
মানুষ ব্যর্থ হয় কেন?
২২ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪২ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৪ এএম

ব্যর্থতা কি মানুষের নিয়তি? নাকি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মানুষ ব্যর্থ হয়? অনেককেই বলতে শোনা যায়, জীবনে কোনো সফলতা পেলাম না! সবক্ষেত্রে শুধু ব্যর্থতার গ্লানি! এত এত চেষ্টা করলাম; জুতার তলা ক্ষয় করলাম! অথচ কিছুতেই কিছু হলো না!
হবে কীভাবে? আপনি একবারও ভেবে দেখেছেন; আপনি যে চেষ্টা করেছেন তাতে কোনো ভুল ছিল কি না? মনে রাখবেন, কোনো প্রচেষ্টাই কিন্তু ব্যর্থ হয় না। দেরিতে হলেও সফলতা আসে। তবে প্রচেষ্টার মধ্যে যদি গলদ থাকে কিংবা যথাযথ পরিকল্পনার অভাব থাকে; তাহলে আপনি সফল হবেন কীভাবে? হুটহাট সিদ্ধান্ত না দিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। যে কাজটি আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন সেটি নিয়ে বারবার ভাবুন। বিষয়টির নেতিবাচক ও ইতিবাচক সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। তারপর কাজটা শুরু করুন। দেখবেন, সফলতা আসবেই।
আবার ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে কোনো কাজই শুরু করবেন না; তাও ঠিক হবে না। আপনি সফল হওয়ার জন্যই সিদ্ধান্ত নেবেন। কাজ শুরু করবেন। আপনি একটাতে সফল হননি বলে আরেকটিতে হবেন না তা তো হতে পারে না! যে কাজটি আপনি শুরু করতে চান সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আর দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা যাবে না। সেই কাজ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করতে হবে। কাজটাকে ইবাদত মনে করতে হবে। তাহলে সফলতা আপনা থেকেই ধরা যাবে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা দেখি, কাজ শুরু করতে গিয়ে শুরুতেই অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকেন। তাহলে কাজটা ঠিকমতো হবে না। কাজের গতি আসবে না। কাজটা এলোমেলো হবে। কাজ এগোবে না। প্রথমেই আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। তারপর আটঘাট বেঁধে নামতে হবে। ধরুন, আপনি বিসিএস পরীক্ষা দেবেন। শুরুতেই আপনি যদি ভাবেন, আমি কি টিকতে পারব? লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী! তার মধ্যে নেবে মাত্র ৫০০ জন। এত এত মেধাবীর ভিড়ে আমার জায়গা হবে?
এসব ভাবনা শুরুতেই আপনার মনোবল ভেঙে দেবে। আপনার প্রস্তুতি কাজের শুরুতেই গলদ ঢুকে গেল। আপনি আর পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবেন না। শুরুতেই আপনাকে বলতে হবে, এবার বিসিএসে যদি একজনও নেয় তাহলে আমিই টিকব। আবার ধরুন, আপনি বুয়েট কিংবা মেডিকেলে ভর্তি হতে চান। সব ভালো ছাত্রেরই এই আকাঙ্ক্ষা থাকে। সারাদেশে ভালো রেজাল্টওয়ালা শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক! এখন আপনি যদি ভাবেন, আমার মতো লাখ লাখ শিক্ষার্থী আছে। তার মধ্যে আমি কি টিকতে পারব? এই নেতিবাচক ভাবনাটাই আপনার স্বপ্নকে শেষ করে দিতে সক্ষম।
আপনি ভাববেন, মেডিকেল বা বুয়েটে একজনও যদি ভর্তি হতে পারে; তাহলে কেবল আমিই হতে পারব। তাহলেই দেখবেন, আপনার পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যাবে। যারা এটা ভাবতে পারে না তারাই ব্যর্থ হয়। তারাই বলে, আমি জীবনে সফল হতে পারলাম না। এরাই মূলত ব্যর্থ হয়।
আসুন, আমরা জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবি। নতুন স্বপ্ন নিয়ে জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তুলি।
লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।
এসএন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে তুরস্কের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৫ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তুরস্কের গণমাধ্যম। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের বরাতে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরোয়ার্ড করা আপিলকে ‘না’ জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে না। সরকারের আইনগত অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সব কাজ আইনি কাঠামো অনুযায়ী করতে হবে। আইনকে বাইপাস করা, যে কোনো ক্ষেত্রেই একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি করে।
প্রতিবেদনে বলা আরও বলা হয়, ৭৮ বয়সী বেগম জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং উচ্চ লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
প্রতিবেদনে গত শনিবার ভয়েস অব আমেরিকায় প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন নেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে অবশ্যই কারাগারে ফিরে যেতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়ার দল অবশ্য তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে এবং খালেদা জিয়াকে তার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুপারিশ করেছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিদেশে একটি উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। কোভিড মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সরকার তাকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাড়িতে থাকা এবং দেশ ছেড়া যাবে না এই দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৮ এএম

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভারতের মেঘালয় রাজ্য। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনবার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত–মিয়ানমার সীমান্ত। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা।
আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি অনুভূত হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়।

কোভিড-১৯ টিকার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৫ এএম

চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতলেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্র ওয়াইজম্যান। সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।
১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।
চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।