শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

উখিয়া ক্যাম্প থেকে জয়পুরহাটে নিয়ে রোহিঙ্গা তরুণীকে বিয়ে

ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার লকইর গ্রামের আয়নাল হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয় শিবিরের (ক্যাম্প) এক রোহিঙ্গা তরুণীর বিয়ে হয়েছে।

বাংলাদেশের কোনো স্থায়ী বাসিন্দা রোহিঙ্গা তরুণীকে বিয়ে করে ঘর সংসার করায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে গোপনে উপজেলার বানদীঘি গ্রামে মামুনুর রশিদের বাড়িতে এ বিয়ে হয়।


এরপর থেকে রোহিঙ্গা তরুণী তার স্বামীর বাড়ি লকইর গ্রামে বসবাস করছেন। এ খবর এলাকার লোকজন জানলেও তা ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতে বানদীঘি গ্রামে গেলেও তাদের আটক না করে সেখান থেকে ফিরে আসে।

লকইর গ্রামে আয়নালের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে বানদীঘি গ্রামের একটি শিশু ধর্ষণের মামলার আসামি হারুনুর রশিদ ও সবুজ মিয়া গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় আত্মগোপন করেন। সেখানে তাদের পরিচয় হয় আয়েশা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা তরুণীর সঙ্গে। সেই সূত্র ধরে তারা দুজন যাতায়াত করতেন ওই তরুণীর বাড়িতে। আয়েশা বেগমের মেয়ে রুমা খাতুনকে (২১) বিয়ে দিতে হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয় তাদের সঙ্গে। তখন সবুজ মিয়া সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে নিজের ছেলের সঙ্গে রুমার বিয়ে ঠিক করেন। কথামতো সাড়ে তিন লাখ টাকা সবুজকে বুঝিয়ে দেন আয়েশা।

গত ৯ জানুয়ারি আয়েশা মেয়ে রুমাকে নিয়ে তাদের সঙ্গে বানদীঘি গ্রামে আসেন এবং হারুনুর রশিদের বাড়িতে ওঠেন। এরপর টাকা নিয়ে সবুজ মিয়া সেখান থেকে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে বিপদে পড়েন হারুন। একপর্যায়ে সবুজকে না পেয়ে আয়েশা বেগম ও তার মেয়ে রুমাকে একই গ্রামে তার ছোট ভাই মামুনুর রশিদের বাড়িতে রাখেন হারুন। পরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে রোহিঙ্গা তরুণী রুমার নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করেন তিনি। এরপর একই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের লকইর গ্রামে তার ফুফাত ভাই আব্দুল মোমেনের ছেলে আয়নাল হোসেনের সঙ্গে রুমাকে বিয়ে দেন।

রোহিঙ্গা তরুণী রুমার মা আয়েশা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রোহিঙ্গা এটা সত্য, তাই বলে আমাদের ছেলেমেয়ের কি বিয়ে হবে না? হারুন আমার ধর্ম ভাই। সেই সুবাদে সবুজের ছেলের সঙ্গে আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে এসেছিলাম। বিয়ে বাবদ সবুজকে সাড়ে তিন লাখ টাকাও দিয়েছি। এখানে আসার পর আমাদের ফেলে সবুজ পালিয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে আমার ধর্ম ভাই হারুন আমার মেয়েকে তার ফুফাত ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। এতে আপনাদের অসুবিধা কোথায়? ভুয়া জন্মসনদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা করার সব কিছুই হারুন করেছে।

রুমা বলেন, আমার কি অপরাধ? মা ও হারুন মামা আমাকে এখানে এনে বিয়ে দিয়েছে। মা সবুজ মামাকে বিয়ের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকাও দিয়েছে। সে আমাদের রেখে পালিয়ে গেছে। হারুন মামা স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে দিয়েছে। এখন আমি আয়নালের সঙ্গে ঘর সংসার করছি।

রুমা আরও বলেন, আমার মতো আরও তিন/চারজন রোহিঙ্গা মেয়ের বিয়ে হয়েছে জয়পুরহাটে। কেন আপনারা শুধু আমার দোষ ধরছেন?

আয়নালের চাচা ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, বলা নেই, কওয়া নেই, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে আয়নাল বিয়ে করে বউসহ বাড়িতে আসে। তাতেই আমার সন্দেহ হয় যে আয়নাল কোথায় বিয়ে করল। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে রোহিঙ্গা এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা আসলেই একটা ঝামেলা। বুঝুক এখন তারা কি করবে।

বর আয়নাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা মেয়ে জেনেই বিয়ে করেছি। তবে আইন অনুযায়ী যে রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না, তা আমার জানা ছিল না। যা হবার তাতো হয়েই গেছে। এখন করার কি আছে, আপনারাই বলেন।

হারুনুর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গা হয়েছে, তাতে কি হয়েছে? আমি ওর সব কাগজপত্র ঠিক করে প্রশাসনসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই এ বিয়ে দিয়েছি। এখন যা হবার তাই হবে। নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম-ঠিকানা কিছুই বলা যাবে না।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পুলিশ পৌঁছার আগে বিয়ের সম্পন্ন হয়। মেয়েটি রোহিঙ্গা কি না, তা পুলিশের জানা নেই।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট জজ কোটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রায়হান আলী বলেন, ফরেইনার্স অ্যাক্ট অনুসারে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারে না। এছাড়া আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গাদের বিয়ে করা যাবে না। এ ঘটনায় তারা দুটি অপরাধ করেছেন। ওই মেয়েকে নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে নিয়ে এসেছেন। আবার নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন

ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২৮ জনে, মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ হাজার ৫১৯ জন।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন