শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সামনে থাকা সাত মাসকে ‘নির্ধারণমূলক সময়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সময়টাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে হয় ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেবে, নয়তো পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি করবে।

শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে বন্দরের পণ্য ধারণক্ষমতা বাড়বে ৭.৮৬ মিলিয়ন টিইইউ পর্যন্ত, যা বাস্তবায়িত হলে দেশের রপ্তানি-ভিত্তিক অর্থনীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছাড়া এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তার ভাষায়, “সফল হলে, এই অংশীদারিত্ব বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাবে: বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত।”

বিশ্বের রপ্তানিনির্ভর অর্থনৈতিক ইতিহাস প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রেটন উডস চুক্তি ও পরবর্তী সময়ে গঠিত ডব্লিউটিও-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। এই শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এ দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও এখন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এসেছে। “আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারবো?”—এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শফিকুল আলম মনে করেন, রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে। আশাব্যঞ্জক দিক হিসেবে তিনি বলেন, এমনকি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এখন ব্যবসাবান্ধব মনোভাব গড়ে উঠছে।

তবে এই সম্ভাবনার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন লজিস্টিক বা পরিবহন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে। তার মতে, “বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহণের সক্ষমতা শিগগিরই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে, বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়—সে স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়বে।”

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা: পাকিস্তানে বিদেশি ঋণ বন্ধে ভারতের তদবির

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার জেরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হয়েছে। এর মধ্যেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) ঋণ বন্ধে তদবির শুরু করেছে ভারত। ২ মে (শুক্রবার) রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নয়াদিল্লির একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ পর্যালোচনার অনুরোধ করা হয়েছে আইএমএফের কাছে।

গত সপ্তাহে কাশ্মীরের পর্যটনস্থলে হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত তিনজন হামলাকারীকে সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করে, তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়।

এই ঘটনার জেরে ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যা পাকিস্তানের প্রবল প্রতিক্রিয়া ডেকে আনে। এছাড়া, উভয় দেশই একে অপরের বিমান সংস্থার জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়, যা কূটনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

রয়টার্সের তথ্যমতে, পাকিস্তান গত বছর আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার এবং চলতি বছর মার্চে আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহনশীলতা ঋণ পেয়েছে। এসব ঋণ পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

তবে নয়াদিল্লি চায় না পাকিস্তান এই ধরনের বিদেশি সহায়তা পাক। তাই ভারতের পক্ষ থেকে আইএমএফে পাকিস্তানের ঋণ কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও আইএমএফ বা ভারতের অর্থমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা খুররম শেহজাদ। তিনি বলেন, “আমরা প্রায় ৭০টি বৈঠক করেছি। সবদিক থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং অর্থনীতির উন্নতির সাথে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বাড়ছে।”

এদিকে ক্রমবর্ধমান এই সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, “আমরা আশা করি ইসলামাবাদ এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।”

Header Ad
Header Ad

ভারতে আতঙ্কে কাশ্মীরিরা: বাড়ছে হয়রানি, মারধর ও ধরপাকড়

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বর্তমানে ভয়াবহ সময় পার করছেন কাশ্মীরিরা। পাহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে কাশ্মীরিদের ওপর চড়াও হয়েছে হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো। হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপালেও, এর জেরেই কাশ্মীরি সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে অব্যাহত হয়রানি, লাঞ্ছনা ও সহিংসতা।

মুসৌরিতে পশমিনা শাল বিক্রেতা শাবির আহমেদ দার ও তার সহকর্মীকে প্রকাশ্যে মারধর ও অপমান করা হয়। তাদের স্টল ভাঙচুর করা হয় এবং শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দারের ভাষায়, “আমার হাজার হাজার ডলার মূল্যের মালপত্র পড়ে রয়েছে, কিন্তু আমরা এতটাই ভীত, ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছি না।”

হামলাকারীদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অনেক কাশ্মীরি ব্যবসায়ী, যারা বহু বছর ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন, এখন নিরাপত্তাহীনতায় এলাকা ছাড়ছেন।

অন্যদিকে, কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। পাঞ্জাবের এক কাশ্মীরি ছাত্রী উম্মত শাবির জানান, “আমার সহপাঠীকে কেবল কাশ্মীরি হওয়ায় ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের বেরিয়ে আসতেই হলো।”

কাশ্মীরে ফের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ, সেনা মোতায়েন এবং সন্দেহভাজনদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহ নিরপরাধ মানুষদের ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা সরকারকে সতর্ক করে বলছেন, সন্ত্রাসী ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরিদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। “উত্তেজনা বাড়লেই আমরা প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হই”—বিবিসিকে বলেন এক কাশ্মীরি শিক্ষার্থী।

Header Ad
Header Ad

গণমাধ্যম নিয়ে কেউ চাপাচাপি করছে না: শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

মানুষ এখন মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন, এমনকি গালিও দিচ্ছেন—কাউকে কিছু বলা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “আমরা কোনো কলম ভাঙিনি, কোনো প্রেসে তালা দেইনি। কোনো সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি হলে গণমাধ্যম অফিসের সামনেই প্রতিবাদ করুন।”

শুক্রবার (২ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, “মানুষ এখন ভিডিও দেখে, নিউজ পড়ে না। এই সুযোগে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, যা সমাজ ও রাজনীতিতে সংঘাত সৃষ্টি করছে। সামনে নির্বাচন, গণমাধ্যমকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”

তিনি জাতিসংঘকে ১৫ বছরের সাংবাদিকতার মান নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির আহ্বান জানান। বিশেষ করে তিনটি জাতীয় নির্বাচন, যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের প্রস্তাব দেন।

আলোচনা সভায় চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “এটি গুরুতর বিষয়। তদন্ত করে সত্য উদঘাটন জরুরি। প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত।”

অনুষ্ঠানে ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকদের হাত-পা বাঁধতে ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই আইন বাতিল করবে।” তিনি জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে সরকার এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষাবিদরা। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা: পাকিস্তানে বিদেশি ঋণ বন্ধে ভারতের তদবির
ভারতে আতঙ্কে কাশ্মীরিরা: বাড়ছে হয়রানি, মারধর ও ধরপাকড়
গণমাধ্যম নিয়ে কেউ চাপাচাপি করছে না: শফিকুল আলম
নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ
ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
দেওয়ানি-ফৌজদারি পৃথক আদালত স্থাপনে সুপ্রিমকোর্টের চিঠি
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ
এনসিপির সমাবেশে ‘জুলাই আহতরা’ সামনের সারিতে, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি
রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ কাল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যাপক প্রস্তুতি
বনানীতে বেপরোয়া গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল পথচারীর, আহত ২
দিনাজপুরে ২ কৃষককে নিয়ে গেছে বিএসএফ, পাল্টা ২ ভারতীয়কে ধরে আনলো গ্রামবাসী
দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক হওয়া উচিত: তারেক রহমান
দুই পুত্রবধূকে নিয়ে সোমবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
পারমিট ছাড়া হজ নয়, ভিজিট ভিসায় হজে অংশ নিলে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা
পেপারলেস পদ্ধতিতে ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধন শুরু
নির্দেশনা মানেননি পাইলট, বিমানের ঢাকার ফ্লাইট বাধ্য হয়ে নামলো সিলেটে
পাকিস্তানের সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প