বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা

২ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজ নির্মাণের কাজ

দুই বছরেও শেষ হয়নি টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ব্রিজ নির্মাণের কাজ। এতে চরম দুর্ভোগ পোঁহাচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণসহ ব্রিজ ব্যবহারকারীরা। চরম ভোগান্তি সত্ত্বেও প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহসও পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। অন্যদিকে, ব্রিজ নির্মাণ কাজের সময় শেষ হলেও ৩ বছর সময় নির্ধারণ রয়েছে বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

এমন জনদুর্ভোগ সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে নীরব ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের বেগুনটাল খালে নির্মাণাধীন ওই ব্রিজের কাজটি করছেন মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা দুই বারের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান।

জানা যায়, বাসাখানপুর বাজার হুগড়া ইউপি ভায়া বেগুনটাল বাজারের খালের উপর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান এর নামকরণে ও ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৭৫ টাকা ব্যায়ে ৫০ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজের টেন্ডার দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) টাঙ্গাইল। ব্রিজ নির্মাণের কাজটি পান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ৫ জুলাই নির্মাণ কাজ শুরু আর ২০২১ সালে ৪ এপ্রিল সমাপ্তির সময়সীমাও বেঁধে দেয় এলজিইডি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেগুনটাল ব্রিজটি নির্মাণে দীর্ঘ সময় লাগায় চরম সমস্যায় রয়েছেন তারা। এই ব্রিজ হয়ে যমুনা নদী পথে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর, টাঙ্গাইলের কাকুয়া ও কাতুলী ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জসহ এ ইউনিয়নের পূর্ব হুগড়া, চক গোপাল, সাতানি হুগড়া, ধুলবাড়ী, কচুয়া, বারবয়লা, মহেশপুর, গইরাগাছা, মালতিপাড়া, আনাহলা, চিনাখালী, গন্ধবপুর, বইরাপাড়া, ভাঙ্গাবাড়ী, নরসিংহপুর, গোপাল কেউটিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ পথে যাত্রীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রিজটি নির্মিত না হওয়ায় রীতিমত বন্ধ রয়েছে ট্রাক,বাসসহ বিভিন্ন ধরণের বড়গাড়ী পারাপার। চলাচলে সুবিধায় ব্রিজের নিচে বিকল্প পথ হিসেবে করা হয়েছে ডাইবেশন। ওই ডাইবেশন দিয়ে সিএনজি, ব্যাটারী চালিক অটোরিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল আর পায়ে হেটে মানুষ চলাচল করতে পারছেন।

তবে ডাইবেশনটি মূল সড়ক থেকে অনেকটা নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে পানিতে ডুবে যাওয়াসহ সুষ্ক মৌসুমে পারাপারে চরম সমস্যা পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। ওই ডাইবেশন দিয়ে পারাপারে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধ পথচারীসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় ডাইবেশনে মাল বোঝাই ভ্যান নিয়ে আটকে পরা চালককে পথচারীদের সহযোগিতা করতেও দেখা গেছে।

ভুক্তভোগি ও স্থানীয় ব্যবসায়ি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই ইউনিয়নের পশ্চিম অংশের যমুনা নদীর তীরবর্তী গ্রাম, কাকুয়া ও কাতুলীর তোরাবগঞ্জসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজ। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন তোফা এর নির্মাণ কাজ করছেন।

এরপরও দুই বছরে শেষ হয়নি ব্রিজটির নির্মাণ কাজ। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ব্রিজটি এখনও চলাচলের উপযোগি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় ভুক্তভোগি শাহ জামাল হোসেন বলেন, দুই বছরের বেশি সময় গেলেও ব্রিজটি নির্মাণ হয়নি। এর ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন তারা। ব্রিজের ঠিকাদার ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে হেরে যাওয়াসহ গ্রামে না আশায় ব্রিজটির কাজ হচ্ছেনা বলে ধারণা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এলাকাবাসির আস্থাভাজন এবং তিনি যে কোন প্রক্রিয়ায় ব্রিজটির কাজ শেষ করবেন এমন বিশ্বাসেই তারা কোন দপ্তরে অভিযোগ বা যোগাযোগ করেননি।

অটোভ্যান চালক মহর আলী বলেন, হুগড়া নবনির্মাণাধীন মসজিদের কাজের জন্য দশ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে যাচ্ছি। ডাইবেশন দিয়ে অনেক কষ্ট করেও রাস্তায় উঠতে পারছিলাম না। স্থানীয় কয়েকজন যুবক আমাকে সাহায্য করে উপরে উঠিয়ে দিছে। এভাবে দুই বছর যাবৎ মালামাল আনা নেয়া করছেন তারা। তিনি বলেন, কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো, ব্রিজের ঠিকাদার হচ্ছেন আমাদের সাবেক চেয়ারম্যান। উনাকে কাজ শেষের জন্য তাগাদা দিলে বলেন তারাতারি শেষ হয়ে যাবে। এরপর শেষ হয়না। এছাড়াও ঠিকাদাররা জানায়, ব্রিজের কাজে তিন বছর সময় নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুরুতে কিছু কাজ হলেও বন্যার আগে থেকে ব্রিজের কাজ একবারে বন্ধ রইছে। এ সময় ব্রিজের অনেক মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ঠিকাদারের লোকজন। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান ব্রিজের কাজ শেষ করে মালামাল নিতে বলে বাঁধা দেন। তবে এখনও কাজ শুরু করেননি ঠিকাদার। ব্রিজের রড মিস্ত্রির সহযোগি হৃদয় সরকার বলেন, সেন্টারিংয়ের কাঠ আর রড না থাকায় ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার রড পাঠাবো পাঠাবো বললেও রড আসছেনা বলে জানায় সে। ব্রিজ নির্মাণের সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছেন হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড ও বেগুনটাল গ্রামের ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য পাঁচ বছর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে। মূল ঠিকাদার না হলেও কাজটির পার্টনার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেও জানান তিনি।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী তোরাব আলী জানান, ব্রিজের মূল কাজের মধ্যে দুটি স্লাব বাদ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে ব্রিজের পিলার, পাইল ও একটি স্লাবের কাজ শেষ হয়েছে। এখনও থেকে কাজ শুরু আর টানা করলে বর্ষার আগে বা এপ্রিল মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কাগজ কলমে কাজটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ হলেও ব্রিজের কাজ করছেন হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা, বাপ্পি ও মাহাবুব নামের কয়েকজন ঠিকাদার। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে বেগুনটাল ব্রিজ নির্মাণের কাজটি করছি।

ব্যক্তিগত কারণে আর সময় ঠিক মত না দিতে পারায় ব্রিজের কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করা যায়নি। ব্রিজের তিনটি স্লাবের মধ্যে একটি স্লাবের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি দুটি স্লাব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানান তিনি। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় এলাকাবাসির চরম ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মো. নূরে আলম তুহিন। তিনি বলেন, ব্রিজের কাজ শেষ না করাসহ বিকল্প ডাইবেশনের ব্যবস্থা না করায় চলাচলরত মানুষের ভোগান্তি চরম হয়ে উঠায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি দুই দফায় কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করেছেন।

এছাড়াও সুষ্ক মৌসুমে ব্রিজের নিচ দিয়ে মাটি ফেলে বিকল্প ডাইবেশনটিও করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। তিনি আগামী বর্ষার আগেই ব্রিজটির কাজ শেষ করার জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিবেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এই প্রজেক্টের ফান্ড সংকট থাকায় ব্রিজ নির্মাণের কাজ সময় মত শেষ করা যায়নি। পুনরায় সময়সীমা বৃদ্ধি করাসহ ফান্ড দেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, রড, সিমেন্টসহ কাজের প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ প্রজেক্টে ফান্ড থাকার অজুহাত দেখাচ্ছেন ঠিকাদাররা। এ কারণে আমি চলতি অর্থ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দেয়াসহ ঠিকাদারদের কাজ শেষ করতে না পারলে অফিসকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে স্যালেন্ডার করতে বলে দিয়েছি। স্যালেন্ডারকারী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে সরকার নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নিবেন।
এএজেড

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম