রাজনীতি

৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী ছাত্রদলের নেতৃত্বে দখলমুক্ত করেছি : রাকিব


ঢাকাপ্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশ :০২ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী ছাত্রদলের নেতৃত্বে দখলমুক্ত করেছি : রাকিব
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, “৪ আগস্ট আমি যাত্রাবাড়ীর দায়িত্বে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে ছাত্রদলের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী আওয়ামী সন্ত্রাসীমুক্ত করেছি।”

বুধবার (২ জুলাই) এক আলোচনায় তিনি বলেন, ওইদিন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ভাগ করে নিয়েছিল। রামপুরা, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও উত্তরায় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।

রাকিব জানান, ৩ আগস্ট তিনি শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন। হাজার হাজার ছাত্রদল নেতাকর্মী একত্রিত হয়েছিলেন। কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করেন এবং আত্মীয়স্বজনের বাসায় অবস্থান নেন।

তিনি বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেদিন বলেছেন—এটাই শেষ সুযোগ। তোমরা সাড়ে ১৫ বছর সংগ্রাম করেছো, এবার সফল না হলে সব শেষ। রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, শাহবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও উত্তরা—এই জোনগুলোতে সফল হতেই হবে।”

তিনি জানান, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও শ্রমিক দলও আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। সবাই মিলে এলাকা ভাগ করে নেয়। রাকিব বলেন, “আমরা আমাদের ইউনিটগুলোকে বলি—তোমরা যেখানেই থাকো, সেখান থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হবে। কারণ ছাত্রলীগ খালি হাতে আসবে না। তাদের মরণ কামড় আমরা সেদিন বুঝেছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “সেদিন আমরা সকাল থেকে দনিয়া কলেজ ও বর্ণমালা স্কুলের সামনে একত্রিত হই। দুপুর ১২টার সময় সিদ্ধান্ত নিই যাত্রাবাড়ী মোড় দখল করতে হবে। কারণ ছাত্রলীগ সেখানে অবস্থান করছিল এবং স্থানীয় এমপি সজলের অনুসারীরা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছিল।”

ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, “দুপুরের দিকে আমরা মিছিল শুরু করি। যখন পূবালী মাছ ভাণ্ডারের কাছে যাই, তখন ছাত্রলীগ আমাদের উপর গুলি চালায়। কিন্তু আমাদের স্পিরিট এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, কেউ পিছিয়ে যায়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা যাত্রাবাড়ী মোড় দখলমুক্ত করি। ওরা দৌড়ে পালায়—কেউ থানায়, কেউ ধোলাইপাড়ে আশ্রয় নেয়।”

তিনি বলেন, “এরপর আমরা ধোলাইপাড়ে যাই এবং সেখানেও ছাত্রদলের নেতৃত্বে এলাকা দখলমুক্ত হয়। পরে আমরা মিছিল নিয়ে জুরাইন যাই। সেখানকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আগেই যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে লড়ছিল। জুরাইন ছিল আমাদের দখলে।”

রাকিবের ভাষায়, “এটা ছিল ছাত্রদলের সর্বাত্মক প্রস্তুতির ফসল। ঐদিন শুধু একটি এলাকা নয়, ঢাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছাত্রদল এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলোর দৃপ্ত পদচারণা ছিল।”