ই-মেইল পাঠিয়ে পিলখানা তদন্ত কমিশনে সাক্ষ্য দিলেন নানক-আজম

ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত তদন্তে ই-মেইলের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “দুইজন পালিয়ে থাকা রাজনীতিক ই-মেইলে আমাদের কাছে লিখিতভাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। একজন হলেন মির্জা আজম এবং অন্যজন জাহাঙ্গীর কবির নানক। আমরা তাদের দেওয়া তথ্য ও বক্তব্য পর্যালোচনা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে কমিশন প্রধান আরও জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ভয়াবহ বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত চলছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্তত ১৪ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরাসরি সাক্ষ্য গ্রহণের সুযোগ হয়নি। তবে আমরা তাদের সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে এখনো আশাবাদী। কেউ ই-মেইলে সাক্ষ্য দিতে চাইলে তাও গ্রহণযোগ্য।”
তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ই-মেইলে দেওয়া এই সাক্ষ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হবে।
কমিশন সূত্র বলছে, বিডিআর বিদ্রোহে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ও গোপনতার আবর্তে থাকা এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে গভীরভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
