শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কোরআন অবমাননা করায় পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

কোরআন অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত জেলার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা মাদিয়ানে এক স্থানীয় পর্যটককে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। হত্যার পর তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঘটেছে এই ঘটনা। নিহত সেই পর্যটকের নাম মুহম্মদ ইসমাঈল (৩৬)। তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কয়েকজন মাদিয়ান পুলিশ স্টেশনে এসে অভিযোগ করেন— ইসমাঈল হোটেলে অবস্থানকালে কোরআন শরিফ পুড়িয়েছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ইসমাঈলকে হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসে হেফাজতে রাখে।

কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শতাধিক মানুষ জড়ো হন ওই পুলিশ স্টেশনে। তারা ওই স্টেশন ঘেরাও করে ইসমাঈলকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন। পুলিশ তাতে অস্বীকৃতি জানালে বিক্ষুব্ধ ওই জনতা থানায় আক্রমন করেন এবং হেফাজত থেকে ইসমাঈলকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে এনে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাঈলের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।

সোয়াত পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাহিদ উল্লাহ খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশ স্টেশন এবং পুলিশের গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।

তবে ভয়াবহ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রাদেশি পুলিশ প্রধানকে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অবিভক্ত ভারতে হিন্দু-মুসলিম সংঘাত বন্ধ করতে ১৮৬০ সালে ধর্ম অবমাননা (ব্লাসফেমি) আইন জারি করেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত আইনটি বাতিল করলেও পাকিস্তান করেনি। বরং ১৯৭৭ সালে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক জিয়া উল হক দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আইনটিকে আরও শক্তিশালী করেন।

১৯৮৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ব্লাসফেমি আইনে পাকিস্তানজুড়ে অভিযুক্ত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। ২০২২ সালে পাঞ্জাবের খানেওয়াল শহরে এক ব্যক্তিকে এই অভিযোগে পাথর ছুড়ে হত্যা করেছিল উত্তেজিত জনতা। সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন শুক্রবার (২১ মার্চ) জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও এখনো তাদের বিচারিক কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে এ দলের সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে যেন রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দেয়া হয়, সেই জন্য অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, “শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানই নয়; শাপলা চত্বরে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ভোট ডাকাতি, গুম, খুনসহ সব অপরাধের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত হয়নি; ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা পরাজিত হয়েছে। পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই।”

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।”

তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় গাজা অভিযানের কারণে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হামাসের হাতে থাকা সমস্ত বন্দিকে উদ্ধার না করে গাজায় নতুন করে আক্রমণ চালিয়ে ভুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গাজায় হামাসের হাতে এখনো প্রায় ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত। নেতানিয়াহুর অভিযান চলতে থাকলে বেঁচে থাকা বন্দিদেরও হত্যার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জনগণ।

বিক্ষোভের সময় মোহাম্মদ রনেন বারকে নিরাপত্তা প্রধানের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। এ সিদ্ধান্তকে সুপ্রিমকোর্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে এবং রনেন বারের আপিলের শুনানি শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

রনেন বার অভিযোগ করেছেন, “নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে নয়।” তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, “উচ্চপদস্থ অফিসারকে সরানোর এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ ভুল।”

এদিকে, বিক্ষোভের দায় বামপন্থিদের উপর চাপিয়ে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে, 'ডিপস্টেট' চক্রান্তের মাধ্যমে এ আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে।

তবে বিক্ষোভকারীরা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং বন্দিদের উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করবেন। নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে, যা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ আরো বেড়েছে।

সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের অধিকাংশ মানুষ চান সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি মেনে আলোচনা চালিয়ে বন্দি প্রত্যার্পণ সম্পন্ন হোক। নেতানিয়াহুর নতুন করে আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্তে তাদের সমর্থন নেই।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরাও জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, শেখ হাসিনার ব্ল্যাকমেইলের কারণে তিনি মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। বর্তমানে নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ঘিরে দুর্নীতির মিথ্যা তথ্য তৈরি করছে। একইভাবে ২০১৪ সালেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্ত করা হয়েছিল। তিনি দুইটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কেউ কোনো দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেনি।

পুলিশ বিভাগের অবনতি নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পুলিশ নষ্ট হয়ে গেছে এবং এখন সেনাবাহিনীকে নষ্ট করার চেষ্টাও চলছে। যদি সেনাবাহিনীও নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?”

এ সময় তিনি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন।

জি এম কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করেছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে জোরপূর্বক নির্বাচন করতে চাচ্ছে। যদি এমনটি ঘটে, তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না এবং দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে জাতীয় পার্টি নয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ২১ দোকান, ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি
ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
বাইতুল মোকাররমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে মিছিল
হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড, হাজার হাজার যাত্রী আটকা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ট্রাম্পের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: হোয়াইট হাউস
ওমরাহ থেকে ফিরে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে ২৪৯ অপরাধী গ্রেপ্তার