মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

এফবিসিসিআই ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধা চায় জুলাই পর্যন্ত

করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখনো ভয়াবহ অবস্থা পার করছে। তাই ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধা আগামী বছরের জুলাই পর্যন্ত বাড়াতে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঠন এফবিসিসিআই।

বাংলাদেশ ব্যাংককে যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে এফবিসিসিআই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ঋণ শ্রেণীকরণের মেয়াদ বাড়ালে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি আসবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দ্রুত সম্ভব হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি তাড়াহুড়ো করে নতুন আয়কর আইন চূড়ান্ত না করারও আহ্বান জানান তিনি। যেহেতু বর্তমানে একটি আয়কর আইন প্রযোজ্য রয়েছে, তাই এফবিসিসিআইসহ সকল সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বেশকিছু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলা ও উন্নয়নশীল দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশের সব খাতের ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

জসিম উদ্দিন জানান, উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব এর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি এবং এর অধীন বিভিন্ন উপ-কমিটি সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে এফবিসিসিআই।

এ ছাড়া ২০২৬ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পলিসি অ্যাডভোকেসির অংশ হিসেবে 'ইন্টারনাল রিসোর্স মোবিলাইজেশন এন্ড ট্যারিফ রেশনালাইজেশন', গ্লোবাল মার্কেট এক্সেস ২০২১-২০২৬ অ্যান্ড বিয়ন্ড', 'ইনভেস্টমেন্ট মেজারস ফর সাসটেইনেবল ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট' ও 'সাসটেইনেবল এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট, সাবসিডিস অ্যান্ড ইনসেনটিভস' শীর্ষক চারটি কর্মকৌশল হ্যান্ডবুক আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে। যা শিগগিরই সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। একই সঙ্গে খাতভিত্তিক সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআইতে ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এফবিসিসিআইকে সত্যিকার অর্থে গবেষণাভিত্তিক সংগঠনে পরিণত করতে খাতভিত্তিক ১৮ জন প্যানেল এডভাইজর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো বিষয়ে নীতি প্রণয়ণে এসব বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের বিশ্লেষণ ও পরামর্শের মাধ্যমে সরকারের কাছে এফবিসিসিআই তার সুপারিশ আরও শক্তিশালীভাবে তুলে ধরবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনটির দরজা সব ব্যবসায়ীর জন্য খোলা। তাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানে পাশে থাকবে এফবিসিসিআই। ইতোমধ্যে ৭৮টি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হয়েছে। খাতভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও দ্রুত সমাধানে কাজ করবে এসব কমিটি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দীন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন ও এম. এ. রাজ্জাক খান রাজসহ পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad

৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'

'ডেডবডি’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি দেওয়ার। ‘ডেডবডি’ সিনেমার পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন সেভাবে। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১১টি সিনেমা। সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন এ নির্মাতা। মুক্তি দিলেন না ঈদে। কিন্তু শেষমেশ তা পিছিয়ে মুক্তি পায় গেল ৩ মে (শুক্রবার)।

তবে সিনেমাটি দর্শক টানতে পারেনি। দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ার সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ সিনেমা চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়েছে ‘ডেডবডি’।

শুক্রবার মুক্তি পেলেও দর্শক খরায় স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমাটির রবিবারের পর আর কোনো শো রাখা হয়নি। যদিও সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন পরিচালক ও প্রযোজক এমডি ইকবাল। মুক্তির আগে প্রচারণায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘ডেডবডি’ দর্শক না দেখে এবং খারাপ বলে তবে তিনি আর সিনেমা বানাবেন না!

'ডেডবডি’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

স্টার সিনেপ্লক্স থেকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সনি স্কয়ারে দুটি শো রেখেছিলাম। কিন্তু কোনোভাবেই দর্শক ছবিটিকে গ্রহণ করেনি। তাই আমরা তিন দিন পর সিনেমাটি নামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।

হরর-অ্যাকশন ধাঁচের 'ডেডবডি' ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, জিয়াউল রোশান, শ্যামল মাওলা ও ভারতীয় মডেল অন্বেষা রায় প্রমুখ।

গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা

ছবি: সংগৃহীত

গরমে আনারস খেয়েই আপনি পেতে পারেন কয়েক রকম পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন যদি ১ কাপ আনারস খান তাহলেই দূরে করা যাবে গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা। জেনে নেয়া যাক- আনারসের কিছু গুণাগুণ।

পুষ্টিগুণ: থিয়ামিন, রাইব্ফ্লোাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিনের মতো পলিফেনল থাকায় আনারস খুবই পুষ্টিকর।

ভিটামিন সি: সাধারণ ভাবে আমরা মনে করি ভিটামিন সি-র সবচেয়ে বড় উৎস কমলালেবু। কিন্তু সেই কাজ অনায়াসে করে ফেলতে পারে আনারস।

বয়সজনিত সমস্যা: প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার দরুণ আনারস বয়সজনিত সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

বদহজম: বদহজমের সমস্যা থাকলে রোজ আনারস খেলে রেহাই পেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা ব্রোমেলিন উৎেসচক প্রোটিন ভেঙে বদহজম রুখতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

অ্যাস্থমা: আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন অ্যাস্থমার সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

প্রজনন ক্ষমতা: যদি সন্তান ধারণের পরিকল্পনা থাকে তাহেল ডায়েটে রাখুন আনারস। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, জিঙ্ক, কপার, ফোলেট পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আনারসে থাকা ব্রোমেলিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে আনারস।

ত্বক: আনারসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি রক্তের ফ্রি র‌্যাডিক্যালস কমিয়ে ত্বকের ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে। তেমনই ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি বজায় রাখে।

প্রদাহ: অষ্টদশ শতকে আঘাত ও অস্ত্রপচারের ক্ষত সারাতে আনারস ব্যবহার করা হত। শরীরের প্রদাহ কমানোর গুণ থাকার কারণে আঘাত, মচকে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে আনারস।

ওজন: আনারসের মধ্যে থাকা ব্রোমেলিনে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা হজমে সাহায্য করে। ওজন কমাতে চাইলে আনরসের স্মুদি বা ফ্রুট স্যালাড, ব্রেকফাস্ট বা ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।

দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার

ছবি: সংগৃহীত

দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট প্রকাশ করেছে সরকার। এতে মোটরসাইকেলের গতি এক্সপ্রেসওয়েতে ৬০ কিলোমিটার ও মহাসড়কে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিসীমা বেধেঁ দেয়া হয়েছে। আর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় মোটরসাইকেল চলতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটারে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মোটরযাানের গতিসীমা নির্দেশিকা ২০১৪ -নামে বিভিন্ন যানবাহনের সর্বোচ্চ স্পিড লিমিট নতুন করে প্রকাশ করেছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা আগের ৮০ কিালোমিটার থেকে নামিয়ে ৬০ নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও মালবাহী গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটারে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আর বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার সর্বোচ্চ ৮০ কিালোমিটার গতিতে চলতে পারবে।

গত ৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো জহিরুল ইসলাম সাক্ষরিত এই ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০১৪’ প্রকাশ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

৩ দিনেই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল 'ডেডবডি'
গরমে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
দেশে যানবাহনের নতুন স্পিড লিমিট, মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার
১৪১ উপজেলায় বুধবার সাধারণ ছুটি
খাবারের প্যাকেটে সাংবাদিকদের টাকা দিল ন্যাশনাল ব্যাংক
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ১০ মে
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার বড় সমস্যা না : সিইসি
যেভাবে জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের ফল
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে একজন নিহত, যান চলাচল স্বাভাবিক
স্বাভাবিক রুটিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
হজ ভিসায় সৌদি আরবের নতুন নিয়ম
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভয়ংকর ত্রুটির খোঁজ, নিরাপত্তাঝুঁকিতে শতকোটি ব্যবহারকারী
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হামাস
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপনী
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আরও ৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি
আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন স্থগিত