শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

জাতীয় পার্টিই হচ্ছে বিরোধী দল

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। এদের কারও কারও বিরোধী দলের নেতা হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তা হচ্ছে না। একাদশ সংসদের বিরোধী দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি। ১১টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও সে দলটিই বসতে যাচ্ছেন দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলের আসনে।

তবে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের অধিকাংশই বিরোধী দলে বসতে রাজি নন। তারা সরকারি দলের সঙ্গেই থাকতে চান। তাই জাতীয় পার্টিই ফের বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা কে হবেন সে বিষয়ে সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত জাপা এখনও স্পিকারকে জানায়নি। দলটি তাদের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানালে ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা ও হুইপদের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পাওয়ায় বিরোধী দলগুলোর মোট আসন ১৪টি। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে দুজন এমপি পাবে জাপা। তখন বিরোধীদের আসন হবে ১৬টি। স্বতন্ত্রদের চেয়ে জাতীয় পার্টি কম আসনে জয়ী হওয়ায় স্বতন্ত্র এমপিদের গ্রুপ গঠন করে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ ছিল।

তবে একাধিক স্বতন্ত্র এমপি জানান, তারা বিরোধী দলের এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেননি। দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় প্রধানের পরামর্শেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র এমপি হলেও তারা এখনও আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। তাই তারা বিরোধী দলের আসনে বসতে আগ্রহী নন। কারণ বিরোধী দলে গেলে স্থানীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে পারে। এতে আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হবে। স্বতন্ত্র ৬২ জন এমপির মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুই স্বতন্ত্র এমপি জোট গঠন করে বিরোধী দল হওয়ার আভাস দিলেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারাও জোট গঠনের বিষয়ে আর সামনে অগ্রসর হননি।

এ বিষয়ে বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথ জানান, বিরোধী দলে নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চান তিনি। তার মতে স্বতন্ত্র এমপিরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও দলের অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাই সরকারের সঙ্গে থেকেই সংসদে ভূমিকা রাখতে চান। শেরপুর-১ আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদে দুবারের হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিককে হারিয়ে স্বতন্ত্র এমপি হয়েছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেও বিরোধী দলে বসার জন্য এমপি হইনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সংসদে দায়িত্ব পালন করতে চাই। ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মাহমুদ হাসান সুমন জানান তিনিও বিরোধী দলে বসতে আগ্রহী নন।

সরকারের সঙ্গে থাকতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাপার প্রার্থী। তাই বিরোধী দলের সঙ্গে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেই উন্নয়নকাজ করতে চাই।

হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, স্বতন্ত্র জোটের বিষয়ে আগ্রহী নই। কারণ স্বতন্ত্র এমপি হলেও আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। তাই সংসদে বিরোধী দলের জোটে আমি থাকতে চাই না।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার গঠনে ন্যূনতম ১৫১ আসনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে কয়টি আসন থাকতে হবে সংবিধান ও সংসদ কার্যপ্রণালি বিধিতে তার কোনো উল্লেখ নেই। তবে কার্যপ্রণালি বিধিতে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ২ (১) (ট) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’

সে হিসেবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয়। তাই স্বতন্ত্র এমপিরা যেহেতু জোট গঠন করে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি এবং তাদের আগ্রহ না থাকায় শেষ পর্যন্ত জাপাই বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের আগেই এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ হবে।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ সময়ের আলোকে বলেন, দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি হচ্ছে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে থাকে। কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা গ্রুপবিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করবেন। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের। তবে এ ক্ষেত্রে সংসদ নেতার একটা মতামতও থাকে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা চাইলে বিরোধী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।

জাপা সূত্র জানায়, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অথবা মুজিবুল হক চুন্নুবিরোধী দলীয় উপনেতা হতে পারেন। জাপা সংসদীয় দল এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানালে সংসদ সচিবালয় থেকে তাদের পদমর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সময়ের আলোকে বলেন, স্বতন্ত্ররা সংখ্যায় বেশি হলেও কোনো দল নয়। তাই কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হবে।

সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেও ওই সংসদে কোনো বিরোধী দল বা বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন না। আর চতুর্থ সংসদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা আ স ম আবদুর রব সংসদের অন্য দলগুলোকে নিয়ে কম্বাইন্ড অপোজিশন পার্টিস (কপ) বা সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করেন। তখন তাদের দখলে ছিল ১৯টি আসন। কপ প্রথমে সংসদীয় গ্রুপের মর্যাদা লাভ করলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। পরে আরও ১৪ জনসহ মোট ৩৩ জন সংসদ সদস্য আ স ম আবদুর রবকে নেতা মেনে নিয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন পেশ করলে স্পিকার তাকে বিরোধী দলের নেতার স্বীকৃতি দেন।

Header Ad
Header Ad

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত একটি বিদেশি জঙ্গি চক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত নিরাপত্তা অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল।

মন্ত্রী জানান, সেলাঙ্গর ও জোহর রাজ্যে ২৪ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তিনটি ধাপে পরিচালিত সমন্বিত অভিযানে এই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে মামলা চলমান রয়েছে, যা শাহ আলম ও জোহর বাহরুর সেশন কোর্টে বিচারাধীন। অপরদিকে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনের বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা শাখার তথ্যমতে, এই চক্র ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং তারা সেই চরমপন্থী চিন্তাধারা মালয়েশিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ভিত্তি গড়ে তোলা, চরমপন্থী ভাবধারা প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং নিজ দেশে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সহায়তা করা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন সাফ জানিয়ে দেন, “মালয়েশিয়াকে কেউ জঙ্গি তৎপরতার ঘাঁটি কিংবা ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে, কঠোরভাবে দমন করা হবে। মালয়েশিয়া কখনোই চরমপন্থীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে দেবে না।”

তিনি বলেন, এই সফল অভিযান মাদানি সরকারের দৃঢ় অবস্থান এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় শূন্য সহনশীলতার প্রমাণ। একইসঙ্গে, দেশি-বিদেশি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনটে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম হিরো আলম ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় হিরো আলমকে অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৩টার দিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগরের বাড়িতে বেড়াতে যান হিরো আলম। সেখানেই রাতে দুই বন্ধু আলাদা কক্ষে ঘুমাতে যান। পরদিন শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে না উঠতে দেখে জাহিদ তাকে ডাকতে গেলে তার পাশেই ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখতে পান। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, হিরো আলম ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার স্বজনরা স্থানান্তরে আপত্তি জানান। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।

বন্ধু জাহিদ হাসান বলেন, “হিরো আলম আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, বারবার বলছিলেন মানুষ তাকে অপমান করে, বিরক্ত করে। রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশাও ছিল। আমার ধারণা, সেই মানসিক চাপ থেকেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।”

এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি ফয়জুল আলম বলেন, “ঘুমের ওষুধ সেবনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, পারস্পরিক লাভজনক সংলাপের অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা গঙ্গাসহ একে অপরের সঙ্গে ৫৪টি নদীর পানি ভাগাভাগি করি। এসব নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) রয়েছে। শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচার, সমমর্যাদা এবং পারস্পরিক চাওয়ার ভিত্তিতেই ভারতে সংশোধিত বাণিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এসব বিষয়ের সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে ভারত। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগেও বহুবার গঠনমূলক বৈঠকে আলোচনা করেছি, এমনকি সচিব পর্যায়েও।

ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গা মন্দির ধ্বংস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কট্টরপন্থিরা সেখানে একটি মন্দির ভাঙার দাবি তুলেছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে উল্টো অবৈধ জমি ব্যবহারের যুক্তিতে সেটি ভাঙার অনুমতি দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত হতাশ যে, বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের সম্পত্তি ও উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারেরই দায়িত্ব।

প্রতিবেশী অঞ্চলের ওপর ‌নিবিড় নজর রাখছে ভারত। চীনের কুনমিং শহরে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের খবর প্রকাশের পর ভারত জানিয়েছে, তারা প্রতিবেশী অঞ্চলের ওপর ‌‘নিবিড় নজর রাখছে’। বৃহস্পতিবার ওই সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ওই বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘নিজের অবস্থানে’ দাঁড়িয়ে আছে। তবে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিও বিবেচনায় নেওয়া হয়।

১৯ জুন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। চীনের কুনমিংয়ে ‘নবম চায়না-সাউথ এশিয়ান এক্সপজিশন অ্যান্ড দ্যা সিক্সথ চায়না-সাউথ এশিয়া কো-অপারেশন’ শীর্ষক বৈঠকের সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আশপাশের অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহে আমরা সবসময় নজর রাখি। কারণ এগুলো আমাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত। প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, তা আলাদা আলাদা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত