সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্বপ্ন কখনো মরে না

স্বপ্ন কখনো মরে না। স্বপ্ন বেঁচে থাকে। স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কোনো স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয়েছে তার কোনো নজির নেই। যে কোনো সফল উদ্যোগের পেছনেই কিন্তু অনেক ব্যর্থতা থাকে। থাকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, শ্রম-ঘাম। সফলতা আপনা থেকেই ধরা দেয়নি। তাকে ধরতে হলে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। সেই চেষ্টার পেছনে থাকে স্বপ্ন। স্বপ্নই মানুষকে সফলতার দিকে ধাবিত করে। কেউই একবারে হিমালয়ের চূড়ায় উঠতে পারে না। হিমালয়ের চূড়ায় আরোহন করতে হলে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরুতে হয়। পর্বতারোহীকে প্রথমে ছোটো ছোটো পাহাড়ে উঠে নিজেকে তৈরি করতে হয়। নিজের মানসিক শক্তি, শারীরিক শক্তি বাড়াতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, হিমালয়ে আরোহন করতে গিয়ে বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়তে হয়। তখন তিনি কি করেন? হতাশ হয়ে হিমালয়ে আরোহনের চেষ্টা বাদ দেন? তাহলে তো কখনোই তার হিমালয় জয় করা সম্ভব হবে না।


অন্যভাবে যদি বলি; দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা শুরুতেই কি বড় ছিল? আমাদের দেশে খুব কম সংখ্যক বড় ব্যবসায়ী আছেন, যারা বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ব্যবসার হাল ধরেছেন। বেশির ভাগই প্রথম জেনারেশনের ব্যবসায়ী। এ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দিই। একবার এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে কথা হলো। তাঁর উত্থানের পেছনের গল্প বলছিলেন। তিনি পড়ালেখা শেষ করে শুরুতে চাকরিতে যোগ দিলেন। কিন্তু তাতে তিনি উৎসাহবোধ করছিলেন না। ব্যবসা তাকে চুম্বকের মতো টানছিল। তিনি ব্যবসা করবেন বলে মনস্থির করলেন। কিন্তু ব্যবসার জন্য যে পূঁজি দরকার তা তাঁর ছিল না। তারপরও তিনি দমলেন না। খুব অল্প পূঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন। তিনি ফ্রান্স থেকে চামড়া আমদানির একজন এজেন্ট ছিলেন। সফলতা কিছুতেই ধরা দিচ্ছিল না। তিনিও হাল ছাড়লেন না। ধৈর্য ধরতে লাগলেন। আস্তে আস্তে তার তিনি সফলতার মুখ দেখলেন। তাঁর পূঁজি বাড়তে থাকল। তিনি এক পর্যায়ে ওরিয়েন্ট ট্যানারী কিনে নিলেন। দিনে দিনে সেই ব্যবসা প্রসার লাভ করতে থাকল। তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেন। সফলতা তাকে ধরা দিল। তিনি দেশের একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন।

সরকারের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বা সচিব হওয়ার জন্য তাকে কিন্তু অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। একজন সেকশন অফিসার থেকে নিজেকে তিলতিল করে গড়ে তুলতে হয়। উঁচু পদে যাওয়ার পথটি সরলসোজা কোনো পথ নয়। সেখানে থাকে অনেক কষ্ট, অবহেলা, অবজ্ঞা আর বেদনার নানা কাহিনি। আমরা সেগুলো দেখি না। দেখতে পাই না। কেউ সচিব কিংবা রাষ্ট্রদূত হলে বাহবা দিই। আমাদের সামনে উঠে আসেন একজন সফল মানুষ। কিন্তু তার সফলতার পেছনে যে কত শ্রম ঘাম মেধা ক্ষয় করতে হয়েছে তা দেখি না।

যে কোনো কাজে সফল হওয়ার জন্য চাই ধৈর্য। ধৈর্য না ধরতে পারলে সফলতা তাকে ধরা দেবে না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনও তার বান্দাকে সবুর করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সবুরে মেওয়া ফলে। কিন্তু আমরা এই সবুরটুকু করতে চাই না। অতি অল্পতেই বিপুল টাকার মালিক হতে চাই। ধনী হতে চাই। শুধু তাই নয়, অতি দ্রুত যেকোনো উপায়ে বড়লোক হতে চাই। এই প্রবণতা আমাদের নীতি-নৈতিকতাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে।

ছোটবেলায় আমরা আদর্শলিপিতে পড়েছি, লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে সে। কিন্তু এখন আমাদের অবস্থাটা এমন যে, লেখাপড়া না করেই গাড়ি ঘোড়ায় চড়তে চাই। এই মানসিকতার কারণেই আমরা যে কোনো উপায়ের ধান্দা করি। আবার শুধু লেখাপড়া করলেও হবে না। স্বপ্নও দেখতে হবে। বড় হওয়ার স্বপ্ন। যে স্বপ্ন আপনাকে সারাক্ষণ পেছন থেকে তাড়িয়ে বেড়াবে। ছাত্র অবস্থা থেকেই নিজেকে তৈরি করতে হবে। বর্তমান সময়ের উপযোগী করে তুলতে হবে। পাঠ্য বইয়ের মধ্যেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখলে হবে না। সৃজনশীল বইও পড়তে হবে। নিজেকে সৃজনশীল করে তুলতে হবে। ভবিষ্যত পরিকল্পনার ছক এঁকেই এগোতে হবে। তাহলেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। মনে রাখতে হবে, স্বপ্ন কখনো মরে না।

 

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।
mostofakamalbd@yahoo.com

 

 

Header Ad
Header Ad

ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়

ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন চীন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের শীর্ষ ১০টির মধ্যে অন্যতম।

রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ২৯ মার্চ ড. ইউনূস পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানেই তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

প্রেস সচিব আরও জানান, চীনের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা জানিয়েছে।

চীনের চেইন হাসপাতালগুলোকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা ও জয়েন্ট ভেঞ্চারে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য উৎসাহিত করার কথাও বলেন তিনি।

সংস্কার বিষয়ে শফিকুল আলম জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব দেশের সংস্কারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক নয়, বরং সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় হবে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সমর্থনের আশ্বাস পাওয়া গেছে, তবে তা গ্রহণ করা হবে কিনা, সেটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

Header Ad
Header Ad

‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়

ছবি: সংগৃহীত

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

রোববার (১৬ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এবছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজ আয়োজনের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সব জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা প্রয়োজন।

রোববার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৩১ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে। বর্তমান সময়ে উঠে আসা সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপির প্রস্তাবের খুব বেশি পার্থক্য নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে হত্যা, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামছে।

বিএনপি মহাসচিব দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস যেন অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করেন। কারণ, নির্বাচনে দেরি হলে ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান এবং উগ্র, জঙ্গি গোষ্ঠীর সুযোগ নেওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়
‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব অন্যায়-জুলুমের বিচার নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা
বাংলাদেশের নির্বাচন হবে আন্তর্জাতিক মানের, আশা ইউরোপীয় ইউনিয়নের
নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৫১
বন্ধ হওয়ার পথে ভয়েস অব আমেরিকা, ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই
পুলিশের ১২৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা
আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা
দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন অস্কারজয়ী শিল্পী এ.আর.রহমান
৬ হাজার কোটির লিগ আনছে সৌদি, চ্যালেঞ্জের মুখে আইপিএল
৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা