শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। তবে যে সংস্কার দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনটি ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না।” বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। “নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচনই হতে পারে, অন্য কিছু নয়। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আমরা চাই, তবে সেটা মানুষের জন্য উপকারী হোক।”

তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন না হওয়ার জন্য নানা শর্ত আরোপ করেছে। “যারা বলছেন, যদি এমন না হয়, তাহলে নির্বাচন হবে না; তাদের এমন কথায় নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে সময়ের ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী হতে হবে।”

মির্জা আব্বাস তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান নিয়েও কথা বলেছেন। “২০ বছর আগে যার সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম, আজ তিনি অনেক পরিণত। এখন তার মধ্যে একটি ম্যাচুরিটি এসেছে, যা অনেকেই স্বীকার করছেন,” বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “যারা দেশের বাইরে থেকে নিন্দা করছেন, তারা আসুন, আমাদের সাথে রাজনীতি করুন। যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের কথা শুনে আমাদের কোনো লাভ নেই।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্ট দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। “এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জাতির বিবেক এখনও জীবিত, এবং এই ধরনের ক্ষতিকর প্রচার কোনোভাবেই সফল হবে না।”

নির্বাচন ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা এখন দুর্বল, ধসে পড়েছে। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা যাবে না।”

এছাড়া, সরকার দলের কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট হিসেবে কিছু ব্যক্তি এখন সরকারী পদে আছেন। তারা আপনার সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, সাবধান থাকতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তার প্রতিবেদন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এ কর্মসূচি সফল করতে শুক্রবার (২ মে) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, “নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী, ইসলামের বিরুদ্ধে এবং মুসলমানদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত। এই কমিশন সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।” তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।”

বক্তারা দাবি করেন, এই কমিশনের মাধ্যমে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাবের কাশেমী বলেন, “আগামীকালের সমাবেশ নারীবিরোধী নয় বরং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সম্মান ও ন্যায়ের পক্ষে। ইসলাম নারীকে যে মর্যাদা দিয়েছে, তা অন্য কোনো ব্যবস্থা দিতে পারেনি।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মুফতি আজহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু তাহের খান, মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীসহ অনেকে।

হেফাজতের ঘোষিত চার দফা দাবি হলো:

১. নারী সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল;

২. সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনর্বহাল;

৩. হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার এবং ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরসহ অন্যান্য ‘গণহত্যার’ বিচার;

৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ।

Header Ad
Header Ad

ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ অচিরেই শেষ হচ্ছে না। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই নির্মম যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাশিয়া ও ইউক্রেনকেই। এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এই দুই দেশকে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।

তার এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ সম্পদের মুনাফা ভাগাভাগির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ভবিষ্যতে নিরাপত্তা সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ থেকে লভ্যাংশ গ্রহণ করবে।

সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনবাসীর ক্ষোভ স্বাভাবিক, কারণ তাদের দেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে। তবে তিনি প্রশ্ন রাখেন—“আমরা কি কিছু মাইল ভূমির জন্য হাজার হাজার সেনা হারিয়ে যেতে দেব?”

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেন হয়তো ক্রিমিয়া রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হতে পারে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী ক্রিমিয়া রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা কমিয়ে আনবেন।

Header Ad
Header Ad

দেওয়ানি-ফৌজদারি পৃথক আদালত স্থাপনে সুপ্রিমকোর্টের চিঠি

ছবি: সংগৃহীত

দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুযায়ী পৃথক আদালত স্থাপন এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিউজ আপডেট ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগকে আরও কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে কার্যক্রম চলছে। এরই অংশ হিসেবে এক বেঞ্চ সহকারীকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের হেল্পলাইন সেবা চালুর পর থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশ থেকে মোট ২০২৬টি কল এসেছে। এর মধ্যে ১০৬৮টি ছিল আইনি পরামর্শ গ্রহণ সংক্রান্ত এবং ৭৭১টি বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য করা হয়। হেল্পলাইনের সাফল্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা আদালতেও আলাদা হেল্পলাইন চালু হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৪’-এর খসড়ার পরিবর্তে নতুনভাবে ‘সুপ্রিমকোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি চিঠিতে বলা হয়, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অধীন অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে পালনের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এ উদ্যোগে ইতিবাচক সহযোগিতা করেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রস্তুতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে গণসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ
ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
দেওয়ানি-ফৌজদারি পৃথক আদালত স্থাপনে সুপ্রিমকোর্টের চিঠি
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ
এনসিপির সমাবেশে ‘জুলাই আহতরা’ সামনের সারিতে, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি
রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ কাল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যাপক প্রস্তুতি
বনানীতে বেপরোয়া গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল পথচারীর, আহত ২
দিনাজপুরে ২ কৃষককে নিয়ে গেছে বিএসএফ, পাল্টা ২ ভারতীয়কে ধরে আনলো গ্রামবাসী
দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক হওয়া উচিত: তারেক রহমান
দুই পুত্রবধূকে নিয়ে সোমবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
পারমিট ছাড়া হজ নয়, ভিজিট ভিসায় হজে অংশ নিলে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা
পেপারলেস পদ্ধতিতে ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধন শুরু
নির্দেশনা মানেননি পাইলট, বিমানের ঢাকার ফ্লাইট বাধ্য হয়ে নামলো সিলেটে
পাকিস্তানের সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর হামলা, নিহত আরও ৩১ ফিলিস্তিনি
উত্তরায় হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, ৮ নারী ও ৯ পুরুষ আটক
রিয়াজ-ফেরদৌস-চঞ্চল-শাওনসহ ১৪ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা