শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ | ৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কি ঘটেছিলা ইতিহাসে আজকের দিনে

ফাইল ছবি

আজ ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, শনিবার। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

১৪৭৭ - উইলিয়াম ক্যাক্সটনের প্রথম মুদ্রিত বই প্রকাশ করে।
১৭২৭ - মহারাজা দ্বিতীয় জয় সিং রাজস্থানের জয়পুর শহর পত্তন করেন। এই শহরের নকশা করেন বাংলার বিদ্যাধর চক্রবর্তী।
১৮২০ - মার্কিন নৌ ক্যাপ্টেন নাথানিয়েন পালমান এন্টার্কটিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন।
১৮৩৯ - বিদেশী উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার জনগণের দ্বিতীয় দফা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৫৭ - বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ৩৪ দেশীয় পদাতিক বাহিনীর সিপাহি দল বিদ্রোহের মাধ্যমে ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়।
১৯০৩ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা প্রজাতন্ত্রের মধ্যে পানামা খাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯০৯ - আমেরিকা দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায় নিকারাগুয়ায়।
১৯১৮ - সোভিয়েত রাশিয়া থেকে বের হয়ে লাটভিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯২৬ - জর্জ বার্নার্ড শ’ নোবেল পুরস্কারের অর্থ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
১৯৪৮ - ভারতের পাটনার কাছে গঙ্গায় নৌকাডুবিতে ৫০০ যাত্রীর সলিল সমাধি।
১৯৫৬ - মরোক্কো স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৬১ - যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি দক্ষিণ ভিয়েতনামে ১৮ হাজার সেনা পরিদর্শক পাঠান।
১৯৬৩ - কর্নেল আবদুস সালাম আরেফ ইরাকের ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৯৬৬ - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৯ - তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ৫৪ জাতি ইউরোপীয় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জন্ম :

১৮৬১ - আমেরিকান সাংবাদিক ডরোথি ডিস্ক ।
১৮৮৭ - ফরাসী পদার্থবিজ্ঞানী ও চিত্রশিল্পী লুই দ্যাগাইর।
১৮৯৭ - প্যাট্রিক মেইনার্ড স্টুয়ার্ট ব্ল্যাকেট, ব্যারন ব্ল্যাকেট, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।
১৮৯৮ - প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
১৯০৬ - জর্জ ওয়াল্ড, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান নিউরোবায়োলজি ও একাডেমিক।
১৯১৭ - পেড্রো ইনফ্যান্টে, তিনি ছিলেন মেক্সিকান অভিনেতা ও গায়ক।
১৯৩৫ - রব্নি হল, তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেখক ও কবি।
১৯৩৬ - কবি জিয়া হায়দার ।
১৯৬৩ - পিটার স্মাইকেল, তিনি ডেনিশ ফুটবলার।
১৯৮৩ - মাইকেল ডসন, তিনি ইংরেজ ফুটবল।
১৯৯২ - নাথান ক্রেস্‌, তিনি আমেরিকান অভিনেতা।

মৃত্যু :

১০৫৩ - অতীশ দীপঙ্কর [অনুমিত]।
১৭৭৭ - জার্মান নাট্যকার হিনরিখ ফন কিশ ।
১৮৪৩ - সা সুসি রঙ্গমঞ্চে ‘হ্যান্ডসাম হাজব্যান্ড’ নাটকের অভিনয় চলাকালে তৎকালীন কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় মঞ্চাভিনেত্রী মিসেস লিচ অগ্নিদগ্ধ হয়ে ।
১৮৮৬ -চেস্টার এ. আর্থার, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২১তম রাষ্ট্রপতি।
১৯২২ -মার্সেল প্রুস্ত্‌, তিনি ছিলেন ফরাসি বুদ্ধিজীবী, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার ও সমালোচক।
১৯৪১ -ওয়ালথার নেরন্সট, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৫২ - ফরাসী কবি পল এল্যুয়ার ।
১৯৬২ -নিল্স বোর, তিনি ছিলেন ডেনিশ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮১ - শিল্পী আনোয়ারুল হক ।
১৯৯১ - চেকোসস্নাভ কমিউনিস্ট নেতা গুস্তাফ হুসাক ।
১৯৯৯ -পল বওলেস, তিনি ছিলেন আমেরিকান সুরকার ও লেখক।
২০১৩ -নিজাট উইগুর, তিনি ছিলেন তুর্কি অভিনেতা।
২০১৩ -পিটার ওয়িন্টনিক্‌, তিনি ছিলেন কানাডিয়ান পরিচালক ও প্রযোজক।

দিবস :

ওমানের জাতীয় দিবস।
মরক্কোর স্বাধীনতা দিবস। ১৯৫৬ সালে ফ্রান্স এবং স্পেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।

 

Header Ad
Header Ad

পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান

ছবি: সংগৃহীত

আজ (২১ মার্চ) পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান। বছরের এই দিনটিকে বলা হয় ‘ভারনাল ইকুইনক্স’। এ দিন সূর্য ঠিক বিষুবরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়, যার ফলে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ও রাতের ব্যাপ্তি সমান হয়ে থাকে।

পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারামুখী হয়ে সবসময় কক্ষপথের সঙ্গে ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। অপরদিকে, নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখার সমতল কক্ষপথের সঙ্গে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এর ফলেই প্রতি বছর ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়।

২০ মার্চ সূর্য তার দক্ষিণ গোলার্ধের অবস্থান শেষ করে উত্তর গোলার্ধের দিকে যাত্রা শুরু করে এবং রাতের শেষের দিকে বিষুবরেখার ওপর অবস্থান নেয়। তাই পরের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে দিন ও রাত সমান থাকে।

আগামীকাল থেকে সূর্য উত্তর গোলার্ধের দিকে সরে যেতে শুরু করবে এবং এ কারণে উত্তর গোলার্ধে গরমের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে এবং রাতের দৈর্ঘ্য কমতে থাকবে। এই পরিবর্তন চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত, যেদিন উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ দিন এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাত ঘটে।

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রায়পুরা উপজেলার মোহিনীপুর গ্রামের আমিন (২৩) ও বাশার (৩৫), যারা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম মিয়ার সমর্থক বলে জানা গেছে। নিহত আমিনের পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁনপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সালাম মিয়া এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করেছিলেন সালাম ও সোহাগ।

তবে গত ৫ আগস্টের পর সামসু মেম্বার ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরে এলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সামসু মেম্বারের সমর্থকরা তাদের বাধা দেয়।

পরে দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা-বল্লম, দা, ছুরি, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আমিন এবং টেঁটা ও ছুরিকাঘাতে বাশার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।

রায়পুরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহামুদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত ও একজন গুলিবিদ্ধসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত খসড়ায় এই নেতাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্রে (খসড়াসহ অন্যান্য বিষয়) স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ও এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য) হিসেবে নির্বাচিত এই নেতারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ গঠিত হলে তাদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। তবে নতুন খসড়া আইনে তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৯৪তম সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সংশ্লিষ্ট খসড়ায় স্বাক্ষর করেন। সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই চার শ্রেণির মধ্যে রয়েছে—

১. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রবাসে পেশাজীবী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার চালানো ও বিশ্বজনমত গঠনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা।
২. মুজিবনগর সরকারের অধীনে কর্মকর্তা, কর্মচারী, দূত ও অন্যান্য সহযোগী।
৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কলাকুশলী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সাংবাদিকরা।
৪. স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

এই খসড়া কার্যকর হলে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকার অন্তত ১০ হাজার ব্যক্তির পরিচয় বদলাতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। যারা এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছিলেন, তাদের নতুনভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম গণমাধ্যমকে বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবল তারাই থাকবেন, যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। রাজনীতিবিদরা সরাসরি যুদ্ধ করেননি, তাই তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে কোনো মর্যাদা কমানো হয়নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।'

তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, 'আইন বদলে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান পরিবর্তন করা যায় না। এটি অপ্রয়োজনীয় এবং অপচয়মূলক উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। যদি কেউ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'

মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ, কেবল সামরিক যুদ্ধ নয়। এ লড়াইয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢালাওভাবে এমএনএ, এমপিএ ও গণপরিষদ সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।'

খসড়া আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, 'যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই বীর মুক্তিযোদ্ধা।'

সংশোধনীতে রাজনীতিবিদদের নাম বাদ দেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় থাকা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও নার্সদের মুক্তিযোদ্ধার পরিবর্তে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ও নার্সদের স্বীকৃতি বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যা ইতিহাসকে বিকৃত করার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ একটি পরিকল্পিত সংগ্রাম ছিল, যেখানে রাজনীতিবিদরাই মূল নেতৃত্ব দিয়েছেন।'

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব বলেন, 'এটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক সিদ্ধান্ত। মুক্তিযুদ্ধ জাতির ইতিহাসের মীমাংসিত অধ্যায়। এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা অযৌক্তিক।'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব।'

মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন যাচাই-বাছাই:

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৪ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এখন শুধু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করার পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেকের স্বীকৃতি বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটি কার্যকর হলে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যেও অনেকের স্বীকৃতি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান আইনে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল, '১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য যে লড়াই হয়েছে, তা মুক্তিযুদ্ধ। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণায় সাড়া দিয়ে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা।'

কিন্তু নতুন খসড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, '১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা।'

এই পরিবর্তনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এরপর এটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এই নতুন খসড়া আইনের ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও মর্যাদা সংক্রান্ত ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এটি বাস্তবায়িত হলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
বাইতুল মোকাররমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে মিছিল
হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড, হাজার হাজার যাত্রী আটকা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ট্রাম্পের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: হোয়াইট হাউস
ওমরাহ থেকে ফিরে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে ২৪৯ অপরাধী গ্রেপ্তার
ভিজিএফের চালের বস্তায় শেখ হাসিনার নামে স্লোগান; স্থানীয়দের ক্ষোভ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকিরকে সাময়িক বরখাস্ত
ভিনিসিয়ুসের শেষ মুহূর্তের জাদুতে ব্রাজিলের রোমাঞ্চকর জয়
ইউনূস-মোদি বৈঠকের জন্য দিল্লির কাছে ঢাকার চিঠি
কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৫ জন নিহত, তিনদিনে প্রাণ গেল ৬০০ ফিলিস্তিনির
আত্মপ্রকাশ করলো সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের ‘জনতার দল’
১৯৪ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি
ভোরে মাঠে নামছে ব্রাজিল, যেমন হবে একাদশ
মার্চে রেমিট্যান্সে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ
ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
হামাসের রকেট হামলায় কাঁপল ইসরাইল, বিমান চলাচল ব্যাহত