বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৭০ বছর বয়সে কুমারত্ব ভাঙলেন অধ্যাপক শওকত!

বয়স কোন ব্যাপার না যদি সেখানে থাকে বিশ্বাস আর আস্থা। সত্তরে পা দিয়ে চিরকুমারত্বের অবসান ঘটিয়ে বিয়ে করেছেন শওকত আলী। কনে মোংলার মেয়ে শাহেদা বেগম ৩৫ বছর বয়সের কনেকে বিয়ে করলেন রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের হাওলাদার শওকত আলী। ১৮ মার্চ তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ১০ লাখ ১ টাকা দেনমোহরানায় নগত পাঁচ লাখ টাকা উসুলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শওকত আলী রামপাল সরকারি কলেজের প্রফেসর ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি একাকিত্ব বোধ করেন। এক সময় পরিবারে হাল ধরতে গিয়ে এবং ভাই বোনদের মানুষ করতে গিয়ে সংসার করা হয়ে ওঠেনি তার। জীবনের মূল্যবান সময় তিনি শিক্ষকতা, ভাই বোন ও সমাজ সেবায় ব্যয় করেছেন। তাকে বিয়ের কথা বলা হলেও সে কখনো বিয়ে করতে রাজি হতেন না। সে সারা জীবন চিরকুমার থাকবেন বলে জানাতেন।

শওকতের ছোট ভাই আঃ হালিম খোকন বলেন, আমরা তার কাছে মানুষ হয়েছি, সারাটা জীবন সে আমাদের সুখে দুঃখে বটবৃক্ষের মতো আগলে রেখেছে। বর্তমানে আমরা নিজেদের নিয়ে কাজ-কর্ম এবং ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি যার কারণে আমাদের বড়ো ভাই অবসরে আসার পর অনেকটা একাকিত্ব বোধ করছেন। তার এই একাকিত্ব দুর করতে ও দেখভাল করতে এ সময় তার একজন সঙ্গিনী খুবই দরকার। তাই আমরা তাকে বিয়ের জন্য বার বার বলা হলে সে একটা সময় এসে বিয়ের করতে রাজি হন।

পরে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের এক কন্য সন্তানের জননী (বিধবা) শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করেন। কনের আগের সংসারের মেয়েটার দায়িত্ব আমার বড়ো ভাই আলহাজ শওকত আলী নিয়েছেন। তারা বর্তমানে সুখে সংসার করছেন। পরিবারসহ নতুন বর এবং কনে আগামীতে হজ্বে যাবেন। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে নতুন এই দম্পত্বির জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এএজেড

Header Ad

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া এবং এর বাহকে-বাহকে বিয়ে প্রতিরোধের জন্য দেশের প্রতিটি বাড়ি ও মহল্লায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি সকল পেশাজীবী ব্যক্তি ও সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় বিবাহের পূর্বে এই রোগের জিন বাহক কিনা তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সরকারপ্রধান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে গত ১৫ বছরে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ মাতৃমৃত্যু, নবজাতকের মৃত্যু ও অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যু হার, অপুষ্টি, খর্বতা, কম-ওজন ইত্যাদি হ্রাসে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (৪র্থ এইচপিএনএসপি) এর মোট ২৯টি অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় ২০১৭-২০২২ মেয়াদে সেক্টর ওয়াইজ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মা ও শিশুর জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নতুন রোগ নিয়ন্ত্রণ, উন্নত ও দক্ষ ঔষধ খাত এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হচ্ছে। সূত্র : বাসস

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করলেন বাবা

প্রতিকি ছবি

ক্ষমা করা কিংবা উদারতা প্রদর্শন করা একটি স্বর্গীয় গুণ। ক্ষমাশীল ব্যক্তিই হলো সর্বোত্তম সবরকারী। ক্ষমাশীলতার গুণে গুণান্বিত হয়ে একজন সাধারণ মানুষ অসাধারণ মানুষে পরিণত হয়ে যায়। যিনি ক্ষমা করেন, তিনি ধৈর্য ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা নিজে দয়াশীল ও ক্ষমাশীল বলে, তিনি ক্ষমাশীল ব্যক্তিকে ভালোবাসেন।

সৌদি আরবে তেমনি এক উদার বাবার দেখা মিল্ল। যে খুনি নিজের ছেলেকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করে দিয়েছে। মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে সেই খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে তার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে গেলেন। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ঐ বাবা হঠাত্ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ঐ হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ঐ সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ঐ বাবা। সেই অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

ঐ বাবা জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ঐ বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অন্যান্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

 

পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ২ যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) দিনগত রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুজয় কুমার রায়।

সর্বশেষ সংবাদ

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করলেন বাবা
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসপাতালে নববধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী
দুপুরে ১৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ
দেশব্যাপী প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু
বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া