বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইতিহাসে মাত্র একবারই এসেছিল ৩০ ফেব্রুয়ারি

ছবি সংগৃহিত

লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষে প্রতি চার বছর অন্তর ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি একটি দিন যোগ করা হয়। ফলে ওই বছরটি গণনা করা হয় ৩৬৬ দিনে। এভাবে বছর গণনার সমন্বয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবারও চলছে লিপ ইয়ার। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।

প্রতি চার বছর পর পর ৩৬৫ দিনের জায়গায় ৩৬৬ দিন গণনা করে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহু বছর ধরেই ৩৬৫-দিনের ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির শেষে বাড়তি একটি দিন যোগ হয়। চলতি বছর হল ৩৬৬ দিনে অর্থাৎ লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।

২৯শে ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন। এই বাড়তি এক দিন যোগ হওয়া মানে মাসের শেষে বিল পরিশোধ করতে যেমন বাড়তি একদিন সময় পাওয়া যায়, তেমনি অনেকের ক্ষেত্রে বেতন আসার জন্য আরেকটা দিন বেশি অপেক্ষা করতে হয়। আবার যারা এই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা প্রতি চার বছরে পর পর তাদের প্রকৃত জন্মদিন পালন করতে পারেন।

তবে আপনি জানেন কি, ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন সময় এসেছিল যখন ক্যালেন্ডারে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যোগ করতে হয়েছিল? ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি যুক্ত করেছিল সুইডেন। মজার বিষয় হলো, সেই তারিখে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারা তাদের জীবদ্দশায় কখনই সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

প্রতি চার বছর পর পর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে সেটিকে সমন্বয় করতে লিপ ইয়ারের আবির্ভাব হয়। ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি কেন যুক্ত করতে হয়েছিল সেই ব্যাখ্যার আগে লিপ ইয়ার কেন আসে, কবে থেকে লিপ ইয়ার যুক্ত হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন।

লিপ ইয়ার কেন আসে?

কখন থেকে এই লিপ ইয়ারের প্রচলন হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য দুই সহস্রাব্দেরও বেশি আগে প্রাচীন রোমের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। কারণ সেই সময় প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল, তারা যে সৌর ক্যালেন্ডার ধরে বছর গণনা করছেন সেটি সৌর বছরের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

এই ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে। তিনি সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। যেই ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কারো কারো মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কাঁটায় কাঁটায় ৩৬৫ দিন সময় নেয় না। ৩৬৫ দিনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে। এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়।

সৌর বছরের সঙ্গে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।

একটি বাড়তি দিন

কিন্তু এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু ফাঁক থাকার কারণে ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে। যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল।

লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারি। বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ।

কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে "নিখুঁত" করার সিদ্ধান্ত নেন। তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার দ্বারা নির্ধারিত ২৪ তারিখ নয়।

একটি গাণিতিক সমাধান

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্ল্যাভিয়াসের পরামর্শে, তখনকার জ্ঞানী ব্যক্তিরা বছরের হিসেবে এই সমন্বয় আনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৫৮২ সালে ৪ঠা অক্টোবরের পরের দিন হবে ১৫ই অক্টোবর। অর্থাৎ মাঝে ১০ দিন গায়েব হয়ে যাবে।

মূলত এই উপায়ে সৌর বছরের মাঝে সময়ের যে ব্যবধান হয়েছিল সেটা দূর করা হয়। এবং পরিবর্তিতে যেন এই ভারসাম্যহীনতা আবার না ঘটে, সেজন্য লিপ ইয়ারের প্রবর্তন করা হয়।

সময়ের হেরফের

সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষেরই আবিষ্কার। চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গিয়েছে দুটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।

ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না। মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল। ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেয়া হতো।

সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে।

তবে সে সময় বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেয়া হয়। এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন এবং ছয় ঘণ্টায় হয়। তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ

এই গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট: সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম। আদতে এটি কোন বড় পার্থক্য না, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।

এই কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়েছিল, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগপিছ হয়ে যায়।

১৫৮২ সালে ৫ই অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ই অক্টোবর শুক্রবার করা হয়। অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি এবং সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল। তারা ২রা সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ই সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।

সুইডিশ পার্সিমনি এবং ৩০শে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন

কিন্তু তার আগে, সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসাথে বাদ দিতে চায়নি। তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করে। এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।

তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়। একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।

এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন। কিন্তু, যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯শে ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।

এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র বারের জন্য ৩০শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই ৩০শে ফেব্রুয়ারি যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্ম তারিখ বা জন্ম দিন পালনের বিষয়ে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে তারা যে কখনও সত্যিকারের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি তাতে কোন সন্দেহ নেই।

শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে। দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সাথে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Header Ad

দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগের আহ্বান ড. ইউনূসের, জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনার ওপর জোর

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ সহযোগিতা বাড়াতে নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের জন্য একটি আঞ্চলিক বিদ্যুৎ গ্রিড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ও ভুটানের মধ্যে এমন একটি গ্রিড স্থাপন করা হলে হিমালয়ের দেশগুলোর বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কার্যকর করা সম্ভব হবে। নেপালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য কম কার্বন নির্গমনশীল শক্তির উৎস হতে পারে।

ড. ইউনূসের মতে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল মাত্র ৪০ মাইল দূরে হওয়ায় দেশটি থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি সহজ এবং পরিবেশবান্ধব হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা দেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

উল্লেখ্য, দেশের যুব উন্নয়ন ও শিক্ষার সংস্কারেও অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক টি-টোয়েন্টি বিপিএল টুর্নামেন্টের সাথে তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করা হবে। এতে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। নারী ফুটবলের জন্যও একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ড. ইউনূস আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে চলমান সংস্কার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Header Ad

পুরুষ না নারী, কে বেশি ঘুমায়?

ছবি: সংগৃহীত

ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরিক বৃত্তীয় ক্রিয়া। সুস্থতার জন্য মানুষের প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায় ভালো মানের ঘুম। কিন্তু জানেন কি পুরুষ না নারী- কে বেশি ঘুমায়? গবেষণায় মিলেছে অবাক করা সেই তথ্য।

নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমান, এমনই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। যদিও এই তথ্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করেন না সকলে। অনেকের মতে, এটি সম্পূর্ণই গুজব। কিন্তু সত্যি কি পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়? গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারীদের প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ভালো ঘুম হওয়া জরুরি। আসলে বিভিন্ন বয়সে নারীদের শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। তাই সেই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্যই প্রয়োজন ঘুম।

একইসঙ্গে পুরুষদের তুলনায় নারীদের দৈনন্দিন জীবনে বেশি চাপ এবং উদ্বেগ থাকে। সবকিছুর সঙ্গে মোকাবেলা করে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। তাই পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন বলেই গবেষণায় বলা হয়েছে। শুধু ঘুমই নয়, ভালো মানের ঘুমও জরুরি।

প্রাথমিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জৈবিক গঠন অনুসারে পুরুষ এবং নারীদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তার সামান্য পরিবর্তন থাকতে পারে। এছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘুম অনেক বেশি সজাগ। তুলনায় ছেলেদের মধ্যে গভীর ঘুমের প্রবণতা আছে। মেয়েদের ঘুম খুব পাতলা হয়। ফলে সময় পেলেও বিভিন্ন কারণে ভেঙে যায়। অনেক মহিলারা যেহেতু ঘর এবং বাইরে দু'দিকে সামলাতে হয়, ফলে মানসিক চাপ সবসময়ে কাজ করে। নিশ্চিন্তে ঘুমানোর সুযোগ কম থাকে।

উল্লেখ্য, প্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণত প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদিও বয়সের সাথে মানুষের ঘুমের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে। তা সত্ত্বেও বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রতি রাতে প্রায় অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত।

Header Ad

ভারতের কাছে পাকিস্তানে না যাওয়ার লিখিত ব্যাখ্যা চায় পিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করবে পাকিস্তান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দু’দিন আগেই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয় শাহরা। প্রতিযোগিতার আয়োজন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। এতে খুশি নন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। তারা বিসিসিআইয়ের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। স্টেডিয়াম সংস্কার করেছে তারা। ক’দিন আগে ১০০ দিনের গণনা শুরু করেছে। এমন সময় ৮ দলের টুর্নামেন্টটি অনিশ্চিতার মধ্যে পড়ে গেছে। সম্ভাব্য হাইব্রিড পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। তবে পাকিস্তান এখনো দেশে সম্পূর্ণ টুর্নমেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিষয়টি নিয়ে পিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হাইব্রিড মডেলের কোন চিন্তাই করা হচ্ছে না।’ এর আগে ২০২৩ সালে পিসিবির আয়োজনে হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হয়েছে। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচগুলো অন্যত্র হয়েছিল এবং বাকি ম্যাচ হয়েছিল পাকিস্তানে। তবে ওই বছরই বিশ্বকাপ খেলতে ভারত সফর করেছে পাকিস্তান দল। শর্ত ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট দলও পাকিস্তানে যাবে। কিন্তু কথার খেলাপ হওয়ায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে পিসিবি ও পাকিস্তান সরকার।

বিসিসিআইয়ের বক্তব্য জানার পর আইসিসি কর্তারা ভারতের ম্যাচগুলোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। অবশ্য, এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা হয়নি। তারা আপাতত যুযুধান দু’দেশের বোর্ড কর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ এক দশকের বেশি সময়। ২০০৭-০৮ মরসুমে শেষবার ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দেশ। ২০১২ সালে শেষবার ভারতের মাটিতে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। তার পর থেকে বহুদলীয় প্রতিযোগিতা ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ হয় না। গত বছর এশিয়া কাপের জন্য বিসিসিআই রোহিতদের পাকিস্তানে না পাঠালেও এক দিনের বিশ্বকাপের সময় বাবর আজমদের ভারতে পাঠিয়েছিল পিসিবি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগের আহ্বান ড. ইউনূসের, জলবিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনার ওপর জোর
পুরুষ না নারী, কে বেশি ঘুমায়?
ভারতের কাছে পাকিস্তানে না যাওয়ার লিখিত ব্যাখ্যা চায় পিসিবি
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রোজি কবির মারা গেছেন
তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে ৩ বাংলাদেশী নারী আটক
খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্বে তারেক রহমান, ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন
‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে ফেসবুক- কেন এত সমর্থন?
মিষ্টি পান চাষে জহুরুলের বাজিমাত, অল্পদিনেই সংসারে ফিরেছে দারুণ স্বচ্ছলতা
ঝুহাইয়ে প্রাইভেটকারের চাপায় ৩৫ জনের মৃত্যু, আহত ৪৩
বশির উদ্দিন ও ফারুকীকে সরাতে আইনি নোটিশ
ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে : আইন উপদেষ্টা
বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের
টাকার জন্য মাকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখেছিল ছেলে
মাদক ও বাল্য বিবাহকে না বলে শপথ নিলো ৬শ শিক্ষার্থী
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব আল হাসান
‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল
সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী বেনু গ্রেপ্তার