সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জাতীয় পার্টিই হচ্ছে বিরোধী দল

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। এদের কারও কারও বিরোধী দলের নেতা হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তা হচ্ছে না। একাদশ সংসদের বিরোধী দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি। ১১টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও সে দলটিই বসতে যাচ্ছেন দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলের আসনে।

তবে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের অধিকাংশই বিরোধী দলে বসতে রাজি নন। তারা সরকারি দলের সঙ্গেই থাকতে চান। তাই জাতীয় পার্টিই ফের বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা কে হবেন সে বিষয়ে সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত জাপা এখনও স্পিকারকে জানায়নি। দলটি তাদের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানালে ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা ও হুইপদের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পাওয়ায় বিরোধী দলগুলোর মোট আসন ১৪টি। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে দুজন এমপি পাবে জাপা। তখন বিরোধীদের আসন হবে ১৬টি। স্বতন্ত্রদের চেয়ে জাতীয় পার্টি কম আসনে জয়ী হওয়ায় স্বতন্ত্র এমপিদের গ্রুপ গঠন করে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ ছিল।

তবে একাধিক স্বতন্ত্র এমপি জানান, তারা বিরোধী দলের এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেননি। দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় প্রধানের পরামর্শেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র এমপি হলেও তারা এখনও আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। তাই তারা বিরোধী দলের আসনে বসতে আগ্রহী নন। কারণ বিরোধী দলে গেলে স্থানীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে পারে। এতে আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হবে। স্বতন্ত্র ৬২ জন এমপির মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুই স্বতন্ত্র এমপি জোট গঠন করে বিরোধী দল হওয়ার আভাস দিলেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারাও জোট গঠনের বিষয়ে আর সামনে অগ্রসর হননি।

এ বিষয়ে বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথ জানান, বিরোধী দলে নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চান তিনি। তার মতে স্বতন্ত্র এমপিরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও দলের অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাই সরকারের সঙ্গে থেকেই সংসদে ভূমিকা রাখতে চান। শেরপুর-১ আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদে দুবারের হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিককে হারিয়ে স্বতন্ত্র এমপি হয়েছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেও বিরোধী দলে বসার জন্য এমপি হইনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সংসদে দায়িত্ব পালন করতে চাই। ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মাহমুদ হাসান সুমন জানান তিনিও বিরোধী দলে বসতে আগ্রহী নন।

সরকারের সঙ্গে থাকতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাপার প্রার্থী। তাই বিরোধী দলের সঙ্গে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেই উন্নয়নকাজ করতে চাই।

হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, স্বতন্ত্র জোটের বিষয়ে আগ্রহী নই। কারণ স্বতন্ত্র এমপি হলেও আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। তাই সংসদে বিরোধী দলের জোটে আমি থাকতে চাই না।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার গঠনে ন্যূনতম ১৫১ আসনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে কয়টি আসন থাকতে হবে সংবিধান ও সংসদ কার্যপ্রণালি বিধিতে তার কোনো উল্লেখ নেই। তবে কার্যপ্রণালি বিধিতে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ২ (১) (ট) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’

সে হিসেবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয়। তাই স্বতন্ত্র এমপিরা যেহেতু জোট গঠন করে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি এবং তাদের আগ্রহ না থাকায় শেষ পর্যন্ত জাপাই বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের আগেই এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ হবে।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ সময়ের আলোকে বলেন, দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি হচ্ছে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে থাকে। কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা গ্রুপবিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করবেন। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের। তবে এ ক্ষেত্রে সংসদ নেতার একটা মতামতও থাকে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা চাইলে বিরোধী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।

জাপা সূত্র জানায়, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অথবা মুজিবুল হক চুন্নুবিরোধী দলীয় উপনেতা হতে পারেন। জাপা সংসদীয় দল এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানালে সংসদ সচিবালয় থেকে তাদের পদমর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সময়ের আলোকে বলেন, স্বতন্ত্ররা সংখ্যায় বেশি হলেও কোনো দল নয়। তাই কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হবে।

সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেও ওই সংসদে কোনো বিরোধী দল বা বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন না। আর চতুর্থ সংসদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা আ স ম আবদুর রব সংসদের অন্য দলগুলোকে নিয়ে কম্বাইন্ড অপোজিশন পার্টিস (কপ) বা সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করেন। তখন তাদের দখলে ছিল ১৯টি আসন। কপ প্রথমে সংসদীয় গ্রুপের মর্যাদা লাভ করলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। পরে আরও ১৪ জনসহ মোট ৩৩ জন সংসদ সদস্য আ স ম আবদুর রবকে নেতা মেনে নিয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন পেশ করলে স্পিকার তাকে বিরোধী দলের নেতার স্বীকৃতি দেন।

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন