জাতীয়

আগামী ৬ মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব নৌবাহিনীর হাতে


ঢাকাপ্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ :০২ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম

আগামী ৬ মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব নৌবাহিনীর হাতে
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি জানান, “গতকাল সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে—বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন প্রয়োজনে নিয়ম অনুযায়ী অপারেটর নিয়োগ করতে পারবে এবং চুক্তিও করতে পারবে। সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজের পর, তাদের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল, যা শেষ হচ্ছে আগামী ৭ জুলাই। এর পরে আর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না।”

নৌ-উপদেষ্টা বলেন, “বন্দর নিজে পরিচালনার সক্ষমতা রাখলেও অভ্যন্তরীণ জনবলের সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এসব বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ছয় মাসের জন্য বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নৌবাহিনীর নিজস্ব ডকইয়ার্ড রয়েছে বন্দরের এলাকাতেই। তারা সেটি সম্প্রসারণ করছে এবং বন্দর পরিচালনায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাদের নিজস্ব অপারেটরও রয়েছে। একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নৌবাহিনীর চুক্তি হবে।”

সাখাওয়াত হোসেন আশ্বাস দিয়ে বলেন, “নতুন কোনো অপারেটর আসলেও বন্দরের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবে না। সবাই আগের পদে থেকেই কাজ করবেন। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। বরং আমরা আশা করি, সবাই দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করবেন।”

দীর্ঘমেয়াদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুবাইভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”

এদিকে সাইফ পাওয়ারটেকের দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে নৌবাহিনী যেন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পায়, সে বিষয়েও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়া গেছে বলে জানান উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কার্যকর ব্যবস্থাপনায় এই পরিবর্তন সাময়িক হলেও তা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখার বিষয়—নৌবাহিনীর অভিজ্ঞতা কীভাবে এই সিস্টেমে কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে।