপতি আজকা ইশিতা এর মধ্যে নীলফামারী উপজেলা পরিষদের শিশু পার্ক তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তারা গতানুগতিক চিন্তার বাইরে গিয়ে এখানে টায়ার দিয়ে বিভিন্ন রাইড গড়ে তুলেন।
প্রকল্পটির বিষয়ে শেখ মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, আমরা পৃথিবীতে অনেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দিচ্ছি। আমাদের প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল অব্যবহৃত ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার উপযোগী করে তোলা এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য সামঞ্জস্য রাখা। আমাদের প্রকল্পটিতে একটি ব্রিক ফাউন্ডেশন করে স্লাব কাস্টিং করে কন্টেইনার গুলোকে ব্যবহারের উপযোগী করেছি। কন্টেইনার গুলোকে ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত করেছি। এখানে জানালা এবং দরজা গুলো আশেপাশের প্রাকৃতিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কাঠামো সাজিয়েছি। ওয়েদারের উপরে ভিত্তি করে প্রকল্পটির ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করা হয়েছে।

এ দেশে কন্টেইনার স্থাপনা জনপ্রিয় হওয়ার একটি কারণ সরকারি অনেক জমি বেকার পড়ে থাকা। সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া জমিতে যেহেতু স্থায়ী কাঠামো গড়া যায় না তাই কন্টেইনার হাউজ একটি ভালো বিকল্প। আড়াই মাসের মধ্যে ফাউন্ডেশন ছাড়াই এ দিয়ে স্থাপনা তৈরি করে ফেলা যায়।
রেস্তোরাঁ কাজে না এলে রেস্ট হাউজে পরিবর্তন করে নেওয়াও কঠিন কাজ নয়। মেগা মল বা মিলনায়তন হিসেবেও ব্যবহার করা চলবে। আমাদের দেশে একাধিক সমুদ্র বন্দর আছে। কন্টেইনার প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পাওয়াও কঠিন নয়। সেগুলো অব্যবহৃত পড়ে থাকলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কন্টেইনার পাওয়া যায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকায়। কেবল খেয়াল রাখা দরকার চোরা ফাটল আছে কি না আর তা পরীক্ষা করার জন্য বর্ষাকালই উপযুক্ত সময়।
এছাড়াও তিনি (শেখ মোহাম্মদ রেজওয়ান) রেস্তোরাঁটি সবাইকে ঘুরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ এএম

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে বিতর্কিত ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনান্সের প্রচারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এই বিনিয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা করেন তিন ভুক্তভোগী।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিজিটাল বাণিজ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা বাদীরা বলেছেন– রোনালদো অস্বীকৃত ‘বিনান্স’ প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, বিনিয়োগ কিংবা কাজে সহায়তা করেছেন। এই ফুটবল তারকার প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন বলে জানিয়েছেন তারা। যার ফলে তারা নাকি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন!
সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ বলছে, পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মামলার বাদী হয়েছেন মিখায়েল সিজমোর, মিকি ভোংদারা এবং গর্ডন লুইস। তারা সবাই বিনান্সে বিনোয়াগ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে রোনালদো তার নিজস্ব এনএফটির (নন ফাঞ্জিবল টোকেনস বা একধরনের ডিজিটাল সম্পত্তি) প্রচারণা চালাতে বিনান্সের সঙ্গে চুক্তি করেন।
A proposed class-action suit has been filed against soccer star Cristiano Ronaldo, alleging his Binance NFT collections promoted investments in unregistered securities on the crypto exchange. https://t.co/U4OZMqFcWA
— Cointelegraph (@Cointelegraph) November 29, 2023
একইসঙ্গে বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জানানোয় বাদীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বিনান্সের অনিবন্ধিত ক্রিপ্টো সিকিউরিটিজের বিক্রি সম্পর্কে রোনালদো জানতেন অথবা তার জানানো উচিৎ ছিল। কেননা বিনিয়োগে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৮৫ কোটির মতো অনুসারীও আছে তারকা ফুটবলালের। কিন্তু বাইরে থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ থাকার পরও রোনালদো তার অনুসারীদের বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচারণায় তারকাদের পেমেন্ট গ্রহণের তথ্য প্রকাশের জন্য সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটিও মানেননি তিনি।
রোনালদোর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রোনালদোর বড় অঙ্কের অনলাইন অনুসারীও নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। বাদীরা বলছেন, এনএফটি বিনিয়োগের মাধ্যমে অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিষ্ঠানটি সফল হয়েছে, কেবল এক সপ্তাহেই বিনান্সকে অনলাইনে খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে অন্তত ৫০০ গুন।
Cooking something up with binance https://t.co/FMAP5GAdxE
— Cristiano Ronaldo (Cristiano) November 28, 2023

২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩২ এএম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০ টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি।
ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবো। বাকি ২০ জনের নাম রাতের মধ্যেই আমরা ফাইনাল করবো। আমাদের ৫০০ টির বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এখনও যে কেউ চাইলে মনোনয়ন কিনতে পারেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা কোনও কোনও আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি যাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখে পরবর্তীতে ফাইনাল করবো।"
তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, "প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবারের লোকজন, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। যারা সমাজের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।"
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
বিভাগ : রাজনীতি
বিষয় : জাতীয়-সংসদ-নির্বাচন , সংসদ-নির্বাচন , প্রার্থীদের-তালিকা , তৈমূর-আলম-খন্দকার , তৃণমূল-বিএনপি

পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩৩ এএম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম। তবে এই আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন শফিক।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, দলীয়ভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শফিক বলেন, সিংড়ার জনগণের ভালোবাসায় একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সিংড়ার জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি এবার বঞ্চিত মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।
প্রসঙ্গত, শফিকুল ইসলাম শফিক সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ১৯৯৬ সালে সিংড়া সরকারি গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮ সালে একই কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিক।
বিভাগ : সারাদেশ
বিষয় : জাতীয়-সংসদ-নির্বাচন , আওয়ামী-লীগ , স্বতন্ত্র-প্রার্থী , ইউএনও , পদত্যাগ , উপজেলা-চেয়ারম্যানের-পদত্যাগ , জুনাইদ-আহ্মেদ-পলক