ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত মাদকচক্র, আসামির স্বীকারোক্তি

এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে মাদকচক্রের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এসেছে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তিতে। ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্যকে গত ১৩ মে রাতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
হামলার পরপরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন তার বড় ভাই শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রথম দফায় মো. তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে মো. রিপন, সোহাগ, হৃদয় ইসলাম, রবিন ও সুজন সরকারকে আটক করা হয়।
২৬ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে রিপন দেওয়া জবানবন্দিতে জানায়, সাম্যকে ‘সুইচ গিয়ার’ ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয় এবং এই হত্যাকাণ্ডে দুটি মাদকচক্র সরাসরি জড়িত। পাঁচ থেকে সাতজন হামলায় অংশ নেয়, যার মধ্যে দুজন ছুরিকাঘাত করে এবং বাকিরা পাহারায় ছিল। হত্যার পর রিপন নিজেই মূল হামলাকারীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটে পৌঁছে দেন, যেখান থেকে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং পরে কক্সবাজারে পালিয়ে যায়।
সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে, যা গত ২৬ মে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে উপাচার্য জানিয়েছেন, প্রতিবেদন সিন্ডিকেট সভায় উন্মোচন করা হবে।
এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সকালে ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আটজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
