নিরাপত্তা ইস্যুতে ১২ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত
নিরাপত্তা ঝুঁকি ও অভিবাসন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ঘাটতির কারণে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা আগামী সোমবার (৯ জুন) থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকড়ি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ার রয়েছে আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। মধ্যপ্রাচ্য থেকে রয়েছে লিবিয়া, ইরান এবং ইয়েমেন। আফ্রিকা মহাদেশ থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে চাদ, নিরক্ষীয় গিনি, কঙ্গো, ইরিত্রিয়া, হাইতি, সোমালিয়া ও সুদান।
এই ১২ দেশের পাশাপাশি আরও ৭ দেশের ওপর অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশনা দিয়েছেন ট্রাম্প। দেশগুলো হলো— বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা। এসব দেশের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মার্কিন কর্তৃপক্ষের যথাযথ যাচাই সম্ভব নয় বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইউরোপে যা ঘটেছে, তা আমেরিকায় ঘটতে দেব না। আমরা এমন কোনো দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসনে আগ্রহী নই, যেখান থেকে আগতদের সঠিকভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, সেটিই আমি করছি।”
উল্লেখ্য, ট্রাম্প এর আগেও ২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদে সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের (ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন) নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। সেসময় ব্যাপক বিতর্ক ও প্রতিবাদের মুখে পড়েন তিনি।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকড়ি নিয়েও ইতোমধ্যে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সমালোচনা করছেন। অনেকের মতে, এটি অভিবাসন নীতিতে বৈষম্যমূলক মনোভাবকে প্রকাশ করে এবং আগামী নির্বাচনে অভিবাসন ইস্যুকে সামনে আনার কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
