সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমাকে থিতু করো

এক
জলেই প্রথম দেখেছিলাম মেয়েটাকে। তাই জল দেখলেই তার কথা মনে পড়ে যায়। জলে অর্থাৎ বিলের থকথকে নীল জলে স্নান করার মুহূর্তে তাকে এক ঝলক দেখেছিলাম। ফিরিয়ে নিয়ে ছিলাম সহবতে। চোখে পড়েছিল ফর্সা টুকটুকে মুখটা। মনের সেলফোনে ঠিক করে নিয়েছিলাম। সুন্দর কে না ভালোবাসে। ব্যাস এইটুকুই তারপর ফেরিঘাট হয়ে তাকে মন থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম।

গন্তব্য ছিল ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়। গ্রাম ও পোস্ট -ভগীরথপুর, থানা- ডোমকল, জেলা- মুর্শিদাবাদ। এমনটাই ঠিকানা ছিল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে। এদিকে ইস্তক কখনো আসিনি এ জন্মে।

নেহাত কর্মস্থানের নির্বাচিত হওয়ার কারণে এই যাত্রা। বাবা যাবতীয় খোঁজ নিয়ে জেনেছে পথ নির্দেশিকা। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাস ধরে যেতে হবে সুন্দরপুর ঘাট। একেবারে ফেরিঘাটের ধারে এসে বাস নামিয়ে দিল। জানতে পারলাম এটাই এ বাসের লাস্ট রুট। কন্ডাক্টার ছেলেটি বুঝিয়ে দিল, 'একটু হেঁটে ফেরিঘাট পাবেন। পার হলে টুকটুক গাড়ি ধরবেন। দশ মিনিট পর ভগীরথপুর স্কুল'।

সেভাবেই গেছিলাম স্কুলে জয়েন করতে। বন্ধু অনির্বাণকে নিতে চেয়েছিলাম। বাবা বলেছিলেন সঙ্গে ছোট মামাকে নিয়ে যেতে, উনি অবসরপ্রাপ্ত। অগত্যা মামা দোসর হলেন। সেই যাত্রাপথে সেদিন ফেরিঘাট দেখেছিলাম তাতে সম্ভবত পাশের গ্রামের মেয়েরা ও শিশুরা স্নান করছিল। বুঝেছিলাম, দেহাতি এলাকা। এটা মুসলমান অধ্যুষিত গ্রাম৷ আজানের সুর ভাসছিল। বাস থেকে ঘুরে একই সময়ে।

'কী ভাবছেন স্যার?' রাওফুন্নেসার ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম।
--'ওহো তোমার খাতাটা দাও।'  একটু হোঁচট খেলাম আমি।
এই সেই ফেরিঘাটে দেখা মেয়েটি। নাম রাওফুন্নেসা খাতুন। সাইন্সের ছাত্রী, ক্লাস টুয়েলভ। ওর বাড়ি পাশে ফতেপুর গ্রামে।

আমি এখন ক্লাস টুয়েলভের ব্যাচ পড়াচ্ছি ৷ টিউশন পড়াতে চাইনি এখানকার কয়েকজন অভিভাবকদের দৌরাত্ম্যে সপ্তাহে দুইদিন বরাদ্দ করতে হয়েছে। এটা রাউফুন্নেসার বাড়ি। ওর বাবা শিক্ষিত ব্যবসায়ী। চুয়ান্ন বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে গত হয়েছেন।

মেয়েটি মেধাবী। পনেরজনের এই ব্যাচে ওই এক্সট্রা অর্ডিনারি। আমার বাড়ি অবশ্য এখানকার হেডস্যার ঠিক করে দিয়েছেন। ভগীরথপুরের হিন্দুপাড়ার একটা ভাড়া বাড়িতে। নিজের প্রয়োজনে একটি প্লাটিনাম টু হুইলার নিয়েছি। একা মানুষ স্বচ্ছন্দ জীবন ,মাকে আনতে চেয়েছিলাম এখানে৷ বাবা আনতে দেননি। মা বাবাকে চেনেন তো ,একটু একা ভাত বেড়ে খাননি কোনোদিন। আমিও সহমত পোষণ করেছি।

--'আজতো তোদের আজ পড়াব না একটু কাজ আছে'৷ ওদের ভাগিয়ে দিলাম আজ।
বুঝি, এভাবে একটু ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেলে ওরা লুফে নেয়। একে একে ওরা সবাই চলে গেছে রাওফুন্নেসা অবশ্য আমার স্কুলের ছাত্রী। সে সৌজন্যতা দেখিয়ে গেছে, 'স্যার আজ স্কুলে যাচ্ছেন তো?'

স্কুলে গেছিলাম ভালো লাগছিল না। আজ ক্লাসে কিছুটা হলেও ফাঁকি দিয়েছি। ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ভয় পায়। ওদের গুঞ্জন শুনেছি, ওই দেখ সুদীপ্ত স্যার আসছেন। সবাই সাবধান কিন্তু।

টিউশন ক্লাসে আমি থাকা অব্দি কেউ কারোর দিকে নজর রাখতে পারে না। সেই আমার আজ মনটা বিষণ্ণ। এ কী নস্টালজিয়া? দু'বছর হলো এখানে শিক্ষকতা করছি। জানি না ট্রান্সফার হবে না। তবুও চেস্টা রাখব মিউচুয়াল ট্রান্সফারের।

সেই বাঘা যতীনের বিকেলগুলো ফেলে এসে আজ এখানে একা। সুযোগ পেতে নদার্ন জোনে পরীক্ষায় বসেছিলাম।

ব্যাস ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে গেল। কিন্তু তা বলে এভাবে এখানে একা থাকাটা বেশ কষ্টকর। অরিন্দম, ভাস্কর, জ্যোতি, অরিত্র, জিয়া হাসান ওদের সঙ্গে আজ আড্ডা মারার সুযোগ ঘটে না। মাসে একদিন আড্ডা। ছুটি পেলে কলকাতা যাই। স্বদেশে ফিরে স্বচ্ছন্দ অনুভব করি। বাবা-মা বন্ধু সহপাঠীদের সঙ্গে দিন গুজরান। কিন্তু এখানে একাকী মনে হয় সহকর্মীদের সাহচর্য ততটা প্রসন্নতা দিতে পারে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সদ্ভাব থাকলেও নিজের আকাশ মেলে ধরার মতো তেমন কাউকে পাইনি।

দুই
স্কুলে আমার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। তিন বছর পূর্ণ হলো, ট্রান্সফারের জন্য স্বজন খুঁজেছিলাম পাইনি। অগত্যা সেভাবেই থেকে গেছি ৷ একাকী ৷ টিউশন ভালো লাগে না। ওই সব পর্ব মিটিয়ে দিয়েছি ৷ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আবেদন জানালেও সে আবেদনে সাড়া দিইনি।

এই বেশ আছি। এক আধটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন যাবত। ও সব আমার আসে না। আবেগের সঙ্গে যুক্তি মেলাতে পারি না। তা ছাড়া ইদানিং কালের কবিতা চর্চার ধারাটাকে কোনোদিন রপ্ত করার চেষ্টা করিনি। বহরমপুরের দুই একজন কবি বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে বলেছি, ওটা আমার কম্ম নয়। আমি যে কী ভালোবাসি কী ভালোবাসি না সেটা নিজেও কোনোদিন অনুধাবন করিনি। মা হা-হুতাশ করেছেন বহুবার --তুই যে কী চাস সেটা আজও বুঝলাম না। বিয়ের জন্য কয়েকবার পীড়াপীড়ি করেছিলেন। আমি অব্যাহতি চেয়েছি। আগে মেয়ে পছন্দের জায়গাটা অর্জন করি, তারপর। ভেবেছি স্কুল বদলের জন্য এবার অন্য জোনে পরীক্ষায় বসব। সে তো ঝুলে গেছে। এসএসসিতে নিয়োগ নেই। কী যে করি! ইচ্ছামতো এদিক-ওদিক বেড়াতে যেতে পারি না শিক্ষক হিসেবে একটা তকমা আঁটা হয়ে গেছে যে। লোকে ঠাট্টার চোখে দেখবে তার মধ্যেও ছল ছুতোয় বেড়ানোর চেষ্টা করি।

নতুন সেশন শুরু হয়েছে। এখন মার্চ চলছে। ছুটিছাটা তেমন নেই। তাই কলকাতা যেতে পারিনি। কোনো মাসে শনিবার ট্রেন ধরে গেলে রবিবার রাতে ফিরতে হয়। বিরক্তিকর জার্নি তাই যাইনি।

খেয়ালের বশবর্তী হয়ে আজ দরকারে বিকালে বেরিয়ে পড়লাম, খেয়া ঘাটের ওপারে যাব নিজাম উদ্দিন স্যারের বাড়িতে। উনার ছোট ছেলের খৎনার দাওয়াত দিয়েছেন। ইচ্ছে না থাকলেও সম্ভ্রম রাখতে যেতেই হবে ৷

মোটরবাইকে এগোচ্ছি নদীর অভিমুখে। অদূরে জল ছলছল করছে। মনে পড়ে গেল রাওফুন্নেসার কথা। এখানেই একদিন ওকে প্রথম দেখেছিলাম আজ আর যোগাযোগ নেই। জানি না বিএসসি শেষ করেছে কিনা নাকি হায়ার স্টাডির জন্য এখন অন্যত্র। খোঁজ নেবার চেষ্টা করেনি কোনোদিন। সে ছিল আমার দু'বছরের শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছিল ফার্স্ট ডিভিশনে। পাস করে দেখা করতে এসেছিল। আনন্দ পেয়েছিলাম সহবতে। ব্যাস, তারপরে সব ঝাপসা।

আজ কেন জানি না ওর কথা মনে পড়ছে। একটু থিতু হই। এখানে নৌকা পারাপার বলে কিছু নেই সাজানো বাসের উপর দিয়ে সমস্ত ছোট গাড়ি ও মানুষজন পারাপার করে। তাই অপেক্ষার সিঁড়ি ভাঙতে হয় না। কিন্তু আমি একটু দাঁড়িয়ে পড়লাম পারঘাটার উপকণ্ঠে। পরিচিত মানুষরা সৌজন্যতা দেখিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি কেন দাঁড়িয়ে আছি জানি না!

আবার কি এই জল ভেঙে সেদিনের মতো রাওফুন্নেসা উঠে আসবে? সিক্ত শরীরে সমস্ত পোশাক সামলে দাঁড়িয়ে বলবে, 'স্যার ভালো আছেন?' 
মনে মনে হেসে উঠি, অবান্তর ভাবনার অবকাশে ৷
আমি উন্মাদ হয়ে গেছি কি?
ভাবনার সমস্ত দেয়াল ভেঙে এই নদীর কাছে গিয়ে এইবার বলব, এখানে আর নয়। হে নদী, আমাকে থিতু করো।

এসজি

Header Ad

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। একই সময়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে থাকা এক পুলিশের সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহেদকেও আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের ৮টি বালা নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামায় দুই যুবক। পরে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এসময় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।

এসময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টহল দল। টহল দল দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে একজন খুলশী থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলার পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- পোরশা উপজেলার নিতপুর মনোহরপুর গ্রামের রুবেল ইসলামের ছেলে লালচাঁন ইসলাম (৭) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রোববার দুপুরে রুবেল ইসলাম তার ছেলে লালচাঁনকে সাথে নিয়ে পোরশা উপজেলার কপালী মোড় পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে আসেন। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় মাসুদ বিড়ি বহনকারি একটি অটোরিশার লালচাঁনকে ধাক্কা দেয়। এতে লালচাঁন গুরুত্বর আহত হয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে অটোরিকশার চালক আবুল কালামকে আটকসহ অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের রানীপুকুর মাদ্রাসার অদূরে বাস চাপায় সিফাত হোসেন নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এবং রানিপুকুর ক্বেরাতুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর
বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ