
আজ বিশ্ব ‘হ্যালো’ দিবস
২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম

আমরা সাধারণত কারো সঙ্গে কথোপকথনের শুরুতে 'হ্যালো' বলি। তার মানে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান শব্দ হলো এই 'হ্যালো'। তবে, আপনি জানলে অবাক হবেন 'হ্যালো' নিয়ে একটি দিবস আছে! আর আজ সেই দিন। প্রতিবছরের ২১ নভেম্বর বিশ্ব হ্যালো দিবস উদযাপন করা হয়। ভাবতে পারছেন, একটি শব্দের জন্য একটি দিবস! তাহলে বুঝুন শব্দের কত শক্তি।
হ্যালো দিবস কেন পালন করা হয়? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে হ্যালো দিবস পালন করা হয়। তবে, এই দিবস পালনের পেছনে একটি দীর্ঘ গল্প আছে।
সর্বপ্রথম টেলিফোনের মাধ্যমেই ‘হ্যালো’ শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। শুধু ফোনেই নয় বরং পরিচিত বা অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও হ্যালো শব্দটির প্রচলন অনেক আগে থেকেই।
১৯৭৩ সালে প্রথম বিশ্ব হ্যালো দিবস পালন করা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষকে এটা বোঝাতে যে, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, সহিংসতা নয়। ১৯৭০-এর দশকে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব ছিল। তখন অনেকের আশঙ্কা ছিল হয়তো আরেকটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
বিশ্ব হ্যালো দিবস প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে শেষ হওয়া ইওম কিপুর যুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে পালন করা হয়। ওই যুদ্ধ শেষে শান্তি আলোচনায় ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সরাসরি আলোচনার জন্য মিলিত হন।
আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গ্র্যাজুয়েট ব্রায়ান ম্যাককরম্যাক এবং হার্ভার্ডের স্নাতক মাইকেল ম্যাককরম্যাক বিশ্ব হ্যালো দিবসের ধারণাটি প্রকাশ্যে আনেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৮ বছর ধরে ১৮০টি দেশে বিশ্ব হ্যালো দিবস উদযাপিত হয়। কারণ, এই প্রতিটি দেশের নাগরিকরা বিশ্ব শান্তির জন্য তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে এই দিনটি উদযাপন করে।
বিশ্ব হ্যালো দিবস নিয়ে মোটামুটি কিছু ধারণা পেলাম। এবার আসি কীভাবে দিবসটি উদযাপন করবেন সেই প্রসঙ্গে। সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আজ অন্তত ১০ জনকে হ্যালো বলুন। আপনি যদি উদযাপনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাহলে এমন একজন ব্যক্তির কথা ভাবতে পারেন যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে কথা বলুন, যোগাযোগ করুন। এতে আপনাদের সম্পর্কও মজবুত হবে।

বৃষ্টিতে ভেসে গেল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম

সকাল থেকেই টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত তাই বেরসিক বৃষ্টির কাছে হার মেনে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল চলমান মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।
এ কারণে ম্যাচের তৃতীয় দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে আধঘণ্টা খেলা বেশি হবে। ম্যাচ শুরু হবে ৯টা ১৫ মিনিটে, দিনের শেষেও বাড়তি খেলা হবে ১৫ মিনিট। দুদিক মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে।
আগের দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা আগে শেষ হয়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সোয়া নয়টায়। কিন্তু এদিন ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিনে পিচ থেকে কখনোই কাভার সরানো হয়নি। ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে সময় কাটিয়েছেন আড্ডায়। দুয়েকজন অবশ্য ইনডোরে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে আসেন। তবে মাঠে আর ক্রিকেট ফিরতে পারেনি।
এর আগে বুধবার প্রথম দিন ছিল বোলারদের দাপট। দু দল মিলিয়ে এদিন ১৫ উইকেট নেন। বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পরে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, শুক্রবার সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী এরইমধ্যে জেলায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫ এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬।
পরীক্ষা-সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
বিভাগ : শিক্ষা
বিষয় : শিক্ষক-নিয়োগ-পরীক্ষা , নিয়োগ , পরীক্ষা , লিখিত-পরীক্ষা , প্রাথমিক-শিক্ষা-অধিদফতর

১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।
পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’
রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।