শ্যামনগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া জেলে রুহুল কুদ্দুসের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি শ্যামনগর উপজেলার উত্তর কৈখালি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
নিখোঁজের তিনদিন পর আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ, কোষ্ট গার্ডসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত কালিন্দী নদীতে অভিযান চালায় তারা।
কৈখালি গ্রামের সাগর হোসেন জানান, তার বাবা রুহুল কুদ্দুস বৃহষ্পতিবার সকালে ভারত সীমান্তবর্তী কালিন্দী নদীর মোহনায় নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালবৈশাখীর ঝড়ে নৌকা ডুবে গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। বিকালে শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশ, বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের যৌথ দল কালিন্দী নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পুলিশ, বিজিবি ও কোষ্ট গার্ডসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালিন্দী নদীতে অভিযান চালালেও লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে শুক্রবার ভোরে সুন্দরবনের মধ্যে পিতার লাশ ভাসতে থেকে জেলেরা খবর দেন। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় লোকজন, ইউপি চেয়ারম্যান, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্য শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িটি উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, শুক্রবার সকালে ভারতের সীমান্তে মরদেহ ভাসতে দেখে বিএসএফ -বিজিবির মাধ্যমে আমার কাছে ছবি পাঠালে আমি নিশ্চিত করি। লোকজন নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর আর মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার সকালে জেলেদের দেওয়া খবরে সুন্দরবনের মধ্য থেকে রুহুল কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কালবৈশাখী ঝড়ে শ্যামনগরের রমজাননগর, কৈখালি ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ২৫০টির বেশি কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি। কালিন্দীসহ পাঁচ নদীর মোহনায় মাছ ধরার সময় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন জেলে রুহুল কুদ্দুস।
এসআইএইচ