শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অদিতি ফাল্গুনীর

যখন সাংসদেরা খচ্চরের চেয়ে সস্তা

(নিকারাগুয়ার বিপ্লবী কবি ও ক্যাথলিক যাজক আর্ণেস্তো কার্দেনালের জন্ম ১৯২৫ সালে। নিকারাগুয়ার গ্রানাডায়। মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পরে নিউইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেন। ক্যাথলিক এই ধর্মযাজক ১৯৭৯-১৯৮৮ সাল নাগাদ নিকারাগুয়ার বিপ্লবী স্যান্দিনিস্তা সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী ছিলেন এবং এর জন্য ভ্যাটিক্যান সিটি তাঁকে প্রকাশ্যে তিরষ্কার করে। ১৯৭৯ সালে স্বৈরাচারী সমোজা সরকারের অবসানের বিদ্রোহে এই কবি অংশ নিয়েছিলেন। সমোজা সরকারের বিরুদ্ধে লেখা তাঁর বিদ্রোহ ও প্রণয়ের কবিতাগুলোয় সে সময়কার উত্তাল নিকারাগুয়ান জীবনের প্রতিফলন ধরা পড়ে। বিপ্লবে অংশ নেয়া কোনো যুবক আবার ডানপন্থী ধনিক শ্রেণির সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়া প্রেমিকার উদ্দেশ্যে বিদ্রোহী যুবকের আর্তি মাখা কবিতায় শুধু স্প্যানিশভাষী পাঠক নয়- সেসব কবিতা পৃথিবীর নানা ভাষায় অনুদিত হয়ে জয় করেছেন কবি সারা পৃথিবীর নানা দেশের পাঠকের মন। এই কবিতা টিকার্দেনালের ‘জিরো আওয়ার’ থেকে অংশ বিশেষ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডোনাল্ডডি. ওয়ালশ। একশো ভাগ রাজনৈতিক এই কবিতাটি বাংলায় ‘ঢাকাপ্রকাশে-র পাঠকদের জন্য এখানে ভাষান্তর করার সাহস নিলাম)

চন্দ্র প্লাবিত রাত ও আগ্নেয়গিরি
আর রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ থেকে আসা আলোয়
উত্তপ্ত মধ্য আমেরিকার ক্রান্তীয়রাত,
সৈন্যদের ব্যারাক ও কার্ফ্যুর বিষাদগ্রস্থ হুঁশিয়ারী।
‘প্রায়ই একটি সিগারেট খেতে খেতে
আমি স্থির করেছি যে একটি মানুষের খুন হওয়া উচিত।’
সিগারেট খেতে খেতে উবিকোবলেন
তাঁর বিয়ের কেকের মত গোলাপী প্রাসাদে বসে,
তাঁর মস্তিষ্ক শীতল, প্রাসাদের বাইরে
জনতাকে ফসফরাস বোমায় ছত্রভঙ্গ করা হচ্ছিল।
স্যান সালভাদরের রাতগুলো যেন গুপ্তচরে ঠাসা,
ঘর আর বোর্ডিং হাউসগুলোয় ফিসফিস আলাপ
আর পুলিশ স্টেশনগুলোয় আর্তনাদ।
কারিয়াসের প্রাসাদে জনতা পাথর ছুঁড়েছে।
তাঁর অফিস কক্ষেরএকটি জানালা গুঁড়িয়ে গেছে
এবং পুলিশ বিক্ষোভকারী জনতার উপর গুলি ছুঁড়েছে।
এবং চকোলেট কেকের মত প্রাসাদ থেকে
ম্যানাগুয়া হয়ে উঠেছে মেশিনগানের আরাধ্য লক্ষ্য
আর ইষ্পাত হেলমেট পরা বাহিনী
সড়কগুলোয় টহল দিচ্ছে।
প্রহরী! এখন রাত ক‘টা বাজে?
প্রহরী! এখন রাত ক‘টা বাজে?
হন্ডুরাসের ক্যাম্পেসিনো (কৃষকেরা) তাদের টুপিতে টাকা ভরে নিয়ে যেত
যখন সেই ক্যাম্পেসিনো (কৃষকেরা) তাদের বীজ বুনত মাঠে
এবং হন্ডুরাসবাসী ছিল নিজেরাই তাদের জমির মালিক।
যখন তাদের ছিল নগদ টাকা
এবং ছিলনা কোন বিদেশী ধার-দেনা
অথবা জে.পি.মর্গ্যান অ্যান্ড কোম্পানির জন্য প্রদেয় কোন খাজনা।
এবং ফল কোম্পানী ক্ষুদ্র, কাদামাখা চাষীদের সাথে
কোন প্রতিযোগিতায় ছিল না।
কিন্তু একদিন ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি এলো
আর তার সহায়ক হিসেবে এলো টেলা রেইল রোড কোম্পানি
এবং ট্রুহিলো রেইলরোড কোম্পানি
ক্যুইয়ামেলফ্রুট কোম্পানির সহযোগী হিসেবে
এবং ভাক্কারো ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি
তার ওপরে স্ট্যান্ডার্ড ফ্রুট অ্যান্ড স্টিমশীপ কর্পোরেশনের
স্ট্যান্ডার্ড ফ্রুট এ্যান্ড স্টিমশীপ কোম্পানি :
ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি
ছাড় অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘটালো বিপ্লব
এবং সেই সাথে দিলো
রপ্তানী ও আমদানি মূল্যে লক্ষ লক্ষ ডলার অব্যাহতি ,
পুরনো অধিগ্রহণের পরিমার্জ্জনা ও
নতুনতর শোষণের জন্য দেয়া অনুদান,
চুক্তি ভঙ্গ, সংবিধানের অমান্যতা...
এবং প্রতিটি শর্তই কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত
জমি বাজেয়াপ্ত বা ক্রোকের ক্ষেত্রে দায় বা শর্তাবলীসহ
(গোটা দেশের দায়, কোম্পানির নয়)
শর্তাবলী লিখবে অবশ্যই কোম্পানি
রাষ্ট্রের কাছে জমি চাষের অধিকার ফিরিয়ে দেবার বিনিময়ে
(যা রাষ্ট্রগুলোই বহুজাতিককে দিয়েছে বিনামূল্যে)
এবং ৯৯ বছর পরে...
‘এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন
সব আবাদের ক্ষেত্রে
যা কিনা ঠিকাদারের উপর নির্ভরশীল
এবং ফলশ্রুতি হিসেবে যে আবাদে এই কোম্পানির ভবিষ্যতে
কোন স্বার্থ থাকতে পারে
সেসবই পূর্ববর্তী শর্তাবলীর ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হবে...‘
(যেহেতু কোম্পানি ও চুক্তির ভাষা বিকৃত করে)
শর্ত ছিল যে কোম্পানি রেলপথ বানিয়ে দেবে,
অথচ কোম্পানি তা‘বানাচ্ছিল না,
কারণ হন্ডুরাসে খচ্চরেরা ছিল রেলপথের চেয়ে সস্তা,
আর ‘একজন সাংসদ ছিল একটি খচ্চরের চেয়ে দামে কম‘,
যেমনটা জেমুরে বলতেন,
যদিও তিনি আয়কর ফাঁকি দেয়া উপভোগ করছিলেন
কোম্পানির দেয়া ১৭৫,০০০ একর জমির দান নিয়েও,
এই জমির বদলে জাতির জন্য প্রতিমাইল রেলপথ
যা তার বানানোর কথা ছিল
তবে তিনি বানাননি, দেশকে তিনি কিছুই ফিরিয়ে দেন নি
যদিও তিনি বানাননি এক মাইলপথও (কারিয়াস সেই একনায়ক
যে রেলপথের সবচেয়ে বেশি মাইল রাস্তা বানায়নি)
এবং সর্বোপরি সেইবাজে রেলপথ
যা জাতির কোন কাজেই লাগেনি
কারণ এই রেলপথ ছিল দুই বিশাল আবাদী জমির মাঝখানে
কারণ এই রেলপথ ছিল না ট্রুহিলো এবং তেগুচিগালপা
শহরদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে।
এই কোম্পানিরা বিকৃত করে ভাষা এবং বিকৃত করে সংসদ,
আবাদী জমিতে কলা পচে
অথবা রেলপথের ধারে গাড়িতে পচন ধরে কলায়,
অথবা কলাগুলো কেবল অতিরিক্ত পেকে গেলেই কাটা হয়
যাতে তাদের বাতিল করা যেতে পারে
যখন তারা ঘাটে পৌঁছে অথবা সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলা হয়
টনটন কলা.
সার সার কলার কাঁদিকে বলা হয় মজে গেছে অথবা বড্ড বেশি শুকনো,
অথবা শুকনো কলা, অথবা কাঁচা, অথবা অতিরিক্ত পেকে যাওয়া, অথবা রোগগ্রস্থ
যাতে করে কোন সস্তা কলা না থাকে,
অথবা কোন কলাই সস্তায় কিনতে না পাওয়া যায়।
যতক্ষণ না নিকারাগুয়ার অতলান্তিক উপকূলে ক্ষুধা প্রবল হয়ে ওঠে।
এবং কৃষকদের জেলে পোরা হচ্ছে ৩০ সেন্টে কলা না বেচার জন্য
এবং তাদের কলাগুলো ফেঁড়ে ফেলা হচ্ছে বেয়নেটে
এবং মেক্সিকান ট্রেডার স্টিমশীপ তাদের বজরাগুলোসহ ডুবে যায়
এবং হরতালকারীরা বুলেটের ভয়ে সন্ত্রস্ত।
(এবং নিকারাগুয়ার সাংসদেরা একটি উদ্যান ভোজে আমন্ত্রিত)।
কিন্তু ঐ কালো শ্রমিকটির সাতটি বাচ্চা।
আর তুমি কী বা করতে পারো? তোমাকে ত‘ খেতে হবে,
এবং তারা যে মজুরিই দিক তোমাকে মেনে নিতে হবে।
এক কাঁদি কলার মূল্য হিসেবে ২৪ সেন্ট।
বোস্টনে যখন ট্রপিক্যাল রেডিওর সহকারী হিসেবে
কেবল সংযোগ দেয়া হচ্ছিলো:
‘আমরা অনুমান করি যে বোস্টন নিকারাগুয়ার সংসদে
সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সাংসদদের অর্থ দিতে তার অনুমোদন জানাবে
যেহেতু দলটি কোম্পানির জন্য অসংখ্য সুবিধাপ্রদান
করে।‘
এবং বোস্টন থেকে এই বার্তা ট্রেলিগ্রাফে পৌঁছে যাবে গ্যালভেস্টনে
এবং গ্যালভেস্টন থেকে কেবল এবং টেলিগ্রাফ যোগে মেক্সিকোয়
এবং মেক্সিকো থেকে কেবল সংযোগে স্যানজুয়ান দেল সুহ
এবং স্যানজুয়ান দেল সুহ থেকে পুয়ের্তোলিমোনে পৌঁছে যাবে টেলিগ্রাফ যোগে
এবং পুয়ের্তোলিমন থেকে পাহাড়ি এলাকায় নৌকায় করে
নির্দেশ পৌঁছে যায় ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানিতে:
‘ইউনাইটেড আর কলা কিনছে না।“
এবং পুয়ের্তোলি মনে শ্রমিকেরা ছাঁটাই।
এবং ছোট ছোট কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
কেউই তার ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারছে না।
এবং রেলপথের ধারে গাড়িগুলোয় কলার সার পচছে
কারণ কোন সস্তা কলা থাকতে পারবে না
যাতে কোন সস্তা কলা না পাওয়া যায়
এক/একটি কলার কাঁদির দাম ১৯ সেন্ট।
মাসিক বেতনের বদলে শ্রমিকদের ঘন্টাপ্রতি মজুরি,
পাওনা টাকার বদলে ধার-দেনা,
কলা আবাদ পতিত বা পরিত্যক্ত,
যেহেতু তার এখন কোন দরকার নেই,
পতিত জমিন দেয়া হয়েছে বেকারদের কলোনীকে,
এবং কোস্টারিকায় ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানী
এবং কোস্টারিকায় তার সহযোগী কোস্টারিকা ব্যানানা কোম্পানি
এবং নর্দার্ণ রেইলওয়ে কোম্পানি এবং
দ্য ইন্টারন্যাশন্যাল রেডিও টেলিগ্রাফ কোম্পানি
এবং কোস্টারিকা সাপ্লাই কোম্পানি
এবং আদালতে এক অনাথের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছে
রেল লাইনের লাইন চ্যুতির খরচ ২৫ ডলার
তবে গোটা রেলপথ মেরামত করতে আরো বেশি খরচ হবে।
এবং সাংসদেরা খচ্চরের চেয়েও সস্তা, জেমুরে যেমন বলতেন।
তুর্কী কলা ব্যবসায়ী স্যাম জেমুরে ভ্রাম্যমান, আলাবামায় থাকেন,
একদিন এক ভ্রমণে বের হয়ে গেলেন নিউঅর্লিয়ন্সে
এবং সেখানে তিনি দেখলেন যে ইউনাইটেডফ্রুট কোম্পানি সমুদ্রে ছুঁড়ছে কলা
এবং তিনি সব ফল কিনবার প্রস্তাব দিলেন ভিনেগার বানাবেন বলে,
তিনি সব কলা কিনলেন এবং তার পর নিউ অর্লিয়ন্সেই সেইকলা বেচলেন
এবং ইউনাইটেডের হন্ডুরাসে তাঁকে জমি দিতে হলো,
যাতে করে নিউ অর্লিয়ন্সে তিনি তাঁর আগে করা চুক্তি ভঙ্গ করতে পারেন,
এবং এভাবেই স্যাম জেমুরে হন্ডুরাসে রাষ্ট্রপতিদের নিযুক্ত করে থাকেন।
তিনিই গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাসের ভেতর সীমান্ত উত্তেজনা সৃৃষ্টি করেন
(যার অর্থ হলো ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি এবং তাঁর নিজের কোম্পানির ভেতর উত্তেজনা)
সেই সাথে ঘোষণা দেন যে হন্ডুরাস (তাঁর নিজের কোম্পানী) অবশ্যই
‘বিতর্কিত এলাকায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেনা-
বিনাযুদ্ধে দেবে না সূচাগ্র মেদিনী
শুধু তাই নয়
হন্ডুরাসের অন্য কোন এলাকাতেও
তার কোম্পানী থাকবে না কোন বিতর্কে...
(যখন ইউনাইটেড নিকারাগুয়ার লাম্বার কোম্পানির
সাথে এক আইনী যুদ্ধে হারিয়ে দিচ্ছিল হন্ডুরাসের অধিকার)
যতক্ষণ না সেই মামলা শেষ হয়
সে একীভূত হয় ইউনাইটেডের সাথে
এবং তারপর তার সব শেয়ার বিক্রি করে ইউনাইটেডকে
এবং তারপর বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে সে ইউনাইটেডে কেনে শেয়ার
এবং সেই শেয়ার দিয়ে সে বোস্টনে দখল করে রাষ্ট্রপতির পদ
(হন্ডুরাসের বিভিন্ন রাষ্ট্রপতিকে তাদের কর্মীসহ কিনে নেন)
এবং এখন তিনি হন্ডুরাস ও গুয়াতেমালা উভয়েরই মালিক
এবং এভাবেই সব অবসন্ন জমি নিয়ে আইনীযুদ্ধ শেষ হয়
যে জমিগুলো এখন আর না হন্ডুরাস
না গুয়াতেমালার কোন কাজে আসবে।

 

 

Header Ad

নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদের বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে ১১ মুসল্লিকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

কানো ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পরপরই তাদের ডাকা হয়নি, আরও আগে জানানো হলে তারা আরও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন। কানো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পরেই তাদের জানানো হয়েছিল।

পুলিশ বলেছে, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, সে মসজিদের ভেতরে থাকা পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমর সান্দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ঘটেছে তা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়, বরং এটি সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তা নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যেন নেতৃত্ব না যায়, সেজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সামরিক শাসকগোষ্ঠী।

পরে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা দেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’, ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’ ইত্যাদি স্লোগান।

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সব নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেওয়া হয়। এসময় শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এসময় ঝড় বৃষ্টিতে নগরজীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট, স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষায় কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দ অশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের পর যখন ঘাতক গোষ্ঠী প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল জাতীয় জীবন, তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়, বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা

ছবি: সংগৃহীত

গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার শিক্ষা বোর্ডের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না এই শিক্ষা বোর্ডেরই। ফলে দুর্নীতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেমে এসেছিল সর্বনাশ।

এ বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন জারি করা বিধিমালায় গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির ওপর শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃত্ব অনেক বেশি রাখা হয়েছে। কমিটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও স্বার্থহানির প্রমাণ মিললে কারণ দর্শানো ছাড়াই এই কমিটি ভেঙে দিতে পারবে শিক্ষা বোর্ড, যা আগের বিধিমালায় ছিল না। এছাড়া বোর্ড প্রয়োজন মনে করলে বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিটি দুই বছরের জন্য গঠন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে।

সম্প্রতি এই বিধিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০০৯ সালে জারি করা বিধিমালার আলোকে চলছিল। যদিও ঐ বিধিমালায় বেশি কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল। নতুন বিধিমালা জারির ফলে ২০০৯ সালের বিধিমালা অকার্যকর হয়ে যায়।

নতুন জারি করা বিধিমালা অনুযায়ী, গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির কিংবা সভাপতির বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ, গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে শিক্ষা বোর্ড বিশেষ পরিস্থিতি কমিটি গঠন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে।

এছাড়া ভর্তি, অতিরিক্ত ভর্তি, ফরম পূরণ এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে এবং প্রতিষ্ঠানের অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে গুণগত শিক্ষাদানে অন্তরায় মনে হলেও বিশেষ কমিটি গঠন করতে পারবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, বিশেষ কমিটি সাধারণ কমিটির মতো দুই বছর হবে। তিনি জানান, আমি আশা করছি এই বিধিমালা বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা বোর্ড, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, নির্বাহী কমিটি, অ্যাডহক কমিটি বা বিশেষ পরিস্থিতি কমিটির যে কোনো বিষয় অনুসন্ধান করিতে কিংবা কোনো অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করিতে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র তলব করতে পারবে।’

এই প্রবিধানমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন, সরকার বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত কোনো নির্দেশনা অমান্যকরণ, অদক্ষতা, আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থহানি বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণ প্রমাণ হলে শিক্ষা বোর্ড যে কোনো সময় গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, নির্বাহী কমিটি, অ্যাডহক কমিটি বা বিশেষ পরিস্থিতি কমিটি বাতিল করতে পারবে।

এছাড়া সভাপতির বা কোনো সদস্যের কোনো কর্মকাণ্ড বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিংবা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ পরিপন্থি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট কমিটির কোনো সদস্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন বিধিমালায়।

নতুন বিধিমালা আরো উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান বিধিমালায় সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে এইচএসসি উত্তীর্ণ। আগে এই পদে কোনো যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল না। এ কারণে স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি এমন ব্যক্তিরাও উচ্চ মাধ্যমিকের বা মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ‘সভাপতি’ হতে পারতেন।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটির শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাস। আর মাধ্যমিক ও কলেজ পরিচালনার জন্য সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ না থাকায় বিষয় নিয়ে সমালোচনা চলছিল। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এইচএসসি পাশ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া নতুন বিধিমালায় সভাপতি হওয়ার মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে পরপর দুই বারের বেশি সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করতে পারবেন। এক জন ব্যক্তি দুটি কলেজের গভর্নিং বডি এবং দুটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিসহ মোট চারটির বেশি পদে সভাপতি থাকতে পারবেন না।

গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধান স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে সভাপতির জন্য তিন ব্যক্তির নাম বোর্ডে পাঠাবেন। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হবে নির্বাচনের মাধ্যমে।

এদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারই সব ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। এ কারণে গভর্নিং বডির প্রভাব কমিয়ে শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রশাসনের হাতে আরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

সর্বশেষ সংবাদ

নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা
প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
ক্রিকেট ছাড়লে আপনারা আমাকে আর দেখবেন না: কোহলি
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা!
চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কাক পোশাকে ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ভাবনা
সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকা ও দুই কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ধানমন্ডিতে ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার হলো ভারতের গুজরাট থেকে
এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব
তীব্র তাপপ্রবাহে কিশোরগঞ্জে এক বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ফোর্বসের ‘অনূর্ধ্ব ৩০’ সেরা উদ্যোক্তার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি
যে কারণে জয়কে থাপড়াতে চাইলেন মিষ্টি জান্নাত
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন