বুধবার, ১ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বের বৃহৎ বিমানন্দর হচ্ছে জেদ্দায়

রাজধানীর বর্তমান রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানন্দরটি চলে যাবে মক্কা প্রদেশের জেদ্দা শহরে। এখানে সৌদি আরবের বিমান পরিবহনের উচ্চতম পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এর নাম ‘দ্য কিং সালমান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’। সোমবর (২৮ নভেম্বর) রিয়াদে বিশ্ব পর্যটন ও ভ্রমণের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে ঘোষণাটি প্রদান করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ।

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব কেবল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবন্দরই তৈরি করতে যাচ্ছে না, রাজ্যটির ব্যবসা ও পর্যটনের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হবার বাসনায় বিরাট উন্নতিসাধনও তাতে করা হবে।’ তিনি মহা-পরিকল্পনার ত্রিমাত্রিক নকশা অনুমোদন ও প্রকাশ করেছেন।

রিয়াদের পুরোনো বিমানবন্দরকে নতুন যে বিমানবন্দর করবেন তিনি, থাকবে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক শহর রিয়াদে। বর্তমান রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের কিং খালেদের নামে প্রতিষ্ঠিত টার্মিনালগুলো এমনভাবে বাড়ানো হবে-যাতে ২০৫০ সালের মধ্যে ৩.৫ মিলিয়ন কার্গো মালামাল পরিবহনের সক্ষমতা হবে। কেননা একই সঙ্গে ছয়টি রানওয়ে কার্যরত থাকবে।

কিং সালমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই অ-তেলখাতে দেশীয় আয় হিসেবে বছরে ২৭ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করতে পারবে দেশটি।

সৌদি আরবের এই বিমানবন্দরটি ২৯ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৯০ লাখ বিমানযাত্রী পরিবহণ করবে শুরুতে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১শ ২০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ২০৫০ সালের মধ্যে ১শ ৮৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনেরও স্বক্ষমতা সম্পন্ন করে তৈরি করা হচ্ছে।

ফলে দেশের ২ লাখ ১১ হাজার বিমান ট্রাফিকিং থেকে নির্মাণের পর থেকে এখানেই প্রতি বছরে ১ মিলিয়ন ফ্লাইট ওঠা, নামা করানো সম্ভব হবে।

মূল স্থাপনাগুলোর ক্ষেত্রে নতুনভাবে তৈরি বিমানবন্দরটি অর্জন করবে ‘এলইডিডি প্রিমিয়াম সাটিফিকেট’। ‘লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল ডিজাইন (এলইডিডি)’ হলো বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত সবুজবান্ধব ভবন নির্মাণের একটি সেরা প্রত্যয়নপত্র। কানায়, কানায় ছড়িয়ে থাকবে সবুজ।

আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি-জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

এই উন্নয়নকর্ম সম্পাদন করা হবে সৌদি সরকারের ‘দ্য পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’-এ। তারা নিজেরাই এখানে বিনিয়োগ করবেন। বিমানবন্দরটি হয়ে যাবে ‘এয়ারোট্রপলিস’, যেটি ঘিরে শহর বা শহরাঞ্চলগুলো গড়ে ওঠে। বিরামহীনভাবে সর্বক্ষণ তার ক্রেতা ভ্রমণকারীদের সেবা প্রদান করে যাবে।

বিশ্বমানের সুদক্ষ অপারেশন সার্ভিসগুলো পরিচালিত হবে। নানা ধরনের উদ্ভাবন থাকবে। রাজধানী রিয়াদের আত্মপরিচয় বহন করবে। রাজধানী শহর ও সৌদিদের সংস্কৃতিকে যুক্ত করা হবে বিমানবন্দরের নকশাতে। যারা নানা জায়গায় যাওয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং যারা দর্শনাথী হবেন তাদের দেশে, যারা কাজ করবেন এখানে; তাদের সবার জন্যই একটি অনন্য বিমানভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে বিমানবন্দরটি।

বিমানবন্দর প্রকল্পটি হবে সৌদি আরবের ‘রাজধানী রিয়াদকে বিশ্বের সেরা ১০টি অথনৈতিক শহরের প্রধান’ হিসেবে রূপান্তরের জীবনপ্রবাহ।এ ছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর জনসংখ্যা দেড় থেকে ২ কোটিতে উন্নীত হওয়ার পরও তার উন্নয়নকে প্রবলভাবে সমর্থন জানাবে।

দ্য কিং সালমান এয়ারপোর্টে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ চাকরির ব্যবস্থা থাকবে।
এই মহা-পরিকল্পনাটির বিস্তারিত এসপিএ জানাতে পারেনি। তবে পরিকল্পনাগুলোর সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্বভৌম আর্থিক বিনিয়োগ তহবিলটির মাধ্যমে তাদের বিমান চালনা বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগ বিরাট অনুদানগুলো লাভ করতে যাচ্ছে।

এ ছাড়া, এই বিমানন্দরের বাস্তুসংস্থান প্রকৃতিবান্ধব হবে। সেখানে অত্যন্ত উন্নত ও সেরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে কার্গো বিমান ও যাত্রী পরিবহনের বিমানগুলো চলাচল করতে পারবে। বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিমানগুলোকে মেরামত করতে পারবেন। ৭৭ বছরের সৌদি আরবের সরকারী সাউদিয়া এয়ারলাইনসকে নিয়ে যাওয়া হবে রেড সি বা লাল সাগর তীরবর্তী ও মক্কা প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর জেদ্দাতে।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই কর্মকৌশল দুটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশটি কথা বলছে ইউরোপের বহুজাতিক বিমান নির্মাতা সংস্থা এয়ারবাস এসই’র সঙ্গে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নকশা, প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কো’র সঙ্গে দুটি ক্যারিয়ার কিনতে।
গতকাল থেকে রিয়াদে শুরু হওয়া বিশ্ব পযটন ও ভ্রমণের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন এই বছরের সবচেয়ে বড় পর্যটন আয়োজনের একটি। করা হচ্ছে কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে। এবারের বিষয়-‘উন্নত ভবিষ্যতের জন্য ভ্রমণ’।

ওএফএস/

Header Ad

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই। বয়সটাও এখন ৪৩ ছুঁই ছুঁই। ব্যাট হাতে দেখা যায় শুধু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। প্রতিবার দলের নেতৃত্বে থাকলেও এবার চেন্নাইকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন না, দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের ভূমিকা বদলেছেন। উইকেটে আসেন হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। এসেই ঝড় তোলেন।

যখনই ক্রিজে আসেন, চার-ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। এই নতুন ভূমিকাতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি পুরোপুরি সফল। মজার ব্যাপার হলো, এমন ‘হাইরিস্ক গেম’ খেলেও ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত আউট হননি।

ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৯টি, ব্যাটিং করেছেন ৭ ইনিংসে। ৭ ইনিংস ব্যাট করে খুব বেশি বল খেলেননি—৩৭টি। এই ৩৭ বলে রান করেছেন ৯৬, স্ট্রাইকরেট—২৫৯.৪৫। ছক্কা মেরেছেন ৮টি, চার ৯টি। বল খেলার সংখ্যাটা অবশ্যই খুব বেশি নয়। তবে মনে রাখতে হবে ধোনি এই ৩৭ বলের প্রায় প্রতিটিতেই খেলেছেন বাউন্ডারির জন্য। সে ক্ষেত্রে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আরও বেশি।

ধোনি কয়েকটি বলের জন্য ক্রিজে এসে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। এই যেমন গত ১৪ এপ্রিল ‘আইপিএল ক্লাসিকো’য় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে।

ইনিংসের ২০তম ওভারে উইকেট এসে ৪ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২০ রান। সেই ম্যাচটি চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানেই জেতে। এরপরের ম্যাচেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে করেন ৯ বলে ২৮ রান।

সেদিন অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারেনি চেন্নাই। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে যেভাবে ১০১ মিটারের ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি, তাতে তাঁর বয়সটা আসলেই ৪২ কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল! ধোনি এরপর আরও দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন। এই ২ ম্যাচ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ৩ বল, তাতেই দুটি চার মেরেছেন।

গত মৌসুম থেকেই মূলত ধোনি চেন্নাইয়ের ইনিংসের একদম শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নামতে শুরু করেন। গত আইপিএলে ১২ ইনিংসে বল খেলেছিলেন মাত্র ৫৭টি, রান করেছিলেন ১০৪। এবারও নিশ্চয় আরও কিছু বল খেলবেন ধোনি।

ফিনিশার হিসেবে ধোনি এমনিতেই কিংবদন্তি। তবে তাঁর ম্যাচ শেষ করার নিজস্ব একটা ধরন ছিল। শুরুতে কিছু সময় নিতে পছন্দ করতেন। এরপর শেষে গিয়ে সেটা পুষিয়ে দিতেন। তবে এখন ধোনি জানেন, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন না। শরীরটাও হয়তো সায় দেবে না। তাই নতুন ভূমিকা বেছে নিয়েছেন। আর কীভাবে সেই ভূমিকায় সফল হতে হয়, সেটার প্রমাণ তো ম্যাচের পর ম্যাচ করেই যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা-মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।

মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবার কথাও তিনি।

বুধবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত র‍্যালিপূর্ব শ্রমিক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী
যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী