কাতারের বিমান উপহার প্রস্তাব ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’: ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের রাজপরিবারের উপহার প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, কাতারের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য একটি বিলাসবহুল জাম্বো বিমান উপহার দেয়ার প্রস্তাব ছিল শুধুমাত্র ‘আন্তরিকতা এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।’
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, বোয়িং নির্মিত পরবর্তী প্রজন্মের এয়ার ফোর্স ওয়ান তৈরি বিলম্বের মুখে পড়ায় কাতার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। কাতার চেয়েছে যেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালনে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
তবে এই বিমান উপহার প্রসঙ্গটি সামনে আসতেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সমালোচকদের দাবি, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে এমন উপহার গ্রহণ করা অনৈতিক এবং সম্ভবত অসাংবিধানিক।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর ও সিনেটের সংখ্যালঘু নেতার দায়িত্ব পালনকারী চাক শুমার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে পোস্টে লেখেন, “কাতারের সৌজন্যে প্রাপ্ত এয়ার ফোর্স ওয়ান-এর মতো কিছুই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে বেমানান হতে পারে না।”
এই বিতর্কের জবাবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, “বিদেশি কোনো সরকার যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উপহার দিতে চায়, তাহলে তা সর্বদা প্রযোজ্য আইন অনুসারে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের মাধ্যমেই গ্রহণ করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
উল্লেখ্য, মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া উপহার সরাসরি গ্রহণ করা আইনসিদ্ধ নয়। এ বিষয়ে পার্লামেন্টীয় কমিটির অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় নথিভুক্তি আবশ্যক।
এই ঘটনাটি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও তার নেতৃত্বের মূল্যায়নে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: আল জাজিরা
