সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ৫ চিকিৎসকসহ গ্রেফতার ৯

প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ৫ চিকিৎসকসহ গ্রেফতার ৯। ছবি: সংগৃহীত

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ চিকিৎসকসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুর, নীলফামারীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও চেকবই, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে মিরপুর থানায় চলতি বছরের জুলাই মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে মো. সাজ্জাদ হোসেন, ডা. ফয়সাল আহমেদ রাসেল, রায়হানুল ইসলাম সোহান, বকুল রায় শ্রাবণ, মো. আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু, ডা. মো. সোহানুর রহমান সোহান এবং ডা: তৌফিকুল হাসান রকি। এছাড়া ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ডা. ফয়সাল আলম বাদশা ও ডা. ইবরার আলম।

সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে চক্রের মূলহোতা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস কোচিংয়ের পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু এবং পাঁচ চিকিৎসকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছে থেকে চক্রের অন্যান্য সদস্য ও অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে। এর আগে এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সদস্যদের সন্ধান পায় সিআইডি।

আজাদ রহমান বলেন, এই চক্রটি ২০১০ সাল থেকে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটির মাস্টার মাইন্ড জসীমের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সাজ্জাদ ২০১৭ সালের মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের অন্য আরেকটি মামলারও এজাহারনামীয় আসামি। সাজ্জাদ উত্তরবঙ্গের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে অনৈতিক উপায়ে মেডিকেলে ভর্তি করিয়ে কোটি টাকার উপরে আয় করেছেন। পূর্বে গ্রেফতারকৃত একাধিক আসামি ১৬৪ এ সাজ্জাদের নাম বলেছে এবং জসীমের গোপন ডায়েরিতেও তার নাম ও ফোন নাম্বার পাওয়া গেছে।

গ্রেফতারকৃত আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু নীলফামারির সৈয়দপুর উপজেলার বিটস নামের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক। এছাড়াও তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক। ডা. জিল্লুর হাসান রনির মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের অনৈতিক উপায়ে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে সিআইডি।

 

গ্রেফতারকৃত ডা. সোহানুর রহমান সোহান বিট’স কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুর কাছ থেকে ২০১৩ সালে প্রশ্ন পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল ভর্তি হন। বর্তমানে বিসিএস স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পার্বতীপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন তিনি।

গ্রেফতারকৃত ডা. ফয়সাল আহমেদ রাসেল চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের মাধ্যমে ২০১০ সালে মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়ে জাতীয় মেধায় ১১তম স্থান লাভ করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এরপর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সার্ভেইলান্স মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ডা. ফয়সাল পরবর্তীতে প্রশ্নফাঁস ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন।

গ্রেফতারকৃত ডা. তৌফিকুল ইসলাম রকি পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামি ডা. জিল্লুর হাসান রনির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন। তারা দুজনই রংপুর মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন। সেই সুবাদে প্রশ্নফাঁসের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। রকি বিট’স কোচিংয়েও ক্লাস নিতেন। রকি, হাপ্পু এবং রনি মিলে অনৈতিক উপায়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। ডা. রনি তার জবানবন্দিতে ডা. রকির কথা বলেছেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা গ্রেফতারকৃত আসামি ডা. ইবরার আলমও ডা. জিল্লুর হাসান রনির সহযোগী ছিলেন। তার কথাও ডা. রনি জবানবন্দিতে বলেছেন। ইবরার ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ডা. রনির মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে তা সরবরাহ করেছিলেন। এদের অনেকেই বিভিন্ন মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামি রায়হানুল ইসলাম সোহান এবং বকুল রায় শ্রাবণ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। দুজনই একই স্কুলে পড়ার সুবাদে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রায়হানুল ২০১৫ সালে তার এক মামার মাধ্যমে মেডিক্যালের ফাঁসকৃত প্রশ্ন পায় এবং বকুলকে তা সরবরাহ করে। বকুল তার ৪ ভর্তিচ্ছু ছোট ভাইয়ের কাছে সেই প্রশ্ন বিক্রি করে। ৪ জনই দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ডা. সাইফুল আলম বাদশা ২০১০ সালে সাজ্জাদ হোসেনের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এরপর প্রশ্নফাঁস ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে তিনি একাধিক শিক্ষার্থীকে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে মেডিকেল ভর্তি করিয়েছেন।

এর আগে দেশে বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ বছরে ১০ বার মেডিকেল ভর্তির প্রশ্নফাঁস করেছে একটি চক্র। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তির কোচিং সেন্টারের আড়ালে প্রশ্নফাঁসের কারবার চালিয়ে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে চক্রটি প্রতি বছর গড়ে ১৫০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছে। অর্থাৎ দেশে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে বিগত ১৬ বছরে দেড় হাজার ডাক্তারেরও বেশি চিকিৎসক বের হয়েছেন। যারা বর্তমানে চিকিৎসা সেবার সাথে যুক্ত রয়েছেন। তবে, প্রশ্নফাঁস করে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন এমন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিআইডি। চক্রের সদস্যদের ধরতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা এবং গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে সিআইডি।

Header Ad

স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বজ্রপাতে কুলসুম বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুলসুম বেগম ওই এলাকার আফসার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন স্বামী আফসার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে স্ত্রী কুলসুম বেগম রান্নাবান্না শেষ করে স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে রওনা হয়। এসময় বজ্রপাতে হলে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন বলেন, দুপুরে কুলসুম বেগম তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। পরে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানতে পেরেছি। তার মরদেহ চাঁদপুর হাসপাতালে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের সব স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনে দুইটি সিম স্লট থাকে। অর্থাৎ এক ফোনে দুইট সিম ব্যবহার করা যায়। এখন থেকে এক ফোনে দুইটি সিম ব্যবহার করলে গুণতে হবে বাড়তি খরচ।

আপনি যদি ভারতীয় নাগরিক হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য দুঃসংবাদ। এক ফোনে দুইটি সিম ব্যবহার করলে গুণতে হবে বাড়তি খরচ। এজন্য দেশটির মোবাইল ফোন অপারেটর জিও, এয়ারটেল এবং ভিআই পরিষেবার খরচ বাড়াতে চলেছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে ভারতে মোবাইল বিল বাড়ানো হয়েছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু প্ল্যানের দাম বাড়লেও সার্বিকভাবে মোবাইল খরচ বৃদ্ধির কোপ পড়েনি। তবে শিগগিরই খরচ বাড়ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রিপেইড ও পোস্টপেইড প্ল্যানের দাম বাড়াতে জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া।

আপনি যদি দুইটি সিম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ প্রাইমারি অর্থাৎ মূল সিমের পাশাপাশি দ্বিতীয় সিম চালু রাখার জন্য টাকা খরচ করতে হবে। আর রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বর্তমানে, জিও, এয়ারটেল এবং ভিআইয়ের ন্যূনতম ১৫০ টাকা রিচার্জ প্ল্যান রয়েছে। এটা ফোন চালু রাখার জন্য।

আগামী দিনে এই খরচ ১৫০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ২০০ ‍রুপি পর্যন্ত করা হতে পারে। অর্থাৎ আপনার কাছে দুইটি সিম থাকে তাহলে ২৮ দিন চালু রাখার জন্য ৪০০ রুপি খরচ করতে হবে। যা স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়াবে সাধারণ মানুষের উপর। তাই যারা বেশি ডেটা, আনলিমিটেড কল এবং অন্যান্য সুবিধা চান তাঁদের আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে।

অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে পুঁজি করে টাকা সংগ্রহ করতেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু তিনি অসহায়দের সেবা না দিয়ে সেই টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাতেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিল্টনের আশ্রমে যে কয়েকজন অনাথ শিশু, বৃদ্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ আছে তাদের সহায়তা করতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বলেছি। তিনি হলেন আলহাজ্ব সামছুল হক ফাউন্ডেশনের কর্নধার। গতকাল তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি তার ফাউন্ডেশন যেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে যারা আছে তাদের খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যয়ভার আপাতত দেখভাল করে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ তদন্ত হবে এবং তার সাথে যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা মাদকসেবী মিল্টন সমাদ্দার তার আশ্রমে থাকাদের দিয়ে ভিডিও তৈরি করে টাকা কামাতেন। কিন্তু এই টাকাগুলো তিনি সেবার কাজে খরচ করতেন না।

হারুন বলেন, তার আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের লোমহর্ষক খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে৷ আপনারা জানেন মিল্টন তার আশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কবরস্থ করার আগে মৃত সনদ ডাক্তারের সিল এবং স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করতেন। তিনি ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করছেন। আমরা আশা করছি আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরও জানান, সারাদেশে তার অনেক কালেক্টর ছিল। তারা অসুস্থ শিশু বৃদ্ধ এবং প্যারালাইসড ব্যক্তিদের সংগ্রহ করে তার আশ্রমে নিয়ে আসতেন। মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনরা খোঁজখবর নিতো না। ফলে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি কেউ মারা গেলে বা অসুস্থ্য হলে থানাকে অবহিত করতেন না, হাসপাতালে নিয়ে যেতেন না সেবার জন্য।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই
সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু