সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত সংকট আরো ঘনীভূত করবে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনীতিক ও কূটনীতিক সংকটকে আরো ঘনীভূত করে তুলবে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর সর্বজনীন অনাস্থা ও বিশ্বাসহীনতা বিরাজমান। পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশনের অধীনে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ ও বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি একটি নজিরবিহীন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে যেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত ভোটের প্রচার ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি তথা সভা-সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি না দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি একটি তথাকথিত নির্বাচনের নামে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ডামি নির্বাচন আয়োজনের যে অপপ্রয়াস, সেটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেই অথর্ব ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন জনবিদ্বেষী সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। প্রকারান্তরে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর কেন সর্বজনীন অনাস্থা ও বিশ্বাসহীনতা বিরাজমান। সর্বাঙ্গীনভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশনের অধীনে কেন কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার দ্বারা আদিষ্ট হয়ে, গণতন্ত্রকামী জনগণের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে গিয়ে, নির্বাচন কমিশনের এই দুরভিসন্ধি একাধারে অনৈতিক, অবৈধ ও অসাংবিধানিক। জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে দমিয়ে রাখতে, দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের ভয়াবহ দুর্গতির মধ্যে নীল-নকশার এই অন্যায় পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পক্ষের সকল শক্তি ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাচ্ছে। ইতিপূর্বে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলসমূহকে নিবন্ধন ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়, তথাকথিত রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করে নির্বাচনকে কিঞ্চিৎ অংশগ্রহণমূলক দেখানোর যে অপকৌশল এবং সেটিকে বৈধতা প্রদানে দেশি-বিদেশি ভাড়াটে পর্যবেক্ষক এনে দেশবাসীর সঙ্গে যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের এই যৌথ প্রতারণা জাতির সামনে সুস্পষ্টভাবে উম্মোচিত হয়েছে।

রিজভী বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন একটি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সভা-সমাবেশ ব্যাহত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও দাবি আদায়ের সংগ্রামের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, আমরা আশা করছি, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এটি প্রত্যাহার করবেন।

তিনি বলেন, কারসাজির মাধ্যমে ভোটারবিহীন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন তথাকথিত নির্বাচনে, পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার লক্ষ্যে, নামস্বর্বস্ব নানা দলের সঙ্গে যেভাবে আসন নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করছে আওয়ামী লীগ, একতরফা সেই নির্বাচন আয়োজনের নৈতিক, সাংবিধানিক ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনী অপপ্রয়াসকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। ভোটে অংশগ্রহণ করা বা না করা, দুটি সিদ্ধান্তই দেশের প্রতিটি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক বিশ্বের সকল দেশে, সকল সমাজে, ব্যক্তিগত ও দলীয় এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো হয়, সেটিই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে, জনগণের সমর্থনকে শক্তি হিসেবে ধারণ করে, বিএনপি কখনোই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে নয়।

বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের দ্বারা সংঘটিত চলমান সর্বগ্রাসী সহিংসতা ও বিভাজিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, যে নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক বা অংশগ্রহণমূলক করবার ন্যূনতম পরিবেশও সৃষ্টি করেনি নির্বাচন কমিশন, জাতির সাথে প্রতারণামূলক সেই উদ্যোগে ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্বাচন কমিশন কি অর্জন করতে চাচ্ছে, সেটি নিয়েও আজ জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাগরিকা বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফুডস (প্রা.) লিমিটেড-এর ৩১ একর জমি এবার নিলামে তুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সোমবার (১২ মে) ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখা স্থানীয় একটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন কারখানা ও জমি বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কর্ণফুলী ফুডস গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফাসহ মোট ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এই ঋণ আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ একর ৬০ শতক জমি ও কারখানা নিলামে তোলা হয়েছে, যা ৪৩টি আলাদা তপসিলে বিভক্ত। উল্লেখযোগ্য যে, জমির মধ্যে পুকুর, নালা এবং কিছু খাস জমিও রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন পটিয়ার কেলিশহর ইউনিয়নের মো. রহিম উদ্দিন চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন ইসলামিয়া ম্যানসন এলাকার নজরুল ইসলাম। যদিও কর্ণফুলী ফুডসের নামে এই বিনিয়োগ দেওয়া হলেও, ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এটি আসলে এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠান। ওই ঋণ অনুমোদনের সময় অনিয়ম ও চাপে স্বাক্ষর না করায় ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বদলি ও চাকরিচ্যুত হন বলেও জানা গেছে।

এর আগেও এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জমি নিলামে তোলে ইসলামী ব্যাংক। ২০ এপ্রিল প্রায় ৯,৯৪৮ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে তাদের একটি চিনিকল ও ১১ একর জমি নিলামে ওঠে। এরপর ২৭ এপ্রিল স্টিল মিল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ভোজ্যতেল কারখানাসহ ১১৪৯ শতাংশ জমির বিপরীতে ২,১৮০ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে নিলাম ডাকা হয়। একইভাবে, ৮২ কোটি টাকা খেলাপি আদায়ে আরও দুটি কোম্পানির সম্পদও নিলামে তোলে ব্যাংকটি।

এস আলম গ্রুপকে ঘিরে ধারাবাহিক ঋণ বিতরণ, বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগ গ্রহণ, এবং পরিশোধে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক বলছে, আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এসব ঋণ আদায়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ রাখলেন না। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর কোহলিও সামাজিকমাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।

গত বুধবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি সমাজমাধ‍্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কোহলিও একই পথে হাঁটলেন। ১২৩টি টেস্টে ৯,২৩০ রান রয়েছে কোহলির। গড় ৪৬.৮৫। শতরান ৩০টি, অর্ধশতরান ৩১টি। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি।

সমাজমাধ্যমে কোহলি লিখেছেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারাজীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’

লাল বলের ক্রিকেটে তিনি যে আর খেলতে ইচ্ছুক নন, এ কথা বোর্ডকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু বোর্ডের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য। কোহলি রাজি হননি।

গত অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই টেস্ট থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন কোহলি। ওই সফরে প্রথম টেস্টে শতরান করলেও বাকি সিরিজ়ে ব‍্যর্থ হন তিনি। কিন্তু তিনি যতই খারাপ ফর্মে থাকুন, বোর্ড চেয়েছিল ইংল্যান্ড সফরে তিনি যান। কারণ, রোহিতের পর কোহলিকেও যদি কঠিন এই সফরে না পাওয়া যায়, তা হলে ভারতীয় ব‍্যাটিং অনেকটাই অনভিজ্ঞ হয়ে পড়বে। সেই কারণেই বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল এখনই টেস্ট ক্রিকেট না ছাড়তে। কিন্তু কোহলি শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন। রোহিতের মতো তিনিও বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন না।

দেশের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলে কোহলি করেছেন ৯২৩০ রান। গড় ৪৬.৮৫। ৩০টি শতরান এবং ৩১টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৯ সালে পুণেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন অপরাজিত ২৫৪ রানের ইনিংস, যা টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

 

Header Ad
Header Ad

ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা: মোদির হুঁশিয়ারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা ১৯ দিন উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও প্রাণঘাতী হামলার পর অবশেষে গত শনিবার যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে দুপক্ষ। কিন্তু শান্তির আবরণে লুকিয়ে থাকা উত্তেজনা এখনও বহাল, বরং নতুনভাবে চেহারা নিচ্ছে সামরিক হুঁশিয়ারির।

এমন প্রেক্ষাপটেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সেনাবাহিনীকে দিয়েছেন সবচেয়ে কড়া বার্তা—"ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা", অর্থাৎ ওদিক থেকে যদি গুলি আসে, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।

উত্তেজনার সূত্রপাত ২২ এপ্রিল, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় জঙ্গি আক্রমণ। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় নয়াদিল্লি একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা।

জবাবে ইসলামাবাদও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়—সিমলা চুক্তি স্থগিত করে, ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করে। এরপর থেকেই সীমান্তজুড়ে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে, পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ, ড্রোন হামলা এবং বিমানবাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটে উভয়পক্ষেই।

চরম উত্তেজনার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা করেন, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টানা আলোচনায় বসেন। অবশেষে দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভবিষ্যত আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়।

যদিও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ, তবুও ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনও চলমান, এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তব রূপ এখন থেকে আরও দৃঢ় হবে। সরকারি সূত্রের ভাষায়, পাকিস্তান থেকে আসা প্রতিটি হুমকির জবাব এবার পাল্টা হুমকিতে নয়, পাল্টা আগ্রাসনে দেওয়া হবে।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও আরও কঠোর। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না। একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে। এই বক্তব্য ভারতের নীতিগত অবস্থানের বড় একটি ইঙ্গিত।

বর্তমানে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংলাপ চালাতে আগ্রহী নয়। শুধু মাত্র সেনাবাহিনীর ডিজিএমও (Director General of Military Operations) স্তরে সীমিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে, যা শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি রক্ষার জন্য। ভারতের মতে, আলোচনার আর কোনও বাস্তবিক ভিত্তি এখন নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ
ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা: মোদির হুঁশিয়ারি
বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
‘অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর একটিও গুমের ঘটনা ঘটেনি’
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত
এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি
এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ
যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী