‘মেইক ইরান গ্রেট এগেইন’ লিখে ইরানে ক্ষমতা পরিবর্তনের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ইরান নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেছেন। এবার ইঙ্গিত দিলেন দেশটিতে শিগগিরই ক্ষমতার পরিবর্তনের সম্ভাবনার। সম্প্রতি ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলার পরই এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নিজের বিখ্যাত নির্বাচনী স্লোগান Make America Great Again–এর অনুকরণে লিখেছেন: "Make Iran Great Again"। এ মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইরানের জনগণ ও নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে একটি বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “ইরানের বর্তমান প্রশাসন যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের সরে যাওয়া উচিত। নতুন নেতৃত্বই ইরানের ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর হতে পারে।”
তবে ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন তার প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ দুইজনেই পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ইরানের নেতৃত্ব পরিবর্তন নয়; বরং দেশটির পরমাণু কর্মসূচিকে নিরস্ত করা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, “আমরা কোনো সরকারের পতন চাই না। আমরা কেবল চাই ইরান যেন পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকে এবং বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয়।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কারণ, এর মাধ্যমে একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে দ্বিধান্বিত দেখাচ্ছে, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
ইরানের তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা এর আগে বহুবার পশ্চিমা হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের ‘মেইক ইরান গ্রেট এগেইন’ মন্তব্য শুধুমাত্র কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং এটি ইরান সরকারের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতেও ব্যবহৃত হতে পারে। ফলে, আগামী দিনগুলোতে ওয়াশিংটন-তেহরান সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর রাখছে গোটা বিশ্ব।
