সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ

প্রতীকী ছবি

সারা বিশ্বে প্রজনন হার ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে, যতোটা কমবে বলে অনুমান করা হয়েছিল তার চাইতেও দ্রুত কমছে। চীনে জন্মহার হ্রাস আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে একের পর এক দেশে জন্মের হার পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক নেমে গিয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়ও জন্মহার প্রত্যাশার চেয়ে বেশ নাটকীয় হারে কমছে।

মানুষ যে শুধু আগের চাইতে কম সন্তান ধারণ করছে তাই নয়, একইসঙ্গে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অনেকেই এখন আর সন্তান নিচ্ছে না। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা সন্তান নিতে চাইলেও তাদের সেই সক্ষমতা নেই। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পুরুষদের।

নরওয়েতে ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে পাঁচ শতাংশ পুরুষ সবচেয়ে কম আয় করেন, তাদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার অন্তত ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ উপার্জনকারীদের মধ্যে সন্তানহীনতার হার মাত্র ১১ শতাংশ—তবে এই ব্যবধান গত ৩০ বছরে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

রবিন হ্যাডলির বয়স যখন ত্রিশের কোটায়, তখন তিনি বাবা হতে প্রবল আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাননি, তবে উত্তর ইংল্যান্ডে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তিনি টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার হিসেবে চাকরি করতেন। তার বয়স যখন ২০ এর কোটায় তখন তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে তিনি একটি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি বন্ধ্যাত্বে জড়িয়ে পড়ে অর্থ পরিশোধ করতে তিনি এতোটাই হিমশিম খেয়েছেন যে নতুন করে কোন সম্পর্ক গড়ার সামর্থ্য তার ছিল না। অন্যদিকে তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের অনেকেই বাবা হয়ে যেতে দেখে তার মধ্যে এক ধরনের শূন্যতার অনুভূতি জন্ম নেয়।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, বাচ্চাদের জন্য জন্মদিনের কার্ড বা নতুন বাচ্চাদের জিনিসপত্র দেখেই আমার মনে হতো আমি কারো বাবা নই, এবং আমি বাবা হতে চাই৷ এর সঙ্গে অনেক কষ্ট জুড়ে আছে। নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি পুরুষদের সন্তানহীনতার বিষয়ে একটি বই লিখতে অনুপ্রাণিত হন। যখন তিনি বইটি লিখেছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন নানা কিছুর সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে - অর্থনীতি, জীববিজ্ঞান, নানা ঘটনা প্রবাহ, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন।

তিনি লক্ষ্য করেছেন যে বার্ধক্য এবং প্রজনন বিষয়ে তিনি যা কিছু পড়েছেন তার বেশিরভাগেই সন্তানহীন পুরুষদের কথা অনুপস্থিত- জাতীয় পরিসংখ্যানেও তাদের জায়গা হয়নি। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

সামাজিক বন্ধ্যত্ব বৃদ্ধি:

সামাজিক বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, সন্তান ধারণের জন্য সম্পদের অভাব বা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা না হওয়া। কিন্তু এর মূলে অন্য কিছু রয়েছে বলে মনে করেন ফিনল্যান্ডের পপুলেশন রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একজন সমাজবিজ্ঞানী এবং জনসংখ্যাবিদ আনা রটকির্চ।

তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপ এবং ফিনল্যান্ডে ‘ফার্টিলিটি ইনটেনশন’ বা প্রজননের উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। আমরা সন্তান ধারণের বিষয়টিকে যেভাবে দেখি তাতে তিনি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন।

এশিয়ার বাইরে, ফিনল্যান্ডে সন্তানহীনতার হার সবচেয়ে বেশি। অথচ ফিনল্যান্ড তাদের কমতে থাকা জন্মহারের সঙ্গে লড়াই করতে ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে শিশুবান্ধব নীতি প্রণয়ন করে। যেটি কিনা বিশ্বের অন্যতম শিশুবান্ধব নীতি হিসেবে স্বীকৃত।

এখানে বাবা মায়ের ছুটিতে উদারনীতি নিশ্চিত করা হয়েছে, শিশুর যত্ন যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী করা হয়, নারী-পুরুষরা যেন ঘরের কাজে সমানভাবে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়। এরপরও ২০১০ সাল থেকে দেশটিতে শিশু জন্মহার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পায়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলেছেন, বিয়ের মতো, সন্তান ধারণকে একসময় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে দেখা হত। কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরপরই বিয়ে করে দ্রুত সন্তান নিয়ে নিতেন। কিন্তু আজকাল বিষয়টি উল্টে গিয়েছে। এখন সবাই জীবনের অন্যান্য লক্ষ্যগুলো অর্জনের পর সন্তান ধারণের কথা ভাবে।

এই অধ্যাপক ব্যাখ্যা করেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মনে করে যে একটি সন্তান হলে তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা যোগ হবে।
ফিনল্যান্ডে, তিনি দেখেছেন যে সবচেয়ে ধনী নারীদের নিজের ইচ্ছার বাইরে সন্তানহীন হওয়া আশঙ্কা কম। অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা আছে সন্তান নেওয়ার কিন্তু পারছেন না-এমনটা বেশি হয় না। তারা সন্তানহীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিজ ইচ্ছাতেই নেন।

অন্যদিকে, নিম্ন-আয়ের পুরুষদের অনিচ্ছা স্বত্বেও সন্তানহীন অবস্থাতেই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। অতীতের সাথে বর্তমানে ঠিক এই জায়গাতেই বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে দরিদ্র পরিবারের লোকেরা খুব দ্রুত পরিণত হয়ে উঠতেন। তারা আগেভাগেই পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতেন এবং অল্প বয়সে পরিবার শুরু করতেন।

পুরুষতন্ত্রের সংকট:

পুরুষদের জন্য, সন্তান নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়ার পেছনে আর্থিক অনিশ্চয়তা একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। একে সমাজবিজ্ঞানীরা ‘দ্য সিলেকশন এফেক্ট’ বা ‘বেছে নেওয়ার প্রভাব’ বলে থাকে। যেখানে নারীরা সঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় একই সামাজিক শ্রেণীর বা তার চেয়ে উঁচু শ্রেণীর কাউকে খুঁজে থাকেন।

রবিন হ্যাডলি বলছেন, আমি বুঝতে পারি যে, আমি আমার আওতার বাইরে হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম। আমার সম্পর্ক ত্রিশের কঠোয় ভেঙে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, আমার এই অবস্থার জন্য ‘বেছে নেয়ার প্রভাব’ একটি বড় কারণ হতে পারে।

প্রায় ৪০ বছর বয়সে তার বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়। এই নারী তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে সাহায্য করেছেন। সে না থাকলে, আমি এখন যেখানে আছি সেখানে থাকতাম না। যখন তারা সন্তান ধারণের কথা ভাবছিলেন তখন তাদের বয়স চল্লিশের কোঠায় এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ দেশে নারীরা শিক্ষাদীক্ষায় পুরুষদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যাকে ‘দ্য মেইটিং গ্যাপ বা’ ‘সঙ্গমের ব্যবধান’ বলে অভিহিত করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী মার্সিয়া ইনহর্ন। ইউরোপে, এখন একটি বড় সংখ্যক পুরুষ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিচ্ছেন না। তাদেরই নিঃসন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

এসব সমস্যা থেকে বেড় হওয়ার উপায় কী?

হ্যাডলির মতে, প্রজনন নিয়ে সব ধরনের আলোচনাই হয় শুধুমাত্র নারীকে ঘিরে। এবং জন্মহার বাড়াতে যে নীতিগুলো প্রণয়ন করা হয় সেগুলো ডিজাইন করা হয় অর্ধেক জনগোষ্ঠী অর্থাৎ পুরুষদের বাদ দিয়েই।

রবিন হ্যাডলি বলেছেন, আমাদের আরও ভাল তথ্য দরকার। যতক্ষণ না আমরা পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার বিষয়টি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো তার আগ পর্যন্ত এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে সেটা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবো না।

তথ্য উপাত্তের বাইরেও প্রজনন সংক্রান্ত সব আলোচনাতেই পুরুষ অনুপস্থিত। যেখানে কিনা নারীদের প্রজনন নিয়ে সচেতনতা দেখা যাচ্ছে।

নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে-এটি যে ভাববার বিষয় সেটা নিয়েও সচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে এমন কোন আলাপ হয় না। কিন্তু সত্যি হলো নারীদের মতো পুরুষদেরও একটি জৈবিক ঘড়ি আছে, হ্যাডলি বলেছেন, গবেষণার দেখা গিয়েছে যে ৩৫ বছরের পরে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমতে থাকে।

তার মতে, এই অদৃশ্য গোষ্ঠীটিকে (পুরুষ) দৃশ্যমান করা সামাজিক বন্ধ্যাত্ব মোকাবেলার একটি উপায়। আরেকটি হতে পারে অভিভাবকত্বের সংজ্ঞা প্রসারিত করা। যেসব গবেষকরা সন্তানহীনতার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তারা সকলেই একটি বিষয় আগ্রহের সাথে উল্লেখ করেছেন যে সন্তানহীন লোকেরা এখনও শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিহেভিয়েরাল ইকোলজিস্টরা একে অ্যালোপ্যারেন্টিং বলে থাকে বলে জানিয়েছেন অ্যানা রটকির্চ। অ্যালোপ্যারেন্টিং হল শিশুদের জন্মদাতা বাবা-মা ছাড়া যখন অন্য কেউ তার যত্ন করে। সেটা শিশুর বেবিসিটার, পালক বাবা-মা, দাদা-দাদী হতে পারেন। মানব বিবর্তনের বেশিরভাগ সময়ে একটি শিশুর এমন একাধিক পরিচর্যাকারী ছিল।

ড. হ্যাডলি তার গবেষণায় যে নিঃসন্তান পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তার স্থানীয় ফুটবল ক্লাবে নিয়মিত দেখা হতো। ওই ব্যক্তি এমন এক পরিবারের কথা বলেছেন যেখানে ছোট দুই ছেলের একটি স্কুল প্রজেক্টের জন্য দাদা-দাদীর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাদের দাদা-দাদীর কেউই ছিলেন না। তখন ওই ব্যক্তি তাদের সারোগেট দাদা হিসাবে আবির্ভূত হন এবং ওই ঘটনার কয়েক বছর পরে, ও শিশুরা তাকে ফুটবলে খেলতে দেখে "হাই দাদা" বলে ডাক দেয়।

অধ্যাপক রটকির্চ বলছেন, আমি মনে করি বেশিরভাগ নিঃসন্তান পুরুষেরা আসলে এভাবে শিশুদের যত্ন নিয়ে থাকেন বা যত্ন নিতে পারদর্শী কিন্তু তাদের এই বিষয়টি অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনে এর প্রতিফলন না থাকলেও এটি সত্যিই জরুরি।

Header Ad
Header Ad

বদলগাছীতে সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা সদরের বদলগাছী পাইলট হাইস্কুল মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

এতে উভয়পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, বদলগাছী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান (২৫), মারুফ রব্বানী মতিন (২৫) ও আব্দুল আল মোসাব্বির আতিক (২৫)। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নওগাঁ শহরের একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্ট পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে মারুফ রব্বানী মতিন ও আব্দুল্লাহ আল মোসাব্বির বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বদলগাছী পাইলট হাইস্কুল মাঠে তাঁকে একা পেয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বদলগাছীর ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী আতিকুর রহমান আরও বলেন, তাঁর ওপর হামলাকারী মারুফ রব্বানী ও আব্দুল আল মোসাব্বির ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। বর্তমানে তাঁরা দুজন বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাঁরা নিজেদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ নতুন করে ফ্যাসিবাদী কায়দা চালু করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নওগাঁর ছাত্র প্রতিনিধি তানজিম বিন বারী, আরমান হোসেন, ফজলে রাব্বী, মেহেদী হাসান, রাফী রেজওয়ান, সাদমান সাকিব ও রিয়াল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আব্দুল আল মোসাব্বির আতিক বলেন, ‘আতিকুর রহমান যে অভিযোগ করেছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে আমি কারাভোগ করেছি। অথচ আমাকে বলা হচ্ছে, আমি নাকি ভুয়া ছাত্র সমন্বয়ক। যাঁরা এই অভিযোগ করছেন তাঁরাই ভুয়া। আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করেছে তাঁরও কোনো ভিত্তি নেই। বরং আতিকুর রহমান, শুভ ও জামানের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছ চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন এসবের প্রতিবাদ করায় গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আতিকুর রহমান, শুভ ও জামান আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাঁরা আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়কভাবে মারপিট করে। মতিনকে গলায় চাকু দিয়ে আঘাত জখম করে। এ ঘটনায় বদলগাছী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, একসঙ্গেই থাকতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান

ভারতের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। দেশটির খুব ছোট্ট একটি অংশ ছাড়া পুরো সীমান্তজুড়েই রয়েছে ভারত। আমাদের সবসময় একসাথেই থাকতে হবে।

একে অপরকে বুঝতেও হবে। এমন কোনো কিছু করা উচিত না, যাতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে তার। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সবশেষ বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন প্রশ্ন কেবল নির্বাচিত সরকারের সময় আসতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে সরকার রয়েছে, তাদের সময়ে নয়। তবে, দু’দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ককে তিনি ‘ওয়েল অ্যান্ড পারফেক্ট’ বলে মন্তব্য করেন।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

“জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বিরামপুর উপজেলা পরিষদের মুক্ত মঞ্চ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সভাপতিত্বে এবং একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিয়া নওরিন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায়, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অদ্বৈত কুমার, বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী, কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম, বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক শাহ্ আলম মণ্ডল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সুধীজনসহ আরও অনেকে।

বিজ্ঞান মেলায় উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৭টি স্টল তাদের উদ্ভাবনী বিষয়গুলো নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবনী বিষয়গুলো পরিদর্শন করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বদলগাছীতে সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, একসঙ্গেই থাকতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান
বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন
শেখ হাসিনার যোগসাজসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী
ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী
ভ্যাট বাড়ানোর কারণ জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা
মাহফিলে ‘তুমি’ সম্বোধন করা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী
ঝগড়ায় ভালোবাসা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, বলছে গবেষণা
শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে
রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্ন, এক ডলারে ৮৬ রুপি
যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর
রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!
সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা, ১ দশকে নিহত ২৮৯ বাংলাদেশি
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
সায়ান এফ রহমান ব্রিটিশ রাজার দাতব্য সংস্থায় ‘আড়াই লাখ পাউন্ড’ দান করেন  
জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা
বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী