শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইতিহাসে মাত্র একবারই এসেছিল ৩০ ফেব্রুয়ারি

ছবি সংগৃহিত

লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষে প্রতি চার বছর অন্তর ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি একটি দিন যোগ করা হয়। ফলে ওই বছরটি গণনা করা হয় ৩৬৬ দিনে। এভাবে বছর গণনার সমন্বয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবারও চলছে লিপ ইয়ার। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।

প্রতি চার বছর পর পর ৩৬৫ দিনের জায়গায় ৩৬৬ দিন গণনা করে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহু বছর ধরেই ৩৬৫-দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হয়। চলতি বছর হল ৩৬৬ দিনে অর্থাৎ লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।

২৯শে ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন। এই বাড়তি এক দিন যোগ হওয়া মানে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে যেমন বাড়তি একদিন সময় পাওয়া যায়, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে বেতন আসার জন্য আরেকটা দিন বেশি অপেক্ষা করতে হয়। আবার যারা এই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি চার বছরে পর পর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন।

তবে আপনি জানেন কি, ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল? ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল সুইডেন। মজার বিষয় হলো, সেই তারিখে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

লিপ ইয়ার কেন আসে?

কখন থেকে এই লিপ ইয়ারের প্রচলন হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে প্রাচীন রোমের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। কারণ সেই সময় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তারা যে সৌর ক্যালেন্ডার ধরে বছর গণনা করছেন সেটি সৌর বছরের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

এই ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে। তিনি সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। যেই ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কারো কারো মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কাঁটায় কাঁটায় ৩৬৫ দিন সময় নেয় না। ৩৬৫ দিনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে। এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়।

সৌর বছরের সঙ্গে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।

একটি বাড়তি দিন

কিন্তু এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু ফাঁক থাকার কারণে ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে। যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল।

লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারি। বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ।

কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে "নিখুঁত" করার সিদ্ধান্ত নেন। তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ২৪ তারিখ নয়।

একটি গাণিতিক সমাধান

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্ল্যাভিয়াসের পরামর্শে, তখনকার জ্ঞানী ব্যক্তিরা বছরের হিসেবে এই সমন্বয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৫৮২ সালে ৪ঠা অক্টোবরের পরের দিন হবে ১৫ই অক্টোবর। অর্থাৎ মাঝে ১০ দিন গায়েব হয়ে যাবে।

মূলত এই উপায়ে সৌর বছরের মাঝে সময়ের যে ব্যবধান হয়েছিল সেটা দূর করা হয়। এবং পরিবর্তিতে যেন এই ভারসাম্যহীনতা আবার না ঘটে, সেজন্য লিপ ইয়ারের প্রবর্তন করা হয়।

সময়ের হেরফের

সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষেরই আবিষ্কার। চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গিয়েছে দুটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।

ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না। মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল। ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেয়া হতো।

সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে।

তবে সে সময় বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেয়া হয়। এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন এবং ছয় ঘণ্টায় হয়। তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ

এই গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট: সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম। আদতে এটি কোন বড় পার্থক্য না, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।

এই কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়েছিল, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগপিছ হয়ে যায়।

১৫৮২ সালে ৫ই অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ই অক্টোবর শুক্রবার করা হয়। অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি এবং সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল। তারা ২রা সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ই সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।

সুইডিশ পার্সিমনি এবং ৩০শে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন

কিন্তু তার আগে, সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসাথে বাদ দিতে চায়নি। তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করে। এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।

তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়। একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।

এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন। কিন্তু, যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯শে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।

এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র বারের জন্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই ৩০শে ফেব্রুয়ারি যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্ম তারিখ বা জন্ম দিন পালনের বিষয়ে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে তারা যে কখনও সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি তাতে কোন সন্দেহ নেই।

শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে। দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সাথে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট

সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট করা হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গা দখল করে মাটি ভরাট করছেন বিরামপুর পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ইটভাটা মালিক মনিরুজ্জামান মোনা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট এর দোসররা এখনো দাপট দেখিয়ে সরকারি জায়গা দখল করছে,বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘোড়াঘাট রেলঘুমটি এলাকায় শারমিন ফিলিং স্টেশনের দক্ষিণে আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্রিজের মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বেশ কিছু সরকারি জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে মেসি ট্রাক্টরে করে অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে নীচু জায়গা ভরাট করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সরকারি জায়গাতে মাটি ভরাটকারী মনিরুজ্জামান মোনা মুঠোফোনে জানান, মহাসড়ক সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গার পেছনে তার ফসলি জমি রয়েছে, সেজন্য সে সামনের জায়গা ভরাট করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গাতে মাটি ভরাটের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন অনুমতিপত্র আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

বেআইনিভাবে সরকারি জায়গায় মাটি ভরাটের খবর পেয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাট বন্ধ করে দেন এবং ভরাটের উদ্দেশ্যে রাখা মাটি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলের আশেপাশে মনিরুজ্জামান মোনার কোন জমি আছে কিনা জানতে চাইলে সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাটি ভরাটকারী মনিরুজ্জামান মোনা এ বিষয়ে তাকে কিছু জানাননি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিয়া নওরীনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হলে, তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

Header Ad
Header Ad

আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় তাকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস উইং জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমেদ বেলহুল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে দুবাই বিমানবন্দরে বিদায় জানান। প্রধান উপদেষ্টা এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দেশ ফিরেছেন।

সফরকালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য ও ব্যবসার প্রসার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

আমিরাতের বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমিরাতি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মতি প্রদান করেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের স্বল্প খরচের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশটিকে একটি হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে।বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি বলেন, তিনি অদূর ভবিষ্যতে একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসতে আগ্রহী।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট শেষে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমদ বেলহুল আল ফলাসি।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

Header Ad
Header Ad

এত হত্যাকাণ্ডের পরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (ইনসটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

এত হত্যাকাণ্ড চালানোর পরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই লড়াই করেছে দেশের মানুষ। জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে শেখ হাসিনাকে পালাতে হতো না। রাষ্ট্র নিয়ে খেলা করেছে হাসিনা।

ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ব্যক্তি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তিনিও (ড. ইউনূস) শেখ হাসিনা দ্বারা নির্যাতিত। তিনি ন্যায়সঙ্গত কাজ করবেন, তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি বিকাশিত হবে। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, রাজনীতিবিদ আছে; গণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসবে— এই ব্যবস্থাটাই আগে করুক। যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের মাধ্যমেই দেশ চলবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে এবং আরও অন্যান্য সংস্কার হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করছে— স্থানীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপরে সংসদ নির্বাচন হবে; কেন? রাজনীতি কে করবে, কে ক্ষমতায় আসবে— এটা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণের সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তো গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে।

‘রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস না করার অর্থই বিরাজনীতিকরণ’, উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই বিরাজনীতিকরণ করতে করতে গণতন্ত্রের আজ ভঙ্গুর অবস্থা। এটার মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছে। রাজনৈতিক শক্তিকে যদি খাটো করেন তাহলে চরমপন্থার উত্থান হতে পারে। চরমপন্থা শুধু বাম দিক দিয়ে আসে না, ডান দিক দিয়েও আসে। এটা মাথায় রাখতে হবে।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে মাটি ভরাট
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
এত হত্যাকাণ্ডের পরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই: রিজভী
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানি ঘোষণা, জেনে নিন কে কত পাবে
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের পোস্টারিং, তুলে ফেলেছে প্রশাসন
অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রে
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু শনিবার : আদিলুর রহমান
আমিরাত সফর শেষ করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
নতুন বাংলাদেশ গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বিদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করবে অনলাইন অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন, যা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে: টুকু
আজ শবে বরাত, গুনাহ মাফ ও ভাগ্য নির্ধারণের রজনী
ফ্যাসিবাদের অধীনে জনগণের পুলিশ হতে পারেনি: জিএমপি কমিশনার
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা
সাবেক এমপিসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ