শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারকে সহায়তা, হামলাকারীদের বিচারসহ একাধিক বিষয়ে অবহেলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল’ গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেলটির কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।

এই সেলটির সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন হাসান ইনাম। তার অধীনে চারটি সাব-সেল গঠন করা হয়েছে।

আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল চারটি সাব-সেলে ভাগ হয়ে কাজ করবে। ১. আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ক টিম, ২. জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন বিষয়ক টিম, ৩. বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ লক্ষ্যে গঠিত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের টিম, ৪. শহীদী স্মারক নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত টিম। প্রত্যেক সপ্তাহে একবার প্রত্যেকটি সাব-সেল তাদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে কাছে সেল সম্পাদকের কাছে রিপোর্ট প্রদান করবে। মাসে একবার প্রেস কনফারেন্স করে দেশবাসীর সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেলের কাজের আপডেট দিতে হবে।

এরমধ্যে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ক টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. হাসান আলী (শহীদ আরাফাতের ভাই), ০২. ইয়াছিন মিয়া (আহত যোদ্ধা), ০৩. আমানুল্লাহ ফারাবী (আহত যোদ্ধা), ০৪. রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, ০৫. নাফিসা ইসলাম সাকাফি, ০৬. আনিসুর রহমান, ০৭. রবিউস সানি শিপু, ০৮. মাহমুদুল হাসান মঈন, ০৯. হুজাইফা সম্রাট, ১০. আলী আব্বাস শাহিন, ১১. আব্দুল বাসেত, ১২. শাকিল আলী, ১৩. আবুল কাশেম ওভি, ১৪. মো: মেহেদি হক মামুন, ১৫. সাইদুর রহমান শাহিদ, ১৬. সুমন বসুনিয়া, ১৭. আশা তালুকদার, ১৮. তাহমিনা আক্তার মিম, ১৯. সালোয়া আক্তার এ্যানি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন বিষয়ক টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. স্মৃতি আফরোজ সুমি, ০২. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ০৩. সালমান সা'দ, ০৪. অদ্বিতীয়া মুকুল, ০৫. আব্দুল্লাহ আরিয়ান, ০৬. শেখ ফাহিম ফয়সাল, ০৭. দোলা ইসলাম, ০৮. তানভীর ইসলাম অসি, ০৯. রিদওয়ান মুহসীন, ১০. তৌহিদুল ইসলাম ভূঞা, ১১. মো: সাইদুর রহমান সোহাগ, ১২. ওয়াসিমুল হাসান শাতিল, ১৩. মুঈনুদ্দিন গাউছ, ১৪. শাহাদাত হোসেন, ১৫. মো: সজিব হোসাইন, ১৬. আর্ফিয়াস আল দ্বীন।

বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ লক্ষ্যে গঠিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. ফারদীন হাসান আন্তন, ০২. নোমান বিন হারুন, ০৩. জহিরুল ইসলাম, ০৪. আরিফুল ইসলাম বিজয়, ০৫. জাকি হাসান ইফতি

শহীদী স্মারক নির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত টিমের সদস্যরা হলেন- ০১. মো: রাঈদ হোসেন, ০২. এস আই শাহিন, ০৩. মনিরুজ্জামান মাজেদ, ০৪. ফারহান হাসান বর্ণ, ০৫. হৃদয় সজন, ০৬. তাজহারুল ইসলাম, ০৭. দেলোয়ার হোসেন, ০৮. সাখাওয়াত হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে এই সেলের কর্মপরিধি ও পরিকল্পনা ঘোষণা করেন আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ ও শহীদ পরিবারের দেখভাল করার কাজে নিয়োজিত কমিটি বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ; শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোজ খবর নেওয়া এবং সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকা; আর্থিক সাহায্য অপ্রাপ্ত আহত যোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের তালিকা করে আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তির কাজে সহযোগিতা করা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রের অন্যান্য অংশের সাথে সমন্বয় করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

আরিফ সোহেল বলেন, ডকুমেন্টেশন টিমটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা, শহীদ বীরগণ এবং অভ্যুত্থান চলাকালীন বিভিন্ন সাহসী গল্প সংগ্রহ এবং সংকলনের কাজে নিয়োজিত থাকবে। বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়া, মামলা রুজু করাসহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে অন্যান্য আইনী কাজে পরামর্শ প্রদান এবং সহযোগিতার জন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমটি কাজ করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাখার জন্য সারাদেশে আন্দোলনের মূল পয়েন্টে শহীদী স্মারক নির্মাণ করবে।

সেল গঠনের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন, তাদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং অন্যান্যরা কাজ করবেন। এ ব্যাপারে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই অপ্রতুল। বিভিন্ন কারণে আহত যোদ্ধা ও শহীদ ভাইবোনদের আমরা গুরুত্ব দিতে পারছি না। অথচ তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানের যে ঘটনাবলি-আন্দোলন কীভাবে আন্দোলন দানা বাঁধল, কীভাবে তা চূড়ান্ত পরিণতির দিকে পৌঁছালে ব্যাপারে যথাযথ নথিবদ্ধকরণ আমরা দেখছি না। কিছু আর্কাইভের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহায়তা করা হচ্ছে না। এছাড়াও গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারী রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিচার, এবং এর আগে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে ‘ম্যাসাকারের’ বিচারে আমরা শ্লথ গতি দেখেছি।

এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানের আদর্শকে ধারণ করতে শহীদ মিনার, স্মৃতি ফলকসহ যেসব স্মরণীয় উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল, তা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এ ধরনের একটি সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি।

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন

ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২৮ জনে, মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ হাজার ৫১৯ জন।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন